মানছে না লকডাউন

মানছে না লকডাউন ৪  দিনে রাস্তায় বেড়েছে যানবাহন ও মানুষের চলাচল। পুলিশের চেকপোস্টের কারণে কোথাও কোথাও দেখা গেছে যানজট।

রোববার সকালে নগরীর কিছু এলাকা ও সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাস্তায় বের হয়েছেন কর্মজীবীরা। রিকশায় গন্তব্যে ছুটেছেন অনেকে। কেউ কেউ যাচ্ছেন হেঁটে। চলছে ব্যক্তিগত গাড়িও। ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। খুলেছে নিত্যপণ্যের কিছু দোকান।

চেকপোস্টগুলোয় গাড়ি ও লোকজন থামিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে বের হওয়ার কারণ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলে বাসায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, করা হচ্ছে জরিমানাসহ গ্রেপ্তার।

তবে, অফিগামীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মস্থলে যেতে দেয়া হচ্ছে। রাস্তায় রিকাশার পাশাপাশি রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সড়কে কাজ করছে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। রাজধানী ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

চট্টগ্রামে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তারা লোক চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। যদিও প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের আনাগোনা কম থাকলেও অলিতে গলিতে চলাচল বেড়েছে মানুষের।

এছাড়া সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার সড়ক মহাসড়ক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবহন চালক ও যাত্রীদের। এছাড়া, মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় লকডাউন কার্যকরে টহল রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছে সব জরুরি সেবাসহ শিল্পকারখানা।

গতকাল বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩৪৬ জনকে করা হয়েছে জরিমানা। এছাড়া, ৮৫৫ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছে ডিএমপি। জরিমানা করা হয়েছে ১৯ লাখ ২২ হাজার টাকা।

বিস্তারিত BM24TV Website

মানছে না লকডাউন ৪ দিনে রাস্তায় বেড়েছে যানবাহন ও মানুষের চলাচল

সমুদ্রের মাঝখানে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। গোলাকার এলাকা জুড়ে জ্বলতে থাকা সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট জাহাজ। এ রকমই একটি ভিডিও শুক্রবার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নেটপাড়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। নীলচে পানির ওপর কমলা রঙের আগুনের দৃশ্য এখন ভাইরাল।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার এই আগুন লেগেছিল মেক্সিকো উপসাগরে। সেখানকার ইউকাটান উপদ্বীপ এলাকার কাছেই লেগেছিল এই আগুন। মেক্সিকোর জাতীয় তেল উত্তোলন সংস্থা পেমেক্স জানিয়েছে, সমুদ্রের নিচে থাকা পাইপলাইনের গ্যাস লিক করাতেই লেগেছিল এই আগুন। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময়ের চেষ্টার পর এই আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পেমেক্স।

সমুদ্রের তলায় থাকা এই পাইপলাইন সে দেশের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের সংযোগ করে বলে জানিয়েছে পেমেক্স। যদিও এই ঘটনার জেরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই আগুনের জেরে ওই প্রকল্পের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে ওই তেল সংস্থা। তবে কেন এই আগুন লাগল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। সূত্র: আনন্দবাজার।

মাঝ সমুদ্রে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন | পেমেক্স | BM24TV

হেফাজত মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বাণিজ্য করছে : উলামা পরিষদ

হেফাজত মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বাণিজ্য করছে : উলামা পরিষদ

হেফাজত মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বাণিজ্য করছে : উলামা পরিষদ হেফাজত সাম্প্রদায়িক জঙ্গি সংগঠন আখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধু উলামা পরিষদের নেতারা সংগঠনটি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম উগ্র-সাম্প্রদায়িক মানবতাবিরোধী জঙ্গি সংগঠন। বাঙালি মুসলিমদের ঈমান, আকিদা ও ধর্মীয় বিশ্বাস-অনুভূতি নিয়ে করছে বাণিজ্য। বুধবার ( ২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে মানবতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক জঙ্গি সংগঠন হেফাজতকে নিষিদ্ধকরণ ও সংগঠনের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু উলামা পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, হাজার বছরের সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে হঠাৎ করে একটি ধর্মীয় সংগঠনে সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ডে আমরা অভাগ হয়েছি। এই দেশ সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মিলে মিশে বসবাস করছে। হেফাজতে ইসলাম ২৪-২৫-২৬-২৭-২৮ মার্চ সমগ্র দেশব্যাপী যে তান্ডব চালিয়েছে তা মানবতাকে চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত করেছে মানবতাবিরোধী তো বটেই এটা ইসলাম সমর্থন করে না। অন্যান্য ধর্মও এ তান্ডব সমর্থন করে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে হেফাজতে ইসলামের সকল কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল আলেম-উলামাদেরকেও ঐক্যবদ্ধ করে কাজে লাগাতে হবে। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আব্দুল আলিম আজাদী, মাওলানা শাইখ আলমগীর হোসাইন, হাফেজ মাওলানা হোসেন জুয়েল, মাওলানা হাফেজ আনোয়ার শাহ, আওয়ামী লীগ নেতা এহাইয়া খান কুতুবী, ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি গণবন্ধু রাহাত হুসাইন, মাওলানা হাফেজ জলিল, মাওলানা মাহমুদুল্লাহ মেরাজ, আলহাজ্ব মোঃ সোহান চিশতী, নাফি উদ্দিন উদয়, শাফি উদ্দিন বিনয় প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জামাতে ইসলামের অনুকরণে। বর্ণে ভিন্ন হলেও আদর্শে দিক দিয়ে সংগঠন দুটি অভিন্ন সত্ত্বায় বিরাজ করছে। হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ শফিকে হত্যার মধ্য দিয়ে সংগঠনটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গীরা দখলে নিয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছে ৭১’র ঘাতক চক্র জামায়াত-বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সমষ্টিগত নাম হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। জামায়াতে ইসলামের সাথে যেমন সম্পর্ক নেই তেমনি হেফাজতের সাথে ইসলামের মূল আদর্শের সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামের কতিপয় নেতা দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পরেছে। হেফাজতে ইসলামের নেতাদের অস্বাভাবিক লেনদেনের কারণে তাদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করতে হবে। তাদের কাছে ইসলামও নিরাপদ নয়। ই

সলামের লেবাস লাগিয়ে হেফাজতে নেতারা নারী কেলেঙ্কারিসহ, দেশবিরোধী চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, ধোঁকা, সরকারি সম্পদ ধ্বংস, মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালাও পোড়াও করছে। নারীদের ইজ্জত লুটতেও তারা ধর্মের ব্যবহার করছে। মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের চিহ্নিত করে তাদের সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।

মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু উলামা পরিষদের নেতারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ধর্ম ব্যবসায়ীদের সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ওপরে ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা করছে। হেফাজতে ইসলাম ধর্মের নামে বাঙালি মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করেছে। হেফাজতে ইসলামের আড়ালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শিবির ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে জ্বালাও পড়াও শুরু করেছে। এদেরকে রুখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি। সরকারকে এই বিষয়ে দায়িত্বশীলতার ভূমিকা নিতে হবে।

 

https://bm24tv.net/

হেফাজত মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বাণিজ্য করছে : উলামা পরিষদ

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ) ।

তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী । তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ) ।

“আপনাদের শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সরকার সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর আমি দরিদ্র-নিম্নবিত্ত মানুষদের সহায়তার জন্য কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে পল্লী অঞ্চলে কর্মসৃজনের জন্য ৮০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং পবিত্র রমজান ও আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬৭২ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। এর দ্বারা দেশের প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার নিম্নবিত্ত পরিবার উপকৃত হবেন। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ভিজিএফ, টেস্ট রিলিফসহ বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

“তবে আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আমাদের নিজের, পরিবারের সদস্যদের এবং প্রতিবেশির সুরক্ষা প্রদানের। কাজেই ভিড় এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘরে ফিরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে গরম পানির ভাপ নিন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে ১৮-দফা নির্দেশনা জারি করেছে। আমরা যদি সকলে করোনাভাইরাস মোকাবিলার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, অবশ্যই এই মহামারিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।”

“প্রিয় দেশবাসী,
যুগে যুগে মহামারি আসে, আসে নানা ঝড়-ঝঞ্ঝা, দুর্যোগ-দুর্বিপাক। এসব মোকাবিলা করেই মানবজাতিকে টিকে থাকতে হয়। জীবনের চলার পথ মসৃণ নয়। তবে পথ যত কঠিনই হোক, আমাদের তা জয় করে এগিয়ে যেতে হবে।

আপনাদের শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সরকার সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage