করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে ৫৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়ার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের তথ্যমতে, আজ সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অকারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৩৬ জনকে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ টাকা জরিমানা করেছেন। পাশাপাশি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯৭টি গাড়িকে ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। এরপর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোরতম বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।

কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৫৫৫

ট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে ৯১৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা-সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সরকারি হিসাব অনুসারে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৭৮ হাজার ৪৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় চট্টগ্রামে মারা গেছেন মোট ৯৩২ জন।

আগের দিন চট্টগ্রামে ৩ হাজার ৩৮৯ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ১ হাজার ৩১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩৯ শতাংশ। এদিন চট্টগ্রামে করোনায় ১৮ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এদিনই চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড হয়। মহামারি শুরুর পর চট্টগ্রামে এক দিনে এত মানুষ আগে কখনো মারা যায়নি। এ ছাড়া এক দিনে এত মানুষের করোনা আগে কখনো শনাক্ত হয়নি।

এর আগের দিন চট্টগ্রামে ২ হাজার ২৮২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৮৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩৭ শতাংশ। সেদিন চট্টগ্রামে করোনায় ১২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান।

চট্টগ্রামে শনাক্ত ৯১৫, ১৭ জন মারা গেছেন

৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের টিকাদান কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের টিকাদান কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে — স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

corona

করোনায় মৃত্যু যেন লাফিয়ে বাড়ছে। আর লাগামহীনভাবে ছুটছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না সংক্রমণ। একদিনে মৃতের সংখ্যা ২৪৭ জনে ঠেকেছে। যা একদিনে রেকর্ড মৃত্যু। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যু ১৯ হাজার ৫২১ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ১৯২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে।

সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ হাজার ৯৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।

এর আগে, গতকাল রোববার (২৫ জুলাই) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২৮ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া করোনা শনাক্ত হয় ১১ হাজার ২৯১ জন।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ও সংক্রমণ কমেছে। এ সময় মারা গেছেন আরও ৬ হাজার ৮৫৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৭ হাজার ৮০ জন।

এর আগে রোববার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গিয়েছিল ৮ হাজার ১৮২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৩৫৮ জন।

এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৬৭ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ১ হাজার ২০৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৫ জন।

করোনা মৃত্যু-শনাক্তের আগের সব রেকর্ড ভাঙল(Corona News)

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু (রানি)

গরুর কথা উঠলেই কার গরু কতটা বড়, কত বেশি ওজন, কত বেশি দুধ দেয়- এ সব থাকে আলোচনায়। কোরবানির ঈদের আগে পত্রিকায় দেখতে পাওয়া যায় বড় বড় গরুর খবর। সেই সব গরুর বাহারি নাম দেওয়া হয়।

তবে সাভারের একটি গরুর নাম আলোচনায় এসেছে ভিন্ন কারণে। সবচেয়ে দামি কিংবা ওজনের জন্য নয়, এই গরুর নাম ছড়িয়েছে সবচেয়ে ছোট হওয়ার কারণে। নাম দেওয়া হয়েছে রানি। সাভারের আশুলিয়ার একটি খামারে পালন করা হচ্ছে রানিকে।

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ড ছিল ভারতের কেরেলা রাজ্যের ৪ বছর বয়সী লাল রঙের মানিকিয়াম নামের এক গরুর। তবে সেটাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে আশুলিয়ার চারিগ্রামের রানি। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার ২ বছর বয়সী ‘বক্সার ভূট্টি’ জাতের এই গরুটির ওজন মাত্র ২৬ কেজি।

গরুর মালিক সাভারের শিকড় এগ্রো লিমিটেডের ম্যানেজার আবু সুফিয়ান জানান, প্রতিষ্ঠানটি বছর দুয়েক আগে কোনো এক মাধ্যমে খবর পেয়ে নওগাঁর এক খামারির কাছ থেকে গরুটি কেনে। সেটিকে দিনে দুইবার খাবার দিতে হয়। সাধারণ গরুর তুলনায় এটির খাবার লাগে অনেকটা কম। ম্যানেজার আবু সুফিয়ান দাবি করেন, গরুটির দাম ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে এত বেশি দাম উঠার কারণ ব্যাখ্যা করেননি তিনি।

তিষ্ঠানটি জানায়, ইন্টারনেট ঘেঁটে তারা জানতে পেরেছেন- এটিই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট গরু। এটি এখন কোরবানির উপযুক্ত। গরুটিকে বিশ্ব রেকর্ডে জায়গা করে দিতে গত ২ জুলাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদনের পর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ একটি রিপ্লাইও দিয়েছে। গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। ওই প্রক্রিয়া শেষ করে তারা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই গরু বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর অফিসিয়াল তকমা পাবে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু (রানি)

২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত করা হলেও চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে স্কুলগুলোকে। আর শিক্ষার্থীরা সুবিধাজনক সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারবেন।

সোমবার (২৬ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক মো. বেলাল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছি। কিন্তু চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদে অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ ও জমা নেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করতে সব স্কুলকে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লকডাউন এলাকায় শিক্ষার্থীদের সুবিধাজনক সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সে নির্দেশনা বহাল থাকবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সুবিধাজনক সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেবে স্কুলগুলো।

তবে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঈদ পরবর্তীতে আজ (২৬ জুলাই) থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশের কথা থাকলেও তা এনসিটিবি থেকে হাতে পায়নি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। আজ সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন বলেও জানা গেছে। তিন সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তত রয়েছে।

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলবে

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বরেণ্য গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর। আজ শুক্রবার রাত ১১টার একটু আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব তার বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ফকির আলমগীরের ছেলে জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি কয়েক দিন ধরে জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন তার বাবা। এ অবস্থায় গত ১৪ জুলাই তার নমুনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিলেও আস্তে আস্তে অবস্থার অবনতি হয়।
মাশুক আলমগীর রাজীব আরো জানান, গত ১৬ জুলাই তাকে নিয়ে রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে সৌভাগ্যক্রমে ইউনাইটেড হাসপাতালে আইসিইউ (নিবিড়ি পরিচর্যা কেন্দ্র) বেড পাওয়া যায়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ফকির আলমগীরকে দুই ব্যাগ প্লাজমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুনিয়া ছেড়ে চলে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর জেলার ভাঙা থানার কালামৃধা গ্রামে ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন ফকির আলমগীর। ১৯৭৬ সালে তিনি গড়ে তোলেন লোকপ্রিয় ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী। স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী তিনি। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে একুশে পদক পান ফকির আলমগীর।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর

পদ্মা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ৩১টি কোরবানির পশু নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ-লৌহজংয়ের শামুরবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ২৩টি গরু জীবিত উদ্ধার করা হলেও ১টি মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। বাকি ৬টি গরুসহ ট্রলারটি নিখোঁজ রয়েছে।

লৌহজং থানা সূত্র ও গাঁওদিয়া ইউনিয়নের মেম্বার মো. রাসেদ মিয়া জানান, ফরিদপুর থেকে কোরবানির পশুবোঝাই করে একটি ট্রলার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে লৌহজংয়ের শামুরবাড়ি এলাকায় পদ্মা নদীতে অপরদিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৩১টি পশু নিয়ে ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা লোকজনের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ২৩টি গরুর রশি কেটে দিলে গরুগুলো পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়।

তবে ১টি গরু মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং ৬টি গরু ও পশু বহনকারী ট্রলারটি নিখোঁজ রয়েছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ৪ জন পাইকার আহত হলে তাদের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাটবালিগাঁও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত গরুটিসহ নিখোঁজ ৬টি গরুর দাম প্রায় দশ লাখ টাকা হবে বলে জানান পাইকাররা। এদিকে লৌহজং থানা পুলিশ বালুবাহী বাল্কহেডটি আটক করেছে।

 

ধাক্কায় ৩১টি কোরবানির পশু নিয়ে একটি ট্রলারডুবির

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage