“ইসলাম ও দ্বীন হলো সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থার নাম” : মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী

ইসলাম ও দ্বীন হলো সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থার নাম” : মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী

ইসলাম আরবী শব্দ এর শাব্দিক অর্থ শান্তি। আভিধানিক পরিভাষায় ইসলাম হলো একত্ববাদের নিমিত্তে স্রষ্টা কর্তৃক একত্ববাদী মানবজীবনপদ্ধতির শান্তির বিধান বা ধর্ম। আর এই বিধান প্রণেতা হচ্ছেন আহাদ। আহাদ আরবী শব্দ এর অর্থ একক/এক। ইসলামি পরিভাষায় আহাদ অর্থ এক ও অদ্বিতীয়। যার কোন শরিক এবং সমতুল্য কেউ নেই। দ্বীনি আল ইসলাম (আমার দ্বীন হচ্ছে ইসলাম) আরবী লোগাতে ইসলাম শব্দটির শব্দমূল আল-সিলম্‌ বলা হয়েছে যার অর্থ হলো আত্মসমর্পণ।ইসলামকে দ্বীনও বলা হয়। দ্বীনও আরবী শব্দ এর অর্থ অনেক যেমন, ঋন-দেনা, বিচার দিবস, বৃষ্টি ( যা বার বার ফিরে এসে পৃথবীকে জীবন দেয়), জীবন ব্যবস্থা। এছাড়াও সার্বিকভাবে ইসলাম বলতে বোঝায় আল্লাহ্‌র ইচ্ছার কাছে ব্যক্তি সত্ত্বার আত্মসমর্পণ করা। মহাবিশ্বের সকল জড় বস্তু ও প্রাণী (শুধু মানুষ ও জ্বীন ছাড়া) আল্লাহ্‌র ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ন আত্মসমর্পণিত। আল্লাহ্‌ সূর্যকে যে নিয়মে বেঁধে দিয়েছেন সে সেই নিয়মে আল্লাহ্‌র কাছে নিজেকে সমর্পণ করছে, পানি আল্লাহ্‌র ইচ্ছাতেই বয়ে চলে, জমাট বাঁধে, বাষ্প হয়। আমরা মানুষরা অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছাতেই হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ কাছে আত্মসমর্পণ করে থাকি-যেমন, ক্ষুধা পেলে আমরা খাই, ঘুম পেলে ঘুমাই। আমাদের আত্মসমর্পণের বাকী অংশগুলো আল্লাহ্‌ আমাদের ইচ্ছাশক্তির উপর ছেড়ে দিয়েছেন। সে ইচ্ছাশক্তি শুধু এদিক সেদিক দৌড়ে চলে যেতে যায়। আমরা যদি জোর করে তাকে ধরে আল্লাহ্‌র হুকুমের কাছে আত্মসপর্ণ করাই তবেই আমরা মুসলিম। সারসংক্ষেপ “ইসলাম ও দ্বীন হলো সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থার নাম”।

আল্লাহ তা’য়ালা কোরআনুল কারীমে বর্ণনা করেন, আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন কামনা করলে তা তার থেকে কখনোই গ্রহণ করা হবেনা এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত (সূরা আল ইমরাব-৩/৮৫)। কোরআনুল মাজীদের এবর্ণনায়ও দ্বীনই ইসলাম আর ইসলামই দ্বীন বুঝানো হয়েছে। সুতরাং ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করার বিধান আল্লাহ সোবহানাহু তা’য়ালা কর্তৃক অনুমোদিত না। ইসলামের সূচনা আদম আঃ (প্রথম মানুষ) থেকেই। এবং ইসলাম মানব জাতির জন্য শান্তির বিধান বা ধর্ম। কোরআন-হাদিসের বর্ণনায় ইসলামি সব বিধানের স্তরবিন্যাস সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও উম্মতের ফকিহ ও আইনবিদরা কোরআন-সুন্নাহর গভীরভাবে গবেষণা করে বিধানাবলিকে বিভিন্ন স্তরে রূপ দিয়েছেন এবং সেগুলো সুবিন্যস্ত করেছেন। শুধু তা নয় ইসলামের আদেশ-নিষেধ ও বিধানাবলি স্তরভেদে বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। আর কিছু জিনিস রয়েছে আদেশ-নিষেধ কোনোটিই নয়, বরং শুধু বৈধতার পর্যায়ে পড়ে। নিম্নে সবগুলোর সংজ্ঞা ও বিধান উল্লেখ করা হলো-
(ক)ইসলামে যে সকল বিষয়গুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপনের গুরুত্ব শীর্ষে। অর্থাৎ বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য (ফরজ বা ওয়াজিব)। যথা:- ১। আল্লাহ তা’য়ালার (স্রষ্টা) উপর বিশ্বাস (না দেখে অদৃশ্যে ),২। ফেরেশতা সমূহ, ৩। আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী-রাসূলগণের উপর প্রেরিত কিতাব সমূহ, ৪। রাসূলগণ, ৫। শেষদিন(কিয়ামত),৬। ভাগ্যের ভাল-মন্দ আল্লাহর পক্ষ হতে (তাকদীর), ৭। মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়া।(সহীহ বুখারী-১/২৭,৪/১৭৩৩ সহীহ মুসলিম-১/৩৫-৩৬-৩৯-৪০-৪৭)(সুরা বাকারা-২৮৫ সূরা নিসা-১৩৬ (খ)ইসলামের মূল উৎস চারটি। যথা:- ১। কোরআনুল কারীম, ২। সুন্নাহ (হাদিস), ৩। ইজমা, ৪। কিয়াস।(গ) ইসলামের স্তম্ভ পাঁচটি। যথা:- ১। কালিমা (বিশ্বাস), ২। নামাজ(প্রার্থনা),৩। রোজা(উপবাস),৪।হজ্ব(মক্কা ভ্রমণ), ৫। জাকাত(দান)। ইহাকে ইসলামি পরিভাষায় আরকানও বলা হয়।(সহীহ বুখারী-১/১২,৪/১৬৪১ সহীহ মুসলিম-১৪৫) (ঘ)ইসলামে কোরআন-হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ছয় ধরণের আদেশ ও নিষেধ রয়েছে। যথা’- ১। ফরজ বা ওয়াজিব (অবশ্য পালনীয়), ২। সুন্নাত(পথ),। ৩।নফল বা মুস্তাহাব(পছন্দনীয়), ৪। হালাল বা মুবাহ(নিরপেক্ষ), ৫। মাকরুহ (অনুচিত), ৬। হারাম (নিষিদ্ধ)।
(ঘ)১- ফরজ দুই প্রকার। যথা- ১। ফরজে আইন( যা প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নর-নারী প্রত্যেকের উপর অপরিহার্য), ২। ফরজে কিফায়া(যা প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নর-নারী প্রত্যেকের উপর ব্যক্তিগত পর্যায়ে অপরিহার্য নয়) অর্থাৎ সমাজের কিছু সংখ্যক প্রাপ্ত মুসলিম ব্যক্তি পালন করলেই প্রত্যেকের পক্ষ থেকে পালন হয়ে যায়।
(ঘ)৫- মাকরুহ দুই প্রকার। যথা- ১। মাকরুহে তাহরিমি( হারামের পর্যায়ে না হলেও নিষিদ্ধতার নিকটতম) অর্থাৎ গুনাগার বা তিরস্কারযোগ্য। ২। মাকরুহে তানজিহি(হালালের পর্যায়ে না হলেও বৈধতার নিকটতম) অর্থাৎ গুনাগার না তিরস্কারযোগ্যও নয় (উসূলে সারখসি-১/১১০)।(ঘ)২- সুন্নাত দুই প্রকার।যথা- ১। সুন্নাতে মুয়াক্কাদা( নূরনবী সাঃ যা নিজে করেছেন এবং উম্মতদেরকে করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন )। তবে যে এই সুন্নাত ছেড়ে দিলে সে গুনাগার হবে এবং ফাসেকের দ্বারে প্রবেশ করলো। ২। সুন্নাতে যায়েদা (রাসূল সাঃ যা নিজে কখনো করতেন আবার কখনো ছেড়ে দিতেন এবং উম্মতকে করার জন্য কোনো নির্দেশ প্রদান করেননি)। তবে এই সুন্নাত পালনের মধ্যে অনেক সওয়াব(ফজিলত) ও কল্যাণ রয়েছে এবং তা পরিত্যাগে কোন গুনাহ হবেনা(কাশফুল আসরার-২/৩০২)।
(ঘ)১-ওয়াজিব:- ওয়াজিব ওই আদেশমূলক বিধানকে বলা হয় যা অকাট্য প্রাধান্যযোগ্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত এবং তার উপর আমল করা অপরিহার্য। তার অকাট্যতার উপর সুনিশ্চিতভাবে বিশ্বাস রাখা অপরিহার্য না হলেও তার উপর আমল করা অপরিহার্য। কোনো ওজর ব্যতীত তা ত্যাগকারী গুনাহগার হবে এবং তার অস্বীকারকারী ‘ফাসিক’ বলে গণ্য,তবে ‘কাফির’ বলা যাবে না। (ঘ)৪- মুবাহ:-মুবাহ ওই সব কাজকে বলা হয়, যা শরিয়তের পক্ষ থেকে কোনো প্রকারের আদেশও করা হয়নি, আবার কোনো প্রকারের নিষেধও করা হয়নি। তাকে মুবাহ বা জায়েজ বলা হয়। যথা : দুনিয়াবি বিভিন্ন কাজকর্ম। তবে ক্ষেত্রবিশেষ ও ভালো নিয়তের কারণে মুবাহ কাজ মুস্তাহাব তথা সাওয়াবের কাজও হতে পারে, আবার ক্ষেত্রবিশেষ খারাপ নিয়তের কারণে তা গুনাহের কারণও হতে পারে। যথা : কারিগরি শিক্ষা হালাল রিজিক অর্জনে, জনসেবা ও দ্বিনের কাজে সহযোগিতার নিয়তে শিখলে তা অনেক সাওয়াবের কাজ, আবার গুনাহের কাজে সহযোগিতার নিয়তে শেখা গুনাহের কাজ (আলআশবাহ ওয়ান্নাজায়ের-১/২৩)।
(খ)৩- ইজমা আরবী শব্দ এর অর্থ সর্বসম্মত মত। এর আভিধানিক আরো অর্থ রয়েছে। যথা- মাহাত্ম্য, ক্ষমতা, গুরুত্ব,  একমত, ঐক্যমত্য, ঐক্যমত। ইসলামের এমন বিধান, যে বিধানের ব্যাপারে ইসলামের গভীর জ্ঞানের অধিকারী পণ্ডিতগণ(ইমাম) একমত হয়েছেন। সমাজের চলমান সমস্যার সময়োপযোগী সমাধানে ধর্মীয় পণ্ডিতগণের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমধানকেও ইজমা বলে। ইজমার মূলত কাজটি হচ্ছে মুজতাহিদগণের। মুজতাহিদ বলতে কোরআন-হাদিসের সনদ ও পরিভাষা, তাফসীর, উসূলুল ফিকহ, আরবী ব্যাকরণ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিদয়। ইজমা অর্থাৎ উম্মতের ইজমা : ঐকমত্য। (খ)৪-কিয়াস আরবী শব্দ এর অর্থ অনুমান। কর্ম বা আমলের বিষয়ে ইসলামের বিধান নির্ণয়ে কিয়াস (অনুমান) করা হয়। কোরআন-সুন্নাহ ও ইজমায় এই তিন উৎসতে স্পষ্টভাবে নেই এমন কোন বিষয়ে মাসয়ালা বা সমাধানের জন্য অনুমান করে বিধান নির্ণয় করাকে ইসলামি পরিভাষায় কিয়াস বলে। তবে ইহা শুধুমাত্র ইসলামি আইনশাস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু ইসলামি আকীদাহর (বিশ্বাস) ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়াও কিয়াসের অাভিধানিক অর্থ অনুমান, তুলনা,  মতামত উদাহরণ ইত্যাদি।
(ঙ)১। মুয়ামালাত(লেনদেন),২। মুয়াশারাত( আচার-আচরণ),৩। সিয়াসাত (রাষ্ট্রনীতি), ৪। ইক্তিসাদিয়্যাত(অর্থনীতি),৫। দাওয়াত,৬। জিহাদ(সাধনা,যুদ্ধ)। ইসলামে রয়েছে আরো চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর রয়েছে। (চ) যথা:-(১) শরীয়ত( কথাবার্তা/বিধিবিধান), (২) তরীকত (কাজকর্ম), (৩) হাকীকত ( অবস্থা), মা’রিফাত (মূলধন/রহস্য)। তাছাড়াও ইসলামে রয়েছে (ছ) আদল-ন্যায় বিশেষত বন্টনসংক্রান্ত ন্যায়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক। (জ) আদব আরবী শব্দ এর শাব্দিক অর্থ – শিষ্টাচার। আচরণের প্রেক্ষাপটে প্রচলিত অর্থে ভদ্রতা, পরিমার্জন, আচরণ, নৈতিকতা, সজ্জা, বিনয় ও ভাল ইত্যাদি। তবে আরব অঞ্চলে শব্দটির অর্থ “কোন কিছু করার সঠিক উপায়, সম্পাদিত ও সাহিত্য” কে বুঝানো হয়।
(ঝ)আকীদা আরবী শব্দ এর অর্থ বিশ্বাস। এটি একটি ইসলামি পরিভাষা। যার আভিধানিক অর্থ কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন। তবে কোরআন -হাদিসের কোথাও আকীদা শব্দটি ব্যবহারিত হয়নি। সর্বত্রে ঈমান শব্দটি ব্যবহারিত হয়েছে। এছাড়াও মুসলিম সমাজে দ্বিতীয় হিজরী শতক থেকে তাবেয়ী(সাহাবীদের অনুসারী) ও পরবর্তীতে যুগের ইমাম(ধর্মীয় নেতা) ইসলাম বিশ্বাসের (ধর্ম বিশ্বাসের) খু্টিনাটি বিষয় আলোচনার জন্য ঈমান ছাড়াও অন্যান্য কিছু পরিভাষা ব্যবহার করেন। যেমন, আল ফিকহুল আকবার, ইলমূত তাওহীদ, আস-সুন্নাহ, আশ-শরীয়াহ, উমূলুদ্দীন, আল আকীদাহ ইত্যাদি। উল্লেখ্য, হাদিসের বিষয় হলো, মুতাওয়াতির হাদিসে বর্ণিত বিষয়গুলো অস্বীকার করলে কুফরী হিসেবে গণ্য হয়। আর খাবারুল ওয়াহিদের মাধ্যমে জানা বিষয় অস্বীকার করলে বিভ্রান্তি হিসেবে গণ্য হয়। উল্লেখ থাকে যে, মুসলিম পণ্ডিতগণের মতে কোরআনুল কারীম পুরোপুরি মুতাওয়াতির’ভাবে বর্ণিত।
(ঞ) ইনসাফ আরবী শব্দ (বিশেষ্য পদ) এর অর্থ ন্যায্যতা, নিরপেক্ষতা, নৈতিক নির্ভুলতা, সুবিচার, ন্যায়বিচার। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,‘আমি আমার রাসূলদের পাঠিয়েছি খোলাখুলি বিধান সহকারে। আর তাদের সাথে অবতীর্ণ করেছি (দিকনির্দেশনার) কিতাব ও ন্যায়বিচারের বাণী, যাতে করে মানুষ নিজেদের ব্যাপারে ন্যায়ানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে।’ (সূরা হাদীদ : আয়াত ২৫)।
এ আয়াতে ‘আল মীযান’ শব্দের মর্মার্থ হলো, ন্যায়বিচারের বিধান ও আইনকানুন। এই প্রেক্ষাপটে আয়াতের তাৎপর্য হলো এই যে, আল্লাহ তায়ালা তার নবী-রাসূলগণের সঙ্গে যেমন বিভিন্ন সহিফা (পুস্তিকা) অবতীর্ণ করেছেন, তেমনিভাবে ন্যায়বিচারের ফরমান ও আইনকানুনও নাজিল করেছেন। যাতে করে তার বান্দারা সেসব পুস্তক-পুস্তিকার আলোকে তার দাসত্ব ও বন্দেগীর পথে চলে এবং ন্যায়বিচারের বিধিবিধান অনুসারে পারস্পরিক ন্যায়ানুগ আচরণ করে। এছাড়া আল্লাহ তা’য়ালা বিধিনিষেধসমূহকে একত্রে বর্ণনা করেছেন,সেখানেও ন্যায়বিচারের তাকিদ করে বলা হয়েছে।’যখন কোন (বিবদমান) বিষয়ে তোমাদের কোনো কিছু বলতে কিংবা মীমাংসা করতে হয় তখন ন্যায়বিচার করবে যদিও (বিবদমান পক্ষ) তোমাদের কোনো নিকটাত্মীয় হয়(সূরা আনআম-১৫২)। মানবজীবনের সকল কিছুই ইসলাম ও দ্বীনের শ্বাশত কোরআনুল কারীম এবং সুন্নায় রয়েছে যার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরলাম মাত্র।
আয় আল্লাহ সোবহানাহু তা’য়ালা আপনি আপনার প্রিয় মাহবুবদয় বিশেষ করে নূরনবী আখেরী পয়গাম্বর রাসূলে কারীম সাঃ এর সদকায় যাবতীয় ফেরকাহ ও ফেৎনা থেকে মুক্ত করে আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে পূর্ণ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ইসলাম ও দ্বীনের উপর চলার তৌফিক দান করুন- আমীন
লেখক:- মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী
প্রধান সমন্বয়ক,
বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম
BM24TV

     More News Of This Category

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage