বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো বছরব্যাপী দেশের ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ-এর আবদুল্লাহ ফারুক কনফারেন্স হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দো-ইউরোপিয়ান চেম্বার অব স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ-এর প্রেসিডেন্ট ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রিসডা বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুজ্জামান মুন্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তাষ কুমার দেব, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জহির উদ্দিন আরিফ এবং এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব মানিকগঞ্জ এর পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. সোয়েব-উর-রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের পরিচালক (অপারেশন) কিশোর রায়হান। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর এ্যাম্বাসেডরবৃন্দ, বিটিইএ-এর পরিচালক ও উপদেষ্টাবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিটিইএ-এর পরিচালক (অপারেশন) কিশোর রায়হান। উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২২ প্রশ্ন ব্যাংক’ নামে একটি তথ্যবহুল বই প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিটিইএ। বইটি পড়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তরুণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পর্যটন সম্পর্কে নতুন নতুন জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এই বইয়ের মাধ্যমে তারা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো তুলে ধরতে পারবে।
প্রশ্ন ব্যাংক বইটিতে বঙ্গবন্ধুর উপর ১০০ প্রশ্ন, দেশীয় পর্যটন ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে ৩০০ প্রশ্ন এবং আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ১০০ প্রশ্ন স্থান পেয়েছে। এই বইটি পড়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা পর্যটন শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং ২৩ সালের বছরব্যাপী কর্মকাণ্ডের কারণে ২৪ সালে নতুন করে ডোমেস্টিক পর্যটনে ১ কোটির বেশি পর্যটক বাড়বে যা অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে বিটিইএ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩ প্রশ্ন ব্যাংক’ শীর্ষক বইটির প্রশংসা করে বলেন, প্রায় ৮৬ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুনভাবে তুলে ধরতে সহায়তা করবে বলে আমার ধারণা। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর আয়োজন করায় বিটিইএ-কে ধন্যবাদ জানান এবং অলিম্পিয়াডের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড’ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্তীদেরকে পর্যটন সম্পর্কে অবহিত করতে সহায়তা করবে এবং এর সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে দেশপ্রেমের নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও সূচনা হবে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এই চার শ্রেণীতে প্রায় ৮৬ লাখের বেশি শিক্ষার্তী রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারে ৫জন করে সদস্য থাকলে মোট দেড় কোটির বেশি মানুষ সরাসরি বঙ্গবন্ধু ও পর্যটন শিল্প সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সমাজসেবক সহ আরও প্রায় দেড় কোটি মানুষ মিলে মোট তিন কোটিরও অধিক মানুষ বঙ্গবন্ধু ও পর্যটন শিল্প সম্পর্কে নতুন করে ধারণা পাবে। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর সফল বাস্তবায়নে সরকার, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সমাজসেবক সহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।