চাঁদের হিসাব ও রোজার সংখ্যা : আলহাজ্জ্ব খাজা শাহ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আখতার হোসাইন আহমদীনূরী মা.জি.আ.

চাঁদের হিসাব ও রোজার সংখ্যা : আলহাজ্জ্ব খাজা শাহ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আখতার হোসাইন আহমদীনূরী মা.জি.আ.
ইসলামের প্রথম ও প্রধান ফরজ জ্ঞানার্জন করা। যে কোন ইবাদত পালন করার জন্য সেই ইবাদতের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে আগে জানতে হয়। তা না হলে ইবাদত ত্রুটিমুক্ত হয় না। ত্রুটিযুক্ত ইবাদত থেকে কাঙ্ক্ষিত রহমত, নেয়ামত ও ফজিলত লাভ করা যায় না। তাই বলা হয়েছে এক ঘণ্টার জ্ঞান চর্চা ৭০ বছর নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। বিদ্বানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র। এ রকম অসংখ্য মূল্যবান বাণীর মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং তাঁর রাসূল পাক সাঃ জ্ঞানার্জনের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন।
মুসলমানদের অনেক ইবাদত চাঁদের হিসাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবিব মুহাম্মদ সাঃ চাঁদের হিসাব সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। রাসূল সা. নতুন চাঁদের যথাযথ হিসাব রাখতেন এবং উম্মতগণকে সে বিষয়ে সবিশেষ নির্দেশনা দান করেছেন। কেননা সঠিক ভাবে ইবাদত বন্দেগী পালন এবং তা থেকে কাক্সিক্ষত রহমত-নেয়ামত লাভ করতে হলে চাঁদের হিসাব সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা এবং সঠিক ভাবে হিসাব গণনা করা একান্তভাবে জরুরী। যে দিনে যে সময়ে যে ইবাদতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা যদি সঠিক দিন-ক্ষণ সময়ে পালিত না হয় তবে শ্রম বিফল হবে, সময় নষ্ট হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ফজিলত লাভের পরিবর্তে ভুল দিন-ক্ষণে ইবাদত পালন আদেশ লঙ্ঘনের সামিল বা গুনাহের কারণও হয়ে থাকে। তাই এ বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা অতি আবশ্যক।
চাঁদের হিসাবে গরমিলের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের কাঙ্ক্ষিত রহমত-ফজিলত হতে বঞ্চিত হতে হয়, কেননা শবে কদর, শবে বরাত, শবে মিরাজ ইত্যাদি এক রাতেরই ব্যাপার। হিসাব গণনা সঠিক না হলে তা পাওয়া যাবে না। একই ভাবে হিসাবের ক্রটির কারণে রমজানের ফরজ রোজা বিলম্বে শুরু এবং ঈদের দিনে রোজা রাখার মাধ্যমে হারাম রোজাও পালিত হয়।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনার মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মেধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান, সুতরাং তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। (সূরা তওবা, আয়াত-৩৬) আল কুরআনে অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, তিনিই সে মহান সত্তা যিনি বানিয়েছেন সূর্যকে উজ্জ্বল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারণ করেছেন এর জন্য মনজিলসমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ তায়ালা এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণ সমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে। (সূরা ইউনুছ, আয়াত-৫)
এভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন চাঁদের সঠিক হিসাবের গুরুত্ব অনুধাবনে জ্ঞানী ব্যক্তিদের মর্যাদা সম্পর্কেও বর্ণনা করেছেন। চাঁদের হিসাবের বিষয়ে অন্য একটি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, (হে রাসূল সাঃ) ! মানুষ আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন তা মানুষের জন্য সময় নির্ধারক এবং হজ্বের সময় নির্ধারণকারী। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৯)
আল কুরআনের এ সকল নির্দেশ ও নিদর্শন সমগ্র বিশ্বের মানব জাতির জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। দেশ বা অঞ্চল বিশেষে তা হেরফের করার সুযোগ নেই। তাই এলাকা ভিত্তিক চাঁদের ভিন্ন ভিন্ন হিসাব গ্রহণীয় নয়। ইসলামের বিধি-বিধান যথার্থরূপে পালনের লক্ষ্যে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সংগঠন ওআইসি’র অঙ্গ সংস্থা ‘ইসলামী ফিকাহ একাডেমী’ ১৯৮৬ সালে আম্মানে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ৬ নং প্রস্তাবে ঘোষণা করে, “কোন দেশে নতুন চাঁদ দেখা গেলে অন্য দেশের মুসলমানদেরও তাই মেনে চলা দরকার। চন্দ্র উদয়ের স্থানের পার্থক্য বিবেচনার প্রয়োজন নেই। কেননা চাঁদ দেখা মাত্র রোজা রাখার (অর্থাৎ রমজান শুরু করার) ও শাওয়ালের চাঁদ দেখে ঈদ করার আদেশ সার্বজনীন ও সবার জন্যে প্রযোজ্য।”
বিশ্বের সকল মুসলিম দেশের ইসলামী আইন বিশারদগণ ওআইসি’র ফিকাহ একাডেমির সদস্য। তাদের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের মধ্যে ৪৭টি দেশে একই দিনে রোজা, ঈদ ও অন্যান্য ইসলামী পর্ব পালন করছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। আর জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর দেশ সমূহের অন্যতম মালয়েশিয়া। এই দেশ দুইটির অবস্থান বিশ্ব মানচিত্রের পূর্ব দিকে। বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সময় পার্থক্য ৩ ঘণ্টার। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ার সাথে সৌদি আরবের সময় পার্থক্য ৫-৬ ঘণ্টা। তা সত্ত্বেও সে সব দেশ ওআইসি’র ফেকাহ একাডেমির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্বে প্রথম চন্দ্র দর্শনের উপর ভিত্তি করে চাঁদের উপর নির্ভরশীল ইসলামী পর্ব সমূহ উদযাপন করে আসছে। একই সঙ্গে তাদের পার্শ্ববর্তী ব্রুনাই, কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও একই দিনে ইসলামী অনুষ্ঠান সমূহ পালন করে।
ওআইসি’র উক্ত সিদ্ধান্ত কিছু মুসলিম রাষ্ট্র অনুসরণ না করার ফলে দেখা যায় একই ইবাদত বা অনুষ্ঠান বিশ্বব্যাপী ৩ দিনেও পালিত হয়ে থাকে। মুসলিম বিশ্বের এ বিশৃঙ্খল অবস্থা সম্পর্কে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ এক প্রেস রিলিজে ওআইসি’র মহাসচিব একমেলেদ্দীন ইহসানোগলু বলেন,’ “এ বছর (২০০৬) ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময়ের পার্থক্য ৩ দিন পৌঁছেছে। আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষতঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতির যুগে এই অবস্থা দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, ইসলামী উৎসবগুলোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এসব উৎসব বিশ্বের সব মুসলিমের হৃদয়ে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেয়। এই ঐক্য এসব উৎসবের নির্যাস হিসেবে প্রকাশ পায়। কিন্তু এসব উৎসব বর্তমানে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের বদলে অনৈক্য ও বিভেদের উপলক্ষ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। এতে মুসলিমদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে না। এটি একটি বড় ধরনের ভুল। কারণ এসব ধর্মীয় উৎসব ধর্মের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে দূরে সরে যেয়ে একঘেয়েমি ও কূপমন্ডুকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।”
বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে ওআইসি ছাড়াও বহু মুসলিম ব্যক্তি, সংস্থা ও রাষ্ট্র উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, চাঁদ কেন্দ্রিক ইবাদত ভিন্ন ভিন্ন দিতে পালন করা ইসলামের মূল আদেশের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয় এবং তা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্যও নয়। কেননা রমজান মাস নির্দিষ্ট সময়ে রহমতের ভান্ডারসহ আগমন করে। আল্লাহর রহমতের আগমন বার্তা সাধারণ মানুষ অনুধাবন করতে না পারলেও মহান আল্লাহর অলিগণ রুহানী শক্তিবলে তা ঠিকই উপলব্ধি করতে পারেন। সেজন্য তাঁদের আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখার প্রয়োজন হয় না। হযরত বড়পীর মহিউদ্দিন আবদুল কাদির জিলানী রহ. এর জীবনে এর প্রকৃষ্ট নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি রমজানের ১ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন এবং জন্মাবধি রমজান মাসে রোজা রাখতেন। তাঁর জীবনের প্রথম দিনের ঘটনা থেকে চাঁদের হিসাবের রহস্য জানা যাবে।
শাবান মাসের ২৯ তারিখে নতুন চাঁদ দেখার আশায় হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছে। পারস্যের জিলান নগরীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় তাদের পক্ষে নতুন চাঁদ দেখা সম্ভব হয়নি। পরের দিন রোজা রাখবে কি-না সকলে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলেন। হযরত আবদুল কাদির রহ. এর পিতা-মাতা সকলের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় ছিলেন। ধর্মীয় কোন মাসয়ালা-মাসায়েল জানতে হলে সকলে ছুটে যেত তাদের কাছে। চাঁদ না দেখতে পেয়ে পরের দিন প্রত্যুষে সকলে ছুটলো আবদুল কাদির রহ. এর বাড়িতে। ঘটনাক্রমে তাঁর পিতা সৈয়্যেদ আবু সালেহ মুসা জঙ্গীদুস্ত রহ. সেই সকালে বাড়িতে ছিলেন না। তখন মাতা উম্মুল খায়ের ফাতেমা রহ. সকলকে আশ্বস্ত করলেন এই বলে যে, “রেওয়ায়েতে আছে শাবানের ২৯ তারিখে চাঁদ না দেখা গেলে ৩০ তারিখ গণনা করতে হবে। তারপর রমজান শুরু করতে হবে। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার আমার শিশুপুত্র আবদুল কাদির সুবহে সাদিকের পর থেকে কিছুই পান করছে না। আমি তাঁর মুখের মধ্যে দুধ বা মধু দিলেও তা সে বের করে দিচ্ছে। আমার মনে হয় আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে সে রোজা পালন করছে।”
মাতার মুখে এ কথা শুনে সকলে বিস্ময়ে অভিভূত হলেন। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন সেদিনে রোজা রাখবেন। পরের দিন আকাশ পরিষ্কার ছিল।
সকলে দেখলেন, যে চাঁদ আকাশে উঠেছে তা দ্বিতীয় দিনের চাঁদ। এখানে শিক্ষণীয়, হাজার হাজার মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে যে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না, শিশু আবদুল কাদির জিলানী মাতৃক্রোড়ে থেকেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন। আল্লাহর অলিদের পক্ষে এটা সম্ভব। আল্লাহর ঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ের সাথে যে নির্ধারিত রহমত ফজিলত পৃথিবীর বুকে অবতীর্ণ হয় তা তাঁরা সাথে সাথে উপলব্ধি করতে পারেন এবং সে মোতাবেক ইবাদত-বন্দেগী পালন করে থাকেন। এ কারণে আধ্যাত্মিক দরবার সমূহে বিশ্বের প্রথম চন্দ্র উদয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইবাদত-বন্দেগী পালন করে থাকে।
বাংলাদেশের আকাশে সঠিক সময়ে নতুন চাঁদ উদয় না হওয়ায় আজ হতে প্রায় একশত চল্লিশ বছর পূর্বে শামসুল উলামা আল্লামা হযরত শাহ সূফী সৈয়্যেদ আহমদ আলী ওরফে হযরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরী রহ. চান্দ্র মাসের সঠিক হিসাব গণনার ভিত্তিতে ইবাদত-বন্দেগী করার জন্যে নির্দেশনা দান করেছেন। তিনি স্বরচিত নূরেহক গঞ্জেনূর গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। সে নির্দেশনা অনুসারে দরবার শরীফের ভক্ত-অনুসারীগণ এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষ বিশ্বের প্রথম চাঁদ দেখার সংবাদের ভিত্তিতে রোজা, ঈদ, শবে কদর, শবে বরাত ও অন্যান্য ইবাদত পালন করেন।
চাঁদের হিসাবের বিষয়ে রাসূল সা. বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, আর চাঁদ দেখে রোজা সম্পন্ন কর। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তা হলে শাবান মাসের দিনের সংখ্যা ত্রিশ পূর্ণ কর।” (বুখারী ও মুসলিম শরীফ) সহিহ হাদিসের বর্ণনায় জানা যায় কোন এক ব্যক্তি নতুন চাঁদ দেখার সংবাদ রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জানালে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস কর? সে জবাব দিল, হাঁ। অতঃপর রাসূল সা. তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি মুহাম্মদ সা. কে আল্লাহর রাসূল হিসাবে মান? সে জবাব দিল, হাঁ। তখন রাসূল সা. বিলালকে ডেকে বললেন, হে বিলাল সবাইকে জানিয়ে দাও কাল রোজা শুরু। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় সকলকে নিজের চোখে চাঁদ দেখার প্রয়োজন নেই, বরং কোন মুসলমান চাঁদ দেখার সংবাদ জানালে তা অন্য মুসলমানের জন্য মানা আবশ্যক। আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার গ্রহণযোগ্য উপায়ে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের একপ্রান্তের সংবাদ অন্যপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে যা কুরআন-হাদিসের নির্দেশ পালনে সহায়ক। তা সত্ত্বেও অন্য সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের আবিষ্কার স্বীকার করে নেয়া হলেও চাঁদের হিসাবের ক্ষেত্রে কেন এদেশ পিছিয়ে তা বোধগম্য নয়। বিশ্বব্যাপী সর্বত্র একই দিনে জুমার নামাজ আদায় হলেও ঈদের নামাজ আদায় হচ্ছে না। অজ্ঞতাই এর মূখ্য কারণ।
বাংলাদেশের আকাশে নতুন চাঁদ যথাসময়ে দৃষ্টিগোচর হয় না। তাই রহমতে পূর্ণ রমজানের ১টি বা ২টি রোজা বাদ হয়ে যায়। অন্যদিকে আল্লাহর হিসাবের রোজা শেষ হয়ে গেলেও এদেশের মানুষ রোজা পালন করতে থাকে। অর্থাৎ ঈদের দিনেও রোজা রাখে, যা হারাম। তাই নতুন চাঁদের হিসাবের ক্ষেত্রে কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে ফরজ রোজার সংখ্যা সঠিকভাবে পালনের প্রতি সকলের যত্মবান হওয়া আবশ্যক।

     More News Of This Category

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage