নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রদ্ধা,ভক্তি,অধ্যবসায় সাহস আর অসীম ধৈর্য্য মানুষকে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দেয়,তা আজ কারো অজানা নয়।
তার ব্যতিক্রম ঘটেনি বাংলাদেশ তথা বিশ্বের আলোকিত মুখ,টিভি ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের সোনালী নক্ষত্র তুলে ধরছি হানিফ সংকেত এর হাতে গড়া মনিরুজ্জামান অপূর্ব’র সাফল্যের গল্প।
যে ব্যক্তি তার মেধাকে বিকশিত করে লক্ষ্যকে স্থির করে,পরিশ্রমের মাধ্যমে নানা ত্যাগ-তিতিক্ষাকে হাসিমুখে বরণ করে তিনি বাঁধার পাহাড় নিয়েই জয় করেছে এমনি একজন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মনিরুজ্জামান অপূর্ব।
উদীয়মান এই করমুঠো মানুষটির সাথে কাজ করতে গিয়ে তার সম্পর্কে জানা যায় ।
১৯৯৫ সালে বিটিভির জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি’র পরিচালক হানিফ সংকেতের মাধ্যমে তার বিনোদন জগতে হাতে খড়ি। সেই থেকে হাটি হাটি পা পা করে,প্রতি কদমে কদমে তার মেধার
স্বাক্ষর রেখে তিনি সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিককর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি নিজ কর্ম ও জীবিকার পাশাপাশি সংগঠনের কার্যক্রমও চালাছেন যথারীতি। থাকতে চান অনাথ অবহেলীত পথ শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মা বাবাদের পাশে ছাঁয়ার মত।
যুব সমাজ কে মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে মাদক মুক্ত করে রাখতে চান।কোনো অনুষ্ঠানিক বা সাজসজ্জায় নয়, বরং নিজ পরিবার পরিজন ও নিকট আত্মীয়দের সহায়তায় পথে পথে গভীর রজনীতে পথশিশু,এবং অসহায়দের শীত,বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ করে যাচ্ছে এখনও।
শুধু মানুষকে নয় ,পশু পাখিদের যত্ন এবং ভালবেসে আজ তার এ দীর্ঘ পথ চলা।একাধিক স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার উপদেষ্টা হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা যায়।অপূর্বের হাত ধরেই মিডিয়াতে জায়গা দখল করে নিয়েছে এক ঝাঁক মেধাবী তরুন,তরুনী, যা বিনোদন জগতের জন্য সত্যিই এক আশীর্বাদ স্বরূপ।
সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য এবং মাদকমুক্ত যুব সমাজ গঠনে ২০০৯ সালে দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়া নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করে পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন।
অল্প সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য দেশ ও বিদেশে অনেক সুনাম কুঁড়িয়েছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের হয়েও কবি বেগম সুফিয়া কামাল পদক, কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্মাননা, মহত্মাগাান্ধী পিস এ্যাওয়ার্ড সহ পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।
তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য,অবহেলীত গরীব দুঃখী, পথ শিশুদের জন্য মসজিদ মাদ্রাসা ও স্কুল নিমার্ণ করাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করা ।
এই গুনী ব্যক্তি নিজের মেধার ছাপও সু-স্পষ্ট রেখেছে মিডিয়া জগতে।তার লিখা লিখির হাতও ছিল চমৎকার,চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা এবং অনুসন্ধান মূলক প্রতিবেদন রয়েছে বেশ খ্যাতি।
মনিরুজ্জামান অপূর্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে,তিনি জানান,আমার শ্রদ্ধেয় গুরু হানিফ সংকেত দাদার উপদেশ মেনে নিজের জীবনের শেষ টুকু কাটাতে চাই।ব্যক্তি কিছু পাওয়া সফলতা নয় সকলের মুখে হাসি ফোটানোই বড় সফলতা।
তাই হানিফ সংকেত দাদার এ আদর্শ বুকে ধারন করে মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।বর্তমানে পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন নিয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণে তাদের দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করে নিতে আমাদের সাত সদস্য বিশিষ্ট পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।আমাদের এ স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনটি সব ধরনের সামাজিক কাজ করে থাকে।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এরকম সকল অপরাধের বিরোধীদে কাজ করবে।বিশেষ করে নারী ও শিশু মানসিক বিকাশ তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।
তাছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে দক্ষ উদ্যমী তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি প্রশিক্ষণ এবং তাদের প্লাটফর্ম তৈরি করা,শিশু শ্রম বন্ধ,প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত,প্রকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা,কৃষি সহায়ক বীচ, সার কিট নাশক প্রদান,দরিদ্র এতিম অসহায় মেয়েদের বিয়ে দেয়া,মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিম খানা নির্মাণ সহ পথচারীদের পাশে সব সময় সব পরিস্থিতিতে পাশে থাকবে বলে জানায় তাদের পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন পরিবার।শেষ জীবন পর্যন্ত সকলের দোয়া, ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চান এই গুণী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মনিরুজ্জামান অপূর্ব।