গত ৩ এপ্রিল গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের চুম্বক অংশটি দেশের সব পত্রিকায় খুবই গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত দূরদর্শী ও সময়োপযোগী এ বক্তব্যে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য জনশক্তিকে দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এজন্য কূটনীতিকে এখন রাজনৈতিক বলয় থেকে বিস্তৃত করে অর্থনৈতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরাও বহুদিন আগে থেকেই নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে সেখানে জনশক্তি রপ্তানি করে বেসরকারি পর্যায়ে তাদের ভূমিকা রেখে চলেছেন। এসব নতুন দেশের অনেকগুলোই ইউরোপ মহাদেশের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ।

একজন পর্যটন ব্যবসায়ী হয়েও একই সঙ্গে বাংলাদেশের একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন বাজারের সন্ধানে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশ দিনের এক দীর্ঘ ব্যবসায়িক সফরে রোমানিয়া, সার্বিয়া, অস্ট্রিয়া, ইতালি ও পোল্যান্ড ভ্রমণ করেছি এবং এসব দেশের বিভিন্ন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত অনেকগুলো বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছি। এসব বৈঠকে চাকরিদাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনায় যা উঠে এসেছে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হচ্ছে সেসব দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা, যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবৃত হয়েছে।

বিভিন্ন বাস্তবিক কারণেই ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা। বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারি নির্মাণশিল্পের শ্রমিক, বিভিন্ন রকমের কারখানা ও ওয়্যারহাউসের শ্রমিক, রেস্টুরেন্টের শেফ ও ওয়েটার, ভারি যানবাহনের ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পেশায় দক্ষ কর্মীদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে দক্ষ ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা। এদের চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি বেতনও তুলনামূলকভাবে অনেক। পক্ষান্তরে অদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা যেমন কম, তাদের বেতনও অনেক কম।

তাই আমাদের বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমিকদের বর্তমান চাকরি বাজারের উপযুক্ত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি বিভিন্ন পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিকদের বিদেশে প্রেরণ করতে চাই, তাহলে ইউরোপের দেশগুলো হতে পারে আমাদের জন্য চমৎকার এক শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় ইউরোপের এসব দেশে বেতনের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি এবং সুযোগ-সুবিধাও অনেক। তাছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশ হওয়ার কারণে এসব দেশের জীবনযাপনের মানও অনেক উন্নত এবং বেশিরভাগ দেশেই পাঁচ বছর নিয়মমাফিক অবস্থান করলে শর্তসাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়।

একটি বাস্তবিক ব্যাপার হলো যে, আমাদের দেশের শ্রমিকদের মধ্যে যাদের ওইসব দেশে স্থায়ী বসবাসের ইচ্ছে রয়েছে, স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন তাদের জন্য বয়ে আনতে পারে তাদের নিজেদের জীবনমান পরিবর্তনের এক সুবর্ণ সুযোগ। আর এসব দেশে অবস্থান করে চাকরির মাধ্যমে অর্থোপার্জন করে তা দেশে পাঠানোর মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখতে পারে; তেমনি তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্থনীতিতে আনতে পারে এক সোনালি বিপ্লব, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
তবে ইউরোপে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিপুল এই সম্ভাবনার হাত ধরে একই সঙ্গে চলে এসেছে একটি মারাত্মক বাস্তবিক আশঙ্কাও; যা এই সম্ভাবনাকে হয়তো বা আঁতুড়ঘরেই হত্যা করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ইউরোপের দেশগুলোতে শ্রমিকদের অভিবাসনের পছন্দের তালিকায় বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ রোমানিয়া; যে দেশটি প্রায় তিন দশক আগে কমিউনিজম শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বর্তমানে শেঙ্গেন দেশগুলোর জোটে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই দেশটিতে অভিবাসনের প্রত্যাশায় এত বেশি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যে, রোমানিয়া সরকার এসব আবেদন নিষ্পত্তি করে ভিসা প্রদানের জন্য গত বছর তিন মাসের মেয়াদে একটি কনস্যুলার টিম বাংলাদেশে প্রেরণ করেছিলেন এবং বর্তমান বছরের মার্চ মাস থেকে আবারো তারা ঢাকায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এটি আমাদের জনশক্তি রপ্তানির জন্য একটি দারুণ ইতিবাচক ব্যাপার।

কিন্তু আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যে আশঙ্কার উদ্রেক করেছে তা অত্যন্ত বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক এবং তা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের ভেবে দেখার দাবি রাখে বৈকি!
রোমানিয়াসহ উল্লেখিত দেশগুলোর প্রায় সবটিতেই অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একজন শ্রমিককে তাদের দেশে এনে কাজে যোগদান করাতে একজন চাকরিদাতাকে কমবেশি প্রায় ৬ মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর জন্য তাদের অর্থকড়িও খরচ করতে হয়। কিন্তু এত অপেক্ষার পর চাকরিদাতারা যেসব শ্রমিককে তাদের দেশে নিয়ে আসেন, তারা কিছুদিন চাকরি করার পর; এমনকি কখনো কখনো সেসব দেশে পদার্পণের পরপরই আরো উন্নত জীবন পাওয়ার আকাক্সক্ষায় তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে যান ফ্রান্স, ইতালি কিংবা ইউরোপের অন্যান্য উন্নত দেশে সেখানে অবস্থান করা তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে; যা একজন চাকরিদাতার জন্য এক চরম ক্ষতিকর ব্যাপার। এই ক্ষতি শুধু যে চাকরিদাতার জন্য ক্ষতি তা নয়; এই ক্ষতি পালিয়ে যাওয়া এসব বাংলাদেশি শ্রমিকেরও।

কারণ অবৈধভাবে ভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশের কারণে তারা সেসব দেশেও হয়ে পড়েন অবৈধ অভিবাসী এবং তাদের ভবিষ্যৎকে করে তোলেন ঝুঁকিপূর্ণ। যখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন, তখন আর সেখানে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। তারা সেসব দেশে যাপন করেন অবর্ণনীয় এক দুঃস্বপ্ন ও দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, যা তাদের পরিবারের কাছে তারা লজ্জায় প্রকাশ করেন না; আর আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ তাই তা জানতেও পারেন না।

অপরদিকে এসব পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকের কারণে ওইসব দেশের চাকরিদাতাও বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরি প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এর ফলে যেসব শ্রমিক ওইসব দেশে অভিবাসনের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন, তাদের জন্য সেই সুযোগ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; বিনা দোষে কপাল পুড়ছে তাদের। অথচ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরা কিন্তু তাদের চাকরির শর্ত ভঙ্গ করছেন না এবং সুনামের সঙ্গেই তারা ওইসব দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকরা যদি এমন অপরিণামদর্শী না হতেন; তাদের চাকরিদাতাকে বিপদে না ফেলে সেখানেই চাকরি করতেন তবে সেসব দেশে আমরা লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতাম।

আরেকটি ব্যাপারে সদাশয় সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের মতো ইতি টানতে চাই। গত ৬ মার্চ তুষার ঢাকা এক হিমশীতল বিকালে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশোতে পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধিসহ আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের উষ্ণ আতিথেয়তায় দূতাবাসের অফিসে এক ঘণ্টা স্থায়ী এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের দুজনের ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তিনি বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরির সুযোগ খোঁজার জন্য আমাকে ধন্যবাদ প্রদান করেন তবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি অংশ ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দক্ষ শ্রমিকদের চাকরির চাহিদার ব্যাপারে তিনিও একমত প্রকাশ করেন এবং আমি তাকে জানাই যে, বৈঠকে উপস্থিত পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আমার কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ওয়েল্ডার এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের (সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার) কর্মসংস্থানের জন্য আমাকে একটি চাহিদাপত্র প্রদান করেছেন এবং আমি এই কোম্পানির সব কাগজপত্র এবং উক্ত ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মস্থল, কর্মপরিবেশ এবং থাকার জায়গা ইত্যাদি দূতাবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা, পরিদর্শন ও সত্যায়িত করাতে চাইলে তিনি তার জনবলের অপ্রতুলতার কথা প্রকাশ করলেও তিনি ব্যাপারটি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।

এখানে বলা উচিত যে, পোল্যান্ডে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের বসবাস এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, এখানে বাংলাদেশিদের মালিকানায় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি! আমার মনে হয়েছে সুন্দর এই দেশটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি উদ্যোক্তার দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে পোল্যান্ড এবং জার্মানি হতে পারে আমাদের একটি প্রধান শ্রমবাজার কেননা জার্মানিও ইতোমধ্যে তাদের প্রায় ৬০ হাজার দক্ষ জনশক্তির চাহিদার ঘোষণা দিয়েছে।

সদাশয় সরকার পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসে জনবল বৃদ্ধি ও লেবার কাউন্সিলর নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারটি বিবেচনায় নিলে সেখানে আমাদের জনশক্তি রপ্তানির কাজটি সহজ হতে পারে। আর বাংলাদেশে যেহেতু পোল্যান্ডের কোনো দূতাবাস নেই, তাই আমাদের নাগরিকদের ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে যেতে হয় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এবং সেখানে প্রায় এক মাস অবস্থান করতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতো পোল্যান্ডের ভিসা আবেদনপত্রও যদি ‘ভিএফএসে’র (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার) মাধ্যমে ঢাকায় জমা নেয়ার ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আমাদের নাগরিকদের ভিসা আবেদনের খরচ কমে যেত অনেক এবং তাদের মূল্যবান সময় বেঁচে যেত। আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি পোলিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি সহজীকরণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন।

ড. মো. মামুন আশরাফী : লেখক : কবি, রাষ্ট্রচিন্তক ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ।

বাংলাদেশের নতুন শ্রমবাজার : ইউরোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে দক্ষিন যুবলীগের অন্তর্গত ঢাকা ৫ আসনের তৃনমুলকে আরও শক্তিশালী, গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে ১৪টি ওয়ার্ডে ১৪৩টি কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ  মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা ৫ আসন যুবলীগের প্রধান সমন্বয়ক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু সভাপতিত্বে  এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিন যুবলীগের অন্তর্গত ঢাকা ৫ আসনের যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানার অন্তর্গত (৪৮,৪৯,৫০,৬০,৬১,৬২,৬৩,৬৪,৬৫,৬৬,৬৭,৬৮,৬৯,৭০) মোট ১৪টি ওয়ার্ডের ১৪৩টি কেন্দ্রভিত্তিক ইউনিট কমিটি করার লক্ষে এ সভায় হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরে সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: হেলাল উদ্দিন হেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা  ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদা,মহানগর দক্ষিনের অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন সাইমন, কার্যকরী সদস্য গোলাম মোস্তফা ও ডেমরা যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্ভুক্ত যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। সভায় উপস্থিত থাকা বক্তারা বলেন, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান লিখিল সংগঠনকে আর শক্তিশালী করতে ইউনিট কমিটি করতে নিদের্শনা দিয়েছেন।

সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যারা জনপ্রিয় দক্ষ ও দলের মধ্যে সক্রিয় এমন নেতাদের যাচাই-বাছাই করে কমিটিতে জায়গা দেওয়া হবে। এসময় ওয়ার্ড ও ইউনিট নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মানবিক হয়ে মানুষ পাশে থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান বক্তারা।

মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের  অন্তর্গত ১৪টি ওয়ার্ডে ১৪৩টি কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পায়ে-পায়ে ছন্দ আর আনন্দে দিন কাটাতে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষের জন্য উদ্ধোধন হল গাজী বাবু ইউনিক কালেকশন। আজ রোববার বিকালে রাজধানীর সদরঘাটের গ্রেটওয়াল শপিং সেন্টারের ৪র্থ তলায় গাজী বাবু ইউনিক কালেকশনের ২য় শো-রুমটি উদ্ধোধন করা হয়।

উদ্ধোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সফল মন্ত্রী বর্তমান ঢাকা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডঃ কাজী ফিরোজ রশিদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দীন রানা ,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম, ৩৭ নং ওয়ার্ড,ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী ২৫নং ওয়ার্ড, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার ইকবাল সান্টু,বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাজী মো: কামাল হোসেন,পাটুয়াটুলি মসজিদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক দবির খান, ২২ মার্কেট এক্সেসরিজ সমিতির উপদেষ্টা ইউসুফ খান, ২২ মার্কেট এক্সেসরিজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, গ্রেট ওয়াল শপিং সেন্টার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ ব্যাবসায়ী বৃন্দ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের ও আওয়াতধিন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

জানতে চাইলে “গাজী বাবু ইউনিক কালেকশনের “স্বত্বাধিকারী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ঈদের উৎসবকে রঙিন ও আনন্দমুখর করে তুলতে প্রয়োজন নতুন পোশাকের। ইতোমধ্যে মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটার জন্য বিশেষ আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। সব বয়সী মানুষের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক বাজারে নিয়ে এসেছে “গাজী বাবু ইউনিক কালেকশন”। এছাড়া মানুষকে আরও বেশি সুন্দর ও স্মার্ট করে তুলতে জুতার কোনো বিকল্প নেই। আগের দিনে মানুষ জুতা ব্যবহার করতো শুধুমাত্র নিজের পা-কে ধূলোবালি থেকে নিরাপদ রাখার জন্য। কিন্তু সময়ের ক্রমনানুসারে এখন মানুষ পায়ের নিরাপত্তার পাশা পাশি নিজেকে অন্যের চেয়ে একধাপ বেশি স্মার্ট করে উপস্থাপন করতে জুতা ব্যবহার করে থাকে। নতুন এই শো-রুমে আপনার বিভিন্ন বয়সের মানুষের জুতা-স্যান্ডেল পাবে। আমাদের এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের জুতার কালেকশন রয়েছে।

গাজী বাবু ইউনিক কালেকশনের শুভ উদ্ধোধন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো বছরব্যাপী দেশের ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ-এর আবদুল্লাহ ফারুক কনফারেন্স হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দো-ইউরোপিয়ান চেম্বার অব স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ-এর প্রেসিডেন্ট ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রিসডা বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুজ্জামান মুন্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তাষ কুমার দেব, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জহির উদ্দিন আরিফ এবং এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব মানিকগঞ্জ এর পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. সোয়েব-উর-রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের পরিচালক (অপারেশন) কিশোর রায়হান। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর এ্যাম্বাসেডরবৃন্দ, বিটিইএ-এর পরিচালক ও উপদেষ্টাবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিটিইএ-এর পরিচালক (অপারেশন) কিশোর রায়হান। উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২২ প্রশ্ন ব্যাংক’ নামে একটি তথ্যবহুল বই প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিটিইএ। বইটি পড়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তরুণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পর্যটন সম্পর্কে নতুন নতুন জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এই বইয়ের মাধ্যমে তারা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো তুলে ধরতে পারবে।

প্রশ্ন ব্যাংক বইটিতে বঙ্গবন্ধুর উপর ১০০ প্রশ্ন, দেশীয় পর্যটন ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে ৩০০ প্রশ্ন এবং আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ১০০ প্রশ্ন স্থান পেয়েছে। এই বইটি পড়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা পর্যটন শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং ২৩ সালের বছরব্যাপী কর্মকাণ্ডের কারণে ২৪ সালে নতুন করে ডোমেস্টিক পর্যটনে ১ কোটির বেশি পর্যটক বাড়বে যা অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে বিটিইএ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩ প্রশ্ন ব্যাংক’ শীর্ষক বইটির প্রশংসা করে বলেন, প্রায় ৮৬ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুনভাবে তুলে ধরতে সহায়তা করবে বলে আমার ধারণা। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর আয়োজন করায় বিটিইএ-কে ধন্যবাদ জানান এবং অলিম্পিয়াডের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড’ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্তীদেরকে পর্যটন সম্পর্কে অবহিত করতে সহায়তা করবে এবং এর সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে দেশপ্রেমের নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও সূচনা হবে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এই চার শ্রেণীতে প্রায় ৮৬ লাখের বেশি শিক্ষার্তী রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারে ৫জন করে সদস্য থাকলে মোট দেড় কোটির বেশি মানুষ সরাসরি বঙ্গবন্ধু ও পর্যটন শিল্প সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন।

এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সমাজসেবক সহ আরও প্রায় দেড় কোটি মানুষ মিলে মোট তিন কোটিরও অধিক মানুষ বঙ্গবন্ধু ও পর্যটন শিল্প সম্পর্কে নতুন করে ধারণা পাবে। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর সফল বাস্তবায়নে সরকার, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সমাজসেবক সহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

জমকালো আয়োজনে ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত

 

স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখা তারকাদের নিয়ে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অনুষ্ঠান। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ময়ূরপঙ্খী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ও ময়ূরপঙ্খী ইন্টারন্যাশনাল এর ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত হয়।

মাননীয় সংসদ সদস্য এড. খোদেজা নাসরিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা তুলে দেন । গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারাল ম্যানেজার মো কামরুল ইসলাম, বাচসাস এর সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নুহা অ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম, বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীর, ডিএসসিসির ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, নাট্য প্রযোজক ও শিল্পপতি আতাউর রহমান আতা, ম্যাকয়ের ফাউন্ডার মেজবাউল আলম সাজু, উদ্যোক্তা আয়াত শিরিন।

অনুষ্ঠানের মূল কো-অর্ডিনেটর ও সঞ্চালনায় ছিলেন ময়ূরপঙ্খীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রুহিত সুমন। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রুহিত সুমন বলেন, মিডিয়া ও সামাজিক অঙ্গনের গুণীদের নিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’-এ সহযোগিতাকারী সকল স্পন্সর, পার্টনার ও সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ময়ূরপঙ্খীর সামনের ইভেন্টগুলোতেও সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই সম্মানিত সকল অতিথি, শিল্পী, কলা-কুশলী, সাংবাদিক, গণমাধ্যম-কর্মী ও দর্শকদের যাদের উপস্থিতি আমাদের এই অনুষ্ঠানকে আলোকিত করেছে। অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ইমন, চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা, অভিনেতা সজল, অভিনেত্রী রুনা খান, সংগীত শিল্পী ইকবাল-বিন আনোয়ার ডন, কোনাল, পুজা, আশিকুজ্জামান বনি, কথা, সুপার মডেল পিয়া জান্নাতুল, বারিশ হক, ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল,

ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ব্যবসায় অবদানের জন্য বিএম ট্রাভেলস্ এন্ড ট্যুরিজম এর স্বত্বাধিকারী মোঃ রবিউল ইসলাম রবি,  রন্ধন শিল্পী আফরোজা নাজরীন সুমি, উপস্থাপক শ্রাবণ্য তৌহিদা, সমাজকর্মী ইঞ্জিঃ মোঃ সাকীল খান, বিজ্ঞাপন নির্মাতা বাপি সাহা, শিক্ষায় ইসমত ফারজানা, প্রফেসর শাহরিয়ার পারভেজ, পারভিন আক্তার, কর্পোরেটে মোঃ মোজাম্মেল হক, আব্দুল হক হামীম, উদ্যোক্তা তানজিলা ইসলাম মিতা, ডাঃ রাইসুল হাসান, মোঃ তৌকির আহমেদ, খন্দকার আকিব, রোমানা আফরোজা রিমঝিম, কামরান তালুকদার, ফটোগ্রাফিতে মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড্রীম স্কয়ার রিসোর্ট । চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, নৃত্য, ফ্যাশন, রূপসজ্জা, বিজ্ঞাপন, খেলাধুলা, রাজনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, উদ্যোক্তা, চিকিৎসা, সমাজসেবা, শিক্ষা, রন্ধনসহ বিভিন্ন সেক্টরের তারকা বন্ধুদের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

জমকালো আয়োজনে ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খানকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন আল-ইয়ামিন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস স্বত্ত্বাধিকারি মোঃ শাহিন মিয়া।

ঢাকা পুরাতন পল্টনে নুরজাহান শরীফ প্লাজায় ৭ম তলায় আল-ইয়ামিন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস্ এর নতুন অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সদস্য সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। অনুষ্ঠানে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন সংসদ সদস্য।

এছাড়াও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন এসোসিয়েশন ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ ( আটাব )  এর প্রেসিডেন্ট এসএম মঞ্জুর মোর্শেদ (মাহবুব), মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আনিসুল ইসলাম জুয়েলসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান প্রতিষ্ঠানে স্বত্ত্বাধিকারি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ শাহিন মিয়া। উল্লেখ্য সরকার অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট আল-ইয়ামিন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস। এর মাধ্যমে সকল দেশের ভিসা প্রসেসিং, হজ্ব ও ওমরাহ প্যাকেজ, সকল দেশের ম্যান পাওয়ার কার্ড করা হয়।

এছাড়া সূলভ মূল্যে অভ্যান্তরীন ও আন্তর্জাতিক এয়ার টিকেটসহ বিদেশ গমনে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়।

আল-ইয়ামিন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস্ এর নতুন অফিস উদ্বোধন করলেন এমপি মজিদ খান

১৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে FBCCI-এ পর্যটন উন্নয়ন সংক্রান্ত FBCCI স্ট্যান্ডিং কমিটির (ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড, ডোমেস্টিক ও সিভিল এভিয়েশন) ৩য় সভা।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
এম.জি.আর. নাসির মজুমদার, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক এবং পর্যটন উন্নয়ন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির পরিচালক (ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড, ডোমেস্টিক অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশন) সভা সঞ্চালনা করেন।
জনাব জালাল উদ্দিন টিপু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, পর্যটন উন্নয়ন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির (অভ্যন্তরীণ, আউটবাউন্ড, ডোমেস্টিক ও সিভিল এভিয়েশন) সভায় সভাপতিত্ব করেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী, মি. হারুন অর রশিদ, জনাব বিজৌ কুমার কেজরিওয়াল, জনাব আবু হোসেন ভূঁইয়া (রানু), জনাব আক্কাশ মাহমুদ, এফবিসিসিআই এর পরিচালক, জনাব খন্দকার রুহুল আমিন, এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক, জনাব আতিকুর রহমান,ম্যানেজিং ডাইরেকটর,বাংলাদেশ সারভিসেস লিমিটেড,জনাব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক এফবিসিসিআই এর মহাসচিব, সহ. বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
The 3rd Meeting of FBCCI Standing Committee on Tourism Development (Inbound, Outbound, Domestic & Civil Aviation) on 17 December 2022 at FBCCI.
Md. Jashim Uddin President of FBCCI grace the occasion as the Virtual Chief Guest.
M.G.R. Nasir Majumder , Director of FBCCI & Director-in-Charge Standing Committee on Tourism Development (Inbound, Outbound, Domestic & Civil Aviation) moderated the meeting.
Mr. Jalal Uddin Tipu , Acting President, Bangladesh Inbound Tour Operator Association Standing Committee on Tourism Development (Inbound, Outbound, Domestic & Civil Aviation) chaired the meeting.
Amongst others, Md.Amin Helaly, Vice President of FBCCI ,Mr. Harun Or Roshid, Mr. Bijou Kumar Kejriwal, Mr. Abu Hossain Bhuiyan (Ranu), Mr.Akkash Mahmood, Director of FBCCI, Mr. Khandaker Ruhul Amin Former Director of FBCCI, Mr.Mohammad Mahfuzul Hoque Secretary General of FBCCI, Co-Chairman and all Members of the Standing Committee were also present in the meeting.

FBCCI-এ পর্যটন উন্নয়ন সংক্রান্ত FBCCI স্ট্যান্ডিং কমিটির ৩য় সভা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি (ডব্লিউপিএস) সেমিনার-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আর যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। যুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। এখনই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করুন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ পরিচালিত বিশ্ব শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে আমরা গর্বিত।
সরকারপ্রধান বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের বিশেষ ভূমিকা বাংলাদেশের ভার্বমূতি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করুন, বিশ্বনেতাদের প্রধানমন্ত্রী

জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও অদম্য ইচ্ছে আর আগ্রহে পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মানিক রহমান (১৬) জিপিএ ৫ পেয়েছেন। তার দুটি হাত না থাকায় পা দিয়ে লেখেন।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। মানিক রহমান উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের মিজানুর রহমান ও মরিয়ম দম্পতি ছেলে।

এক পা দিয়ে লিখে জিপিএ ৫ পেলো কুড়িগ্রামের মানিক

চট্টগ্রামে আলিনা ইসলাম আয়াত নামের পাঁচ বছরের এক শিশুকে হত্যা ও এরপর লাশ টুকরো করার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার আবির মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম এ আদেশ দেন।
আবির আলী (১৯) নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি রংপুর জেলায়। শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় তার সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর গত ২৪ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা: আবির ফের রিমান্ডে

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage