কোন দেশে গেলে কোন টিকা গ্রহন করবেন। Countries Approved Vaccine বাংলাদেশে এখন তিন ধরনের টিকা রয়েছে।মার্ডানা, ফাইজার, সিনোফার্ম। আবার ৪৫ লাখ মানুষ দুই ডোজ অক্সফোর্ড এস্টাজেনেকার টিকা গ্রহন করেছে। পছন্দ করে টিকা নেবার সুযোগ কম। কিন্তু তারপরও জানা দরকার কোন দেশ কোন ধরনের টিকার অনুমোদন দিয়েছে। কারন যদি কোন নির্দিষ্ট দেশে যাবার প্রস্তুতি আপনার থাকে তবে সেই দেশের টিকাই নেয়া উচিত। আমি তালিকাগুলো মোটামুটি কমন দেশগুলোর দিয়ে দিলাম কুয়েত: ফাইজার, জনসন, অক্সফোর্ড ইতালি: মর্ডানা, ফাইজার, জনসন, অক্সফোর্ড জর্ডান: ফাইজার, স্ফুটনিক ভি, অক্সফোর্ড, সিনোফার্ম ওমান: ফাইজার, স্পুটনিক ভি, অক্সফোর্ড, সিনোভ্যাক লবোনন: ফাইজার, স্পুটনিক ভি, কোভিশিল্ড, সিনোফার্ম টার্কি: ফাইজার, স্পুটনিক ভি, সিনোভ্যাক, করোনাভ্যাক বাহরাইন: ফাইজার, স্পুটনিক লাইট, স্পুটনিক ভি, জনসন, কোভিশিল্ড, সিনোফার্ম ইউএই: মার্ডানা , ফাইজার, স্পুটনিক ভি, অক্সফোর্ড, সিনোফার্ম কুয়তে: ফাইজার, জনসন, অক্সফোর্ড কাতার: মর্ডানা, ফাইজার সৌদি আরব: ফাইজার, অক্সফোর্ড, জনসন, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, মর্ডানা

কোন দেশে গেলে কোন টিকা গ্রহন করবেন (Vaccine)

ঈদুল আজহার আগে অনেকটাই শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ।
আগামী ১৫ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। একই সঙ্গে খুলবে দোকানপাট-শপিংমল, সেক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।
এসব শর্ত দিয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করে সোমবার সন্ধ্যা বা মঙ্গলবার সকাল নাগাদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। শিথিল করে নতুন বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিথিল সময়ে সরকারি অফিস ভার্চুয়ালি চলবে বলেও জানা গেছে। ঈদুল আজহা উদযাপনে সুবিধার জন্য সরকার বিধিনিষেধ শিথিলের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এরপর ২৩ জুলাই সকাল থেকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ দেয়ার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে বলে জানা গেছে।

১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন

রূপগঞ্জের সিজান জুস কারখানার ধ্বংসস্তূপে মিলল ৪৯টি মরদেহ, সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পোড়া ধ্বংস্তূপ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলের অগ্নিকাণ্ডে কারখানা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তখনই তিনজনের মৃত্যু হয়।
দুপুর দুইটার দিকে কারখানার সামনে ফায়ার সার্ভিসের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কারখানার পোড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেতরে আরও মরদেহ থাকতে পারে, সেজন্য আরও তল্লাশিতে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এর আগে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান জাগো নিউজকে জানান, কারখানার ভেতর থেকে অনেকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ছয়তলা ভবনের চতুর্থতলা পর্যন্ত প্রবেশ করা গেছে। সেখান থেকেই এতগুলো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রূপগঞ্জের সিজান জুস কারখানার ধ্বংসস্তূপে মিলল ৪৯টি মরদেহ

 

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু (রানি)

গরুর কথা উঠলেই কার গরু কতটা বড়, কত বেশি ওজন, কত বেশি দুধ দেয়- এ সব থাকে আলোচনায়। কোরবানির ঈদের আগে পত্রিকায় দেখতে পাওয়া যায় বড় বড় গরুর খবর। সেই সব গরুর বাহারি নাম দেওয়া হয়।

তবে সাভারের একটি গরুর নাম আলোচনায় এসেছে ভিন্ন কারণে। সবচেয়ে দামি কিংবা ওজনের জন্য নয়, এই গরুর নাম ছড়িয়েছে সবচেয়ে ছোট হওয়ার কারণে। নাম দেওয়া হয়েছে রানি। সাভারের আশুলিয়ার একটি খামারে পালন করা হচ্ছে রানিকে।

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ড ছিল ভারতের কেরেলা রাজ্যের ৪ বছর বয়সী লাল রঙের মানিকিয়াম নামের এক গরুর। তবে সেটাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে আশুলিয়ার চারিগ্রামের রানি। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার ২ বছর বয়সী ‘বক্সার ভূট্টি’ জাতের এই গরুটির ওজন মাত্র ২৬ কেজি।

গরুর মালিক সাভারের শিকড় এগ্রো লিমিটেডের ম্যানেজার আবু সুফিয়ান জানান, প্রতিষ্ঠানটি বছর দুয়েক আগে কোনো এক মাধ্যমে খবর পেয়ে নওগাঁর এক খামারির কাছ থেকে গরুটি কেনে। সেটিকে দিনে দুইবার খাবার দিতে হয়। সাধারণ গরুর তুলনায় এটির খাবার লাগে অনেকটা কম। ম্যানেজার আবু সুফিয়ান দাবি করেন, গরুটির দাম ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে এত বেশি দাম উঠার কারণ ব্যাখ্যা করেননি তিনি।

বিস্তারিত BM24TV

 

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু (রানি)

সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখবে, কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না।

স্কুল-কলেজ খোলার দাবি করে ছেলেমেয়েদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবেন কি না সংসদ সদস্যদের তা বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখবে, কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না। টিকা দেওয়ার পর আমরা সব স্কুল খুলে দেব।’ করোনার টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যত লাগে টিকা কিনব। তার জন্য বাজেটে আলাদা টাকা রাখা আছে। বেশি দামে টিকা কিনে তা বিনামূল্যে জনগণকে দেওয়া হচ্ছে।’

গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সমাপনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় চলমান লকডাউনে দেশবাসীকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংসদে বিএনপি ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে সংসদ অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্পিকার।

——

স্কুলে যায় না, তারাই বেশি সোচ্চার : সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়ে স্কুলকলেজইউনিভার্সিটিতে যায়, তারাই কিন্তু তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তবে যাদের ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে না, ইদানীং সবচেয়ে বেশি সোচ্চার তারা! পড়ানোর মতো ছেলেমেয়ে নেই, তারাই বেশি কথা বলে। কিন্তু যারা যায়, তারা তো চাচ্ছে না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখবে, কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না। টিকা দেওয়ার পরে আমরা সব স্কুল খুলে দেব। এর আগে আমরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম তখনই সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ল যে, তার ধাক্কা এসে পড়ল আমাদের মধ্যে। এখন তো শিশুদেরও করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। লেখাপড়া শিখবে কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি না তা সংসদ উপনেতাকে একটু বিবেচনা করতে বলব।

দেশের সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেব : বিশ্বের যে দেশেই করোনার টিকা আবিষ্কার হচ্ছে সেই দেশে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে যেখানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, আরো টিকা আনব। যত লাগে টিকা কিনব। টিকা আসতে শুরু হয়েছে কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, দেশের ৮০ ভাগ লোককে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। বেশি দামে টিকা কিনে তা বিনামূল্যে জনগণকে দেওয়া হচ্ছে।

সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে সংসদ নেতা বলেন, জনগণকে গত ঈদুল ফিতরে বার বার অনুরোধ করলাম আপনারা আপনাদের জায়গা ছেড়ে যাবেন না, কিন্তু অনেকেই তো সে কথা শোনেননি, সবাই ছুটে চলে গেছেন। আর তার ফলটা কি হলো? সবাই যদি আমাদের কথা শুনতেন তাহলে হয়তো আজকে এমনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ত না। তারপরেও মানুষ আসলে যেতে চায় এটাই সমস্যা। তিনি বলেন, আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি, মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শুধু সরকার না আমাদের দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে প্রণোদনা দিয়েছি বিভিন্ন খাতে। আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। এমন কোনো শ্রেণিপেশার মানুষ নেই যাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নি। যেহেতু আবার করোনা দেখা দিয়েছে, আমাদের সাধ্যমতো জনগণকে আবার সহায়তা দেব, কারো খাদ্য প্রাপ্তিতে যাতে অসুবিধা না হয় অবশ্যই সেই বিষয়টা আমরা দেখব।

সংক্রমণ এড়াতে মহামারিকালে সবাইকে এক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মহামারি প্রতিরোধে সরকার যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো মেনে চললে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আমরা এখন লকডাউন ঘোষণা করেছি। আপনারা অন্ততপক্ষে নির্দেশনাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন, অন্যকে সুরক্ষিত রাখুন। মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার করা, আর যেন কোনোমতেই যেন সংক্রমিত না হন, তার জন্য দূরত্ব বজায় রাখা। এটা করতে পারলেই কিন্তু আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব

 

সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখবে, কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না।

                                                                                  ১৩ লাখ ডোজ টিকা মডার্না কোভ্যাক্সের আওতায়  কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশে এসে পৌঁছছে

কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার রাত ১১টা ২২ মিনিটে মডার্নার টিকার প্রথম চালানে সাড়ে ১২ লাখ এবং শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে আরও সাড়ে ১২ লাখ ডোজ টিকা এসে পৌঁছেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন ও টিকাকরণ কর্মসূচীর সদস্য সচিব ডাঃ শামসুল হক উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার সকালে কোভ্যাক্সের আওতায় মডার্নার আরও ১৩ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছছে। এই নিয়ে ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে মডার্না ও সিনোর্ফামের মোট ৪৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। চলতি মাসের শেষের দিকে আরও টিকা বাংলাদেশে আসবে। এই সব টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাকরণ কর্মসূচীকে অব্যাহত রাখা হবে। নতুন করে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশী, মেডিক্যালের ছাত্রছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকাকরণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ শামসুল হক জানান, শুক্রবার রাত ১১টা ২২ মিনিট থেকে শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে ৪৫ লাখ টিকা। এর মধ্যে মডার্নার টিকা ২৫ লাখ এবং সিনোর্ফামের ২০ লাখ। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সরকারের হাতে এসেছে এক কোটি ৬০ লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা। এর মধ্যে এ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি তিন লাখ ডোজ, সিনোফার্মের ৩১ লাখ ডোজ, মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ এবং ফাইজারের এক লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা রয়েছে।

 

বিশ্বব্যাপী গ্যাভি-দ্য ভ্যাকসিন এ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনায় কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর আগে এই সুবিধার আওতায় একটি চালানে ফাইজারের এক লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা এসেছে দেশে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে চীনের সিনোফার্ম থেকে কেনা টিকার প্রথম চালানের ১০ লাখ এবং ভোর সাড়ে ৫টায় বিশেষ দ্বিতীয় ফ্লাইটে আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে।

চীনের বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট কোং লিমিটেডের কাছ থেকে এই টিকা কিনেছে সরকার। সিনোফার্মের কাছ থেকে মোট এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা কেনার কথা রয়েছে।

গত ২৭ জুন দেশে অষ্টম টিকা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার করোনাভাইরাসের টিকার জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এর আগে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুতনিক, চীনের সিনোফার্ম, বেলজিয়ামের ফাইজার, চীনের সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের জনসন ও সুইডেনের এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে। গত ৭ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূচীটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ভ্যাকসিনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে স্থগিত করা হয়। ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় বাংলাদেশ গত ২৬ এপ্রিল প্রথম ডোজের কোভিড টিকা দেয়া বন্ধ করে দেয়। ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিকেও ৫ মে থেকে স্থগিত করে দেয়া হয়।

চীন সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ১৯ জুন থেকে আবারও সীমিত আকারে সরকার প্রথম ডোজের টিকা দেয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত এই টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের টিকা প্রয়োগ চলছে। এছাড়া রাজধানীর ৮টি কেন্দ্রে মোট ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, টিকা নিতে এখন পর্যন্ত মোট ৭২ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। তাদেরকে এ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি এক লাখ নয় হাজার ৯২৮ ডোজ, সিনোফার্মের ৬৬ হাজার ২৩৮ ডোজ এবং ফাইজারের ৯২৪ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।

১৩ লাখ ডোজ টিকা মডার্না কোভ্যাক্সের আওতায়  কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশে এসে পৌঁছছে

মানছে না লকডাউন

মানছে না লকডাউন ৪  দিনে রাস্তায় বেড়েছে যানবাহন ও মানুষের চলাচল। পুলিশের চেকপোস্টের কারণে কোথাও কোথাও দেখা গেছে যানজট।

রোববার সকালে নগরীর কিছু এলাকা ও সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাস্তায় বের হয়েছেন কর্মজীবীরা। রিকশায় গন্তব্যে ছুটেছেন অনেকে। কেউ কেউ যাচ্ছেন হেঁটে। চলছে ব্যক্তিগত গাড়িও। ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। খুলেছে নিত্যপণ্যের কিছু দোকান।

চেকপোস্টগুলোয় গাড়ি ও লোকজন থামিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে বের হওয়ার কারণ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলে বাসায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, করা হচ্ছে জরিমানাসহ গ্রেপ্তার।

তবে, অফিগামীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মস্থলে যেতে দেয়া হচ্ছে। রাস্তায় রিকাশার পাশাপাশি রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সড়কে কাজ করছে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। রাজধানী ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

চট্টগ্রামে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তারা লোক চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। যদিও প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের আনাগোনা কম থাকলেও অলিতে গলিতে চলাচল বেড়েছে মানুষের।

এছাড়া সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার সড়ক মহাসড়ক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবহন চালক ও যাত্রীদের। এছাড়া, মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় লকডাউন কার্যকরে টহল রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছে সব জরুরি সেবাসহ শিল্পকারখানা।

গতকাল বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩৪৬ জনকে করা হয়েছে জরিমানা। এছাড়া, ৮৫৫ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছে ডিএমপি। জরিমানা করা হয়েছে ১৯ লাখ ২২ হাজার টাকা।

বিস্তারিত BM24TV Website

মানছে না লকডাউন ৪ দিনে রাস্তায় বেড়েছে যানবাহন ও মানুষের চলাচল

চাঁদের হিসাব ও রোজার সংখ্যা : আলহাজ্জ্ব খাজা শাহ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আখতার হোসাইন আহমদীনূরী মা.জি.আ.
ইসলামের প্রথম ও প্রধান ফরজ জ্ঞানার্জন করা। যে কোন ইবাদত পালন করার জন্য সেই ইবাদতের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে আগে জানতে হয়। তা না হলে ইবাদত ত্রুটিমুক্ত হয় না। ত্রুটিযুক্ত ইবাদত থেকে কাঙ্ক্ষিত রহমত, নেয়ামত ও ফজিলত লাভ করা যায় না। তাই বলা হয়েছে এক ঘণ্টার জ্ঞান চর্চা ৭০ বছর নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। বিদ্বানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র। এ রকম অসংখ্য মূল্যবান বাণীর মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং তাঁর রাসূল পাক সাঃ জ্ঞানার্জনের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন।
মুসলমানদের অনেক ইবাদত চাঁদের হিসাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবিব মুহাম্মদ সাঃ চাঁদের হিসাব সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। রাসূল সা. নতুন চাঁদের যথাযথ হিসাব রাখতেন এবং উম্মতগণকে সে বিষয়ে সবিশেষ নির্দেশনা দান করেছেন। কেননা সঠিক ভাবে ইবাদত বন্দেগী পালন এবং তা থেকে কাক্সিক্ষত রহমত-নেয়ামত লাভ করতে হলে চাঁদের হিসাব সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা এবং সঠিক ভাবে হিসাব গণনা করা একান্তভাবে জরুরী। যে দিনে যে সময়ে যে ইবাদতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা যদি সঠিক দিন-ক্ষণ সময়ে পালিত না হয় তবে শ্রম বিফল হবে, সময় নষ্ট হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ফজিলত লাভের পরিবর্তে ভুল দিন-ক্ষণে ইবাদত পালন আদেশ লঙ্ঘনের সামিল বা গুনাহের কারণও হয়ে থাকে। তাই এ বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা অতি আবশ্যক।
চাঁদের হিসাবে গরমিলের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের কাঙ্ক্ষিত রহমত-ফজিলত হতে বঞ্চিত হতে হয়, কেননা শবে কদর, শবে বরাত, শবে মিরাজ ইত্যাদি এক রাতেরই ব্যাপার। হিসাব গণনা সঠিক না হলে তা পাওয়া যাবে না। একই ভাবে হিসাবের ক্রটির কারণে রমজানের ফরজ রোজা বিলম্বে শুরু এবং ঈদের দিনে রোজা রাখার মাধ্যমে হারাম রোজাও পালিত হয়।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনার মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মেধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান, সুতরাং তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। (সূরা তওবা, আয়াত-৩৬) আল কুরআনে অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, তিনিই সে মহান সত্তা যিনি বানিয়েছেন সূর্যকে উজ্জ্বল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারণ করেছেন এর জন্য মনজিলসমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ তায়ালা এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণ সমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে। (সূরা ইউনুছ, আয়াত-৫)
এভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন চাঁদের সঠিক হিসাবের গুরুত্ব অনুধাবনে জ্ঞানী ব্যক্তিদের মর্যাদা সম্পর্কেও বর্ণনা করেছেন। চাঁদের হিসাবের বিষয়ে অন্য একটি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, (হে রাসূল সাঃ) ! মানুষ আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন তা মানুষের জন্য সময় নির্ধারক এবং হজ্বের সময় নির্ধারণকারী। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৯)
আল কুরআনের এ সকল নির্দেশ ও নিদর্শন সমগ্র বিশ্বের মানব জাতির জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। দেশ বা অঞ্চল বিশেষে তা হেরফের করার সুযোগ নেই। তাই এলাকা ভিত্তিক চাঁদের ভিন্ন ভিন্ন হিসাব গ্রহণীয় নয়। ইসলামের বিধি-বিধান যথার্থরূপে পালনের লক্ষ্যে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সংগঠন ওআইসি’র অঙ্গ সংস্থা ‘ইসলামী ফিকাহ একাডেমী’ ১৯৮৬ সালে আম্মানে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ৬ নং প্রস্তাবে ঘোষণা করে, “কোন দেশে নতুন চাঁদ দেখা গেলে অন্য দেশের মুসলমানদেরও তাই মেনে চলা দরকার। চন্দ্র উদয়ের স্থানের পার্থক্য বিবেচনার প্রয়োজন নেই। কেননা চাঁদ দেখা মাত্র রোজা রাখার (অর্থাৎ রমজান শুরু করার) ও শাওয়ালের চাঁদ দেখে ঈদ করার আদেশ সার্বজনীন ও সবার জন্যে প্রযোজ্য।”
বিশ্বের সকল মুসলিম দেশের ইসলামী আইন বিশারদগণ ওআইসি’র ফিকাহ একাডেমির সদস্য। তাদের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের মধ্যে ৪৭টি দেশে একই দিনে রোজা, ঈদ ও অন্যান্য ইসলামী পর্ব পালন করছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। আর জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর দেশ সমূহের অন্যতম মালয়েশিয়া। এই দেশ দুইটির অবস্থান বিশ্ব মানচিত্রের পূর্ব দিকে। বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সময় পার্থক্য ৩ ঘণ্টার। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ার সাথে সৌদি আরবের সময় পার্থক্য ৫-৬ ঘণ্টা। তা সত্ত্বেও সে সব দেশ ওআইসি’র ফেকাহ একাডেমির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্বে প্রথম চন্দ্র দর্শনের উপর ভিত্তি করে চাঁদের উপর নির্ভরশীল ইসলামী পর্ব সমূহ উদযাপন করে আসছে। একই সঙ্গে তাদের পার্শ্ববর্তী ব্রুনাই, কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও একই দিনে ইসলামী অনুষ্ঠান সমূহ পালন করে।
ওআইসি’র উক্ত সিদ্ধান্ত কিছু মুসলিম রাষ্ট্র অনুসরণ না করার ফলে দেখা যায় একই ইবাদত বা অনুষ্ঠান বিশ্বব্যাপী ৩ দিনেও পালিত হয়ে থাকে। মুসলিম বিশ্বের এ বিশৃঙ্খল অবস্থা সম্পর্কে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ এক প্রেস রিলিজে ওআইসি’র মহাসচিব একমেলেদ্দীন ইহসানোগলু বলেন,’ “এ বছর (২০০৬) ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময়ের পার্থক্য ৩ দিন পৌঁছেছে। আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষতঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতির যুগে এই অবস্থা দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, ইসলামী উৎসবগুলোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এসব উৎসব বিশ্বের সব মুসলিমের হৃদয়ে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেয়। এই ঐক্য এসব উৎসবের নির্যাস হিসেবে প্রকাশ পায়। কিন্তু এসব উৎসব বর্তমানে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের বদলে অনৈক্য ও বিভেদের উপলক্ষ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। এতে মুসলিমদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে না। এটি একটি বড় ধরনের ভুল। কারণ এসব ধর্মীয় উৎসব ধর্মের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে দূরে সরে যেয়ে একঘেয়েমি ও কূপমন্ডুকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।”
বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে ওআইসি ছাড়াও বহু মুসলিম ব্যক্তি, সংস্থা ও রাষ্ট্র উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, চাঁদ কেন্দ্রিক ইবাদত ভিন্ন ভিন্ন দিতে পালন করা ইসলামের মূল আদেশের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয় এবং তা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্যও নয়। কেননা রমজান মাস নির্দিষ্ট সময়ে রহমতের ভান্ডারসহ আগমন করে। আল্লাহর রহমতের আগমন বার্তা সাধারণ মানুষ অনুধাবন করতে না পারলেও মহান আল্লাহর অলিগণ রুহানী শক্তিবলে তা ঠিকই উপলব্ধি করতে পারেন। সেজন্য তাঁদের আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখার প্রয়োজন হয় না। হযরত বড়পীর মহিউদ্দিন আবদুল কাদির জিলানী রহ. এর জীবনে এর প্রকৃষ্ট নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি রমজানের ১ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন এবং জন্মাবধি রমজান মাসে রোজা রাখতেন। তাঁর জীবনের প্রথম দিনের ঘটনা থেকে চাঁদের হিসাবের রহস্য জানা যাবে।
শাবান মাসের ২৯ তারিখে নতুন চাঁদ দেখার আশায় হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছে। পারস্যের জিলান নগরীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় তাদের পক্ষে নতুন চাঁদ দেখা সম্ভব হয়নি। পরের দিন রোজা রাখবে কি-না সকলে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলেন। হযরত আবদুল কাদির রহ. এর পিতা-মাতা সকলের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় ছিলেন। ধর্মীয় কোন মাসয়ালা-মাসায়েল জানতে হলে সকলে ছুটে যেত তাদের কাছে। চাঁদ না দেখতে পেয়ে পরের দিন প্রত্যুষে সকলে ছুটলো আবদুল কাদির রহ. এর বাড়িতে। ঘটনাক্রমে তাঁর পিতা সৈয়্যেদ আবু সালেহ মুসা জঙ্গীদুস্ত রহ. সেই সকালে বাড়িতে ছিলেন না। তখন মাতা উম্মুল খায়ের ফাতেমা রহ. সকলকে আশ্বস্ত করলেন এই বলে যে, “রেওয়ায়েতে আছে শাবানের ২৯ তারিখে চাঁদ না দেখা গেলে ৩০ তারিখ গণনা করতে হবে। তারপর রমজান শুরু করতে হবে। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার আমার শিশুপুত্র আবদুল কাদির সুবহে সাদিকের পর থেকে কিছুই পান করছে না। আমি তাঁর মুখের মধ্যে দুধ বা মধু দিলেও তা সে বের করে দিচ্ছে। আমার মনে হয় আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে সে রোজা পালন করছে।”
মাতার মুখে এ কথা শুনে সকলে বিস্ময়ে অভিভূত হলেন। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন সেদিনে রোজা রাখবেন। পরের দিন আকাশ পরিষ্কার ছিল।
সকলে দেখলেন, যে চাঁদ আকাশে উঠেছে তা দ্বিতীয় দিনের চাঁদ। এখানে শিক্ষণীয়, হাজার হাজার মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে যে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না, শিশু আবদুল কাদির জিলানী মাতৃক্রোড়ে থেকেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন। আল্লাহর অলিদের পক্ষে এটা সম্ভব। আল্লাহর ঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ের সাথে যে নির্ধারিত রহমত ফজিলত পৃথিবীর বুকে অবতীর্ণ হয় তা তাঁরা সাথে সাথে উপলব্ধি করতে পারেন এবং সে মোতাবেক ইবাদত-বন্দেগী পালন করে থাকেন। এ কারণে আধ্যাত্মিক দরবার সমূহে বিশ্বের প্রথম চন্দ্র উদয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইবাদত-বন্দেগী পালন করে থাকে।
বাংলাদেশের আকাশে সঠিক সময়ে নতুন চাঁদ উদয় না হওয়ায় আজ হতে প্রায় একশত চল্লিশ বছর পূর্বে শামসুল উলামা আল্লামা হযরত শাহ সূফী সৈয়্যেদ আহমদ আলী ওরফে হযরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরী রহ. চান্দ্র মাসের সঠিক হিসাব গণনার ভিত্তিতে ইবাদত-বন্দেগী করার জন্যে নির্দেশনা দান করেছেন। তিনি স্বরচিত নূরেহক গঞ্জেনূর গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। সে নির্দেশনা অনুসারে দরবার শরীফের ভক্ত-অনুসারীগণ এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষ বিশ্বের প্রথম চাঁদ দেখার সংবাদের ভিত্তিতে রোজা, ঈদ, শবে কদর, শবে বরাত ও অন্যান্য ইবাদত পালন করেন।
চাঁদের হিসাবের বিষয়ে রাসূল সা. বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, আর চাঁদ দেখে রোজা সম্পন্ন কর। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তা হলে শাবান মাসের দিনের সংখ্যা ত্রিশ পূর্ণ কর।” (বুখারী ও মুসলিম শরীফ) সহিহ হাদিসের বর্ণনায় জানা যায় কোন এক ব্যক্তি নতুন চাঁদ দেখার সংবাদ রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জানালে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস কর? সে জবাব দিল, হাঁ। অতঃপর রাসূল সা. তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি মুহাম্মদ সা. কে আল্লাহর রাসূল হিসাবে মান? সে জবাব দিল, হাঁ। তখন রাসূল সা. বিলালকে ডেকে বললেন, হে বিলাল সবাইকে জানিয়ে দাও কাল রোজা শুরু। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় সকলকে নিজের চোখে চাঁদ দেখার প্রয়োজন নেই, বরং কোন মুসলমান চাঁদ দেখার সংবাদ জানালে তা অন্য মুসলমানের জন্য মানা আবশ্যক। আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার গ্রহণযোগ্য উপায়ে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের একপ্রান্তের সংবাদ অন্যপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে যা কুরআন-হাদিসের নির্দেশ পালনে সহায়ক। তা সত্ত্বেও অন্য সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের আবিষ্কার স্বীকার করে নেয়া হলেও চাঁদের হিসাবের ক্ষেত্রে কেন এদেশ পিছিয়ে তা বোধগম্য নয়। বিশ্বব্যাপী সর্বত্র একই দিনে জুমার নামাজ আদায় হলেও ঈদের নামাজ আদায় হচ্ছে না। অজ্ঞতাই এর মূখ্য কারণ।
বাংলাদেশের আকাশে নতুন চাঁদ যথাসময়ে দৃষ্টিগোচর হয় না। তাই রহমতে পূর্ণ রমজানের ১টি বা ২টি রোজা বাদ হয়ে যায়। অন্যদিকে আল্লাহর হিসাবের রোজা শেষ হয়ে গেলেও এদেশের মানুষ রোজা পালন করতে থাকে। অর্থাৎ ঈদের দিনেও রোজা রাখে, যা হারাম। তাই নতুন চাঁদের হিসাবের ক্ষেত্রে কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে ফরজ রোজার সংখ্যা সঠিকভাবে পালনের প্রতি সকলের যত্মবান হওয়া আবশ্যক।

চাঁদের হিসাব ও রোজার সংখ্যা : আলহাজ্জ্ব খাজা শাহ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আখতার হোসাইন আহমদীনূরী মা.জি.আ.

শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও  ও পাশের কয়েকটি গ্রামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ওপর হেফাজত অনুসারীদের সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টভিস্ট ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী শাল্লায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
২০ মার্চ ২০২১ শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে এই নেতা বলেন, ১৫ মার্চ সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সম্মেলনে যান হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। সম্মেলনে মামুনুল হকের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে স্থানীয় এক হিন্দু যুবক ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন বলে জানা যায়। “ওই ঘটনাকে ধর্মীয় উসকানি আখ্যায়িত করে ওই এলাকার মামুনুল হকের অনুসারীরা মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেই রাতেই ওই যুবককে আটক করে। বিষয় হলো শাল্লায় ১৭ মার্চ ২০২১ বুধবার সকালেই কাশিপুর, নাচনী ও চণ্ডিপুরসহ কয়েকটি গ্রামের হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কয়েক হাজার অনুসারী কথিত হেফাজত ইসলাম সমর্থিত পরিচয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নোয়াগাও ও পাশের কয়েক গ্রামে হিন্দু ধর্মালম্বাদীর ওপর হামলা চালায়। মানবতাবিরোধী নৃশংস তাণ্ডবের তীব্রতায় হাজার হাজার নিরহ মানুষ জীবন রক্ষায় গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়। এমনকি হেফাজত নেতার অনুসারীরা ব্যাপক আকারে বাড়িঘর ভাঙচুর চালায় এবং টাকাপয়সাসহ জিনিসপত্রও লুটপাট করে।
তিনি আরো বলেন,প্রকৃতির অপূর্ব লীলাভূমির জনপদ সম্প্রীতির বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে রয়েছে সম্প্রীতির মরমি ব্যক্তিত্ব হাসন রাজা, শাহ আব্দুর রাজ্জাক কালাশাহ, রাধা রমণ, দুর্বিন শাহ, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম ও বাউল কবি ক্বারি আমির উদ্দিন। বিশেষ করে দিরাইর শাল্লায় রয়েছে প্রগতিশীল রাজনৈতিক বরুণ রায়, গুলজার আহমেদ, অক্ষয়কুমার দাশ, আব্দুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অমর স্মৃতি। তাছাড়াও রয়েছে প্রগতিশীল রাজনৈতিক গুণীজনের মানবিক মূল্যবোধের স্মৃতিজড়িত শতবছরের সম্প্রীতির ইতিহাস। এ হামলার মধ্য দিয়ে কথিত হেফাজত ইসলাম  আবারো প্রমাণ করলো তারা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করেনা। দাঙ্গা-হাঙ্গামা উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবই তাদের মূল কাজ।মানবতাবিরোধী নৃশংস এ যজ্ঞ সংগঠিত করে তারা বাংলাদেশের সম্প্রীতির ইতিহাসের ওপর করেছে কলঙ্ক লেপন।
নাফিয়ী আরো বলেন,আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে হবে ১৭ মার্চ ২০২১ বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবর্ষিকীর উৎসবের দিনে সুনামগঞ্জের দিরাইর শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হেফাজত ইসলাম সমর্থকগোষ্ঠী পরিচয়ে কাদের উসকানি ও প্রেরণায় এই আক্রমণ হলো এবং তাদের মূল পরিচয় কী? আমরা কিন্তু শাপলা চত্বরে হেফাজতের দেশ ও সরকারবিরোধী সে ষড়যন্ত্র ও তাণ্ডব কথা ভুলে যায়নি। তাই এদেরকে আর ছাড় নয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এ হামলার রহস্য কী তা দ্রুত বের করে অপরাধীদেরকে আইনের মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে তারা ভবিষ্যতে সাম্প্রদায়িক বীজ রোপন করতে না পারে।

মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন উল্লেখ্য যে, ওয়াজ মাহফিলে বরাবরই হেফাজত নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাবুনগরী ও মামুনুল হকের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য। সেই মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখেছিল এক হিন্দু যুবক। হেফাজতের অনুসারীরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। হামলার আগের রাতে আপত্তিকর লেখার অভিযোগে যুবককে সোপর্দ করা হয় পুলিশের কাছে। তবুও, ১৭ মার্চ বুধবার সকালে দিরাই-শাল্লা উপজেলার নাচনী, চণ্ডিপুর, সন্তোষপুর, কাশিপুর, সরমঙ্গলসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে কয়েক হাজার হেফাজত অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে শাল্লার হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে হামলা চালায়। এসময় তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর, ব্যাপক লুটপাট করে। এতে নিরীহ ও ভীত সন্ত্রস্ত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও যুবককে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। এমন দৃশ্য ১৯৪৭ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আর একাত্তরে পাকিস্তানী হায়নাদের তাণ্ডবের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন,পরিতাপের বিষয় হলো হেফাজতের নেতারা প্রতিনিয়ত সারাদেশে মাহফিলের দ্বারায় তাদের রাজনৈতিক এজেণ্ডা সহজ-সরল শান্তিপ্রিয় মানুষের মধ্যে দিনের পর দিন উসকানির মাধ্যমে বুঝিয়ে উত্তেজিত করছে। পাশাপাশি প্রগতিশীল লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতি কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সরকারের বিরুদ্ধেও। এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানের মূল নীতির বিষয়েও তাদের পরিকল্পিত প্রশিক্ষিত বক্তৃতার কারণে সাধারণ জনমনে নিয়মিত ঘৃণা এবং বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। যারা সুনামগঞ্জের শত বছরের সম্প্রীতির সুনাম নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিও দেখে দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। যাতে ভবিষ্যতে কখনো কেউ এমন আক্রমণের দুঃসাহস না দেখায়। রামু, রংপুর, নাসিরনগর, ভোলা ও শাল্লার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এই ঘটনাগুলো একই সূত্রেগাঁতা। আমাদের মনে রাখতে হবে এই দেশ অসম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। “ধর্ম যার যার প্রিয় বাংলাদেশ সবার।” এই দেশে ধর্ম নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বীজ রোপন করা চলবেনা। বাংলাদেশে দেশে সকল ধর্ম বিশ্বাসী নাগরিকের অধিকার সমান। আমাদের মহান সংবিধানেও সকল ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদের সমাধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সুতারং আর কালক্ষেপণ নয়, দেশের শান্তি, সম্প্রীতি, স্থিতিশীল পরিবেশ ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রার স্বার্থে এইসমস্ত উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক বক্তাদের ওয়াজের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিৎ।

শাল্লায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি – মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী

গত রবিবার ০৮ মার্চ ২১ ইং  সকাল ৮:৪৫ ঘটিকায় এই ঘটনাটি ঘটে। ভাড়া না দেয়ায় ‘এন মল্লিক’ নামের এক গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা হয় এক নারীকে, গাড়ি থেকে পরার কারণে তিনি মাথা এবং কোমরে প্রচন্ড আঘাত পান, যারফলে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না এবং মাথায় আঘাত পাওয়াতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছিলেন। স্থানীয় মানুষজন এগিয়ে এসে সেই ভদ্র মহিলাকে তুলে এবং জিজ্ঞাসা করার অল্প সময়ে মধ্যে বাস টি সেখান থেকে চলে যায়। এমন ঘটনাতে ও ভদ্র মহিলা কোনো কিছু বলেছিলো না। পরে জানা যায় সেই মহিলা কথা বলতে পারে না (বাকপ্রতিবন্ধী)। তবে তিনি শিক্ষিত আর তার পুরো ঘটনা সে পুরো ঘটনা একটি সিরির টাইলস্ এর উপর লিখে সকল মানুষ কে ।
তিনি বলেন, সে কোনাখোলা (কেরানীগঞ্জের একটি স্থান) স্ট্যান্ড থেকে এই বাসে উঠেন, কিছু রাস্তা অতিক্রম করার পর তার কাছে ভাড়া চাওয়া হয়, সে (ভদ্র মহিলা) ভাড়া না দেয়ায় তার সাথে এমন ব্যবহার করা হয়। তিনি (ভদ্র মহিলা) বাসের হেল্পার কে জানিয়েছেন তাকে এন মল্লিকের কোনো এক কর্মকর্তা বিনা ভাড়া তে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে, আর তার কাছে কোনো ভাড়া নেই। সে এই কথা কাগজে লিখে জানায়, হেল্পার এই কথা বুঝতে না পেরে তার সাথে এমন ঘটনা ঘটান। ভদ্র মহিলার বাড়ি জয়পাড়া, দোহার, নবাবগঞ্জ, ঢাকা । আর তার সাথে এমন ঘটনা ঘটানো হয় ডা্চ-বাংলা ব্যাংক সংলগ্ন, রামেরকান্দা, রুহিতপুর,  কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
একই দিন বিকেলে ‘এন মল্লিক’ নামের অন্য একটি গাড়ি রোহিতপুর বাজার সানপ্লাজা মার্কেট এর সামনে একজন মোটরসাইকেল চালক কে ধাক্কা দিয়ে খাদে ফেলে দেয় যার পরিচয় – মোঃ শাহ্ আলী খোকন, তিনি একজন থাই ব্যবসায়ী নতুন সোনাকান্দা ( বিসিক) এলাকায় তার দোকান, এতে ওনি ও গুরুতোর আহত হয়ে চিকিৎসা দীন রয়েছে। এলাকাবাসী দাবী ‘এন মল্লিক’ গাড়ির শৃখলা ফিরিয়ে আনা দরকার এবং চালক দের কে আরো সচেতেন হয়ে গাড়ি চালানো দরকার।

গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা হলো এক বাকপ্রতিবন্ধী নারী কে !

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage