২০২০ সালে করোনা যখন ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপে চরম অবস্থা বিরাজ করছিলো তখন বাংলাদেশে ইউরোপ থেকে ফ্লাইট যথারীতি চালু রেখেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষ ( বেবিচক) । আবার নতুন করোনা যখন ইংল্যান্ডে দেখা দিলো তখনও বিমানের লন্ডন ফ্লাইট ও অন্যান্য ফ্লাইটে লন্ডনের যাত্রী দেশে আশা যাওয়া করেছে বেবিচকের অনুমতি নিয়েই।
যার ফলে দেশে করোনার বিস্তার ঘটেছে ব্যাপকভাবে। করোনা নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজনীয় সময়ে বেবিচক কি যথাযথ ভুমিকা রাখতে পেরেছে?
লকডাউনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ খাত হচ্ছে এভিয়েশন ও টুরিজম খাত। বর্তমানে ধুকে ধুকে চলা এইখাত বেচে থাকার কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ । এরই মধ্যে ১৪ই এপ্রিল থেকে আবার ১ সপ্তাহের জন্য ফ্লাইট বন্ধের ঘোষনা দেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা ২/৩ সপ্তাহ বা তার বেশী সময় ও চলতে পারে।
বর্তমান সময়ে সকল যাত্রীর যাওয়া আশা বা ভ্রমনের ক্ষেত্রে করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের মাধ্যমে বেবিচক কি প্রত্যাশা করছে সেটা বোধগম্য নয়। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ দেশের সাথেই ফ্লাইট বন্ধ আছে। শুধুমাত্র মধ্য প্রাচ্যের সৌদি আরব, দুবাইসহ কয়েকটি রাষ্ট্রে শ্রমিকদের যাতায়াত চলমান আছে। বাংলাদেশের শ্রমিক গ্রহনে ঐ সকল দেশের কোন নিষেধাজ্ঞা নাই। এ সকল দেশে শ্রমিক যাত্রীরা যদি যেতে না পারে তাহলে অনেক শ্রমিকের ভিসা বাতিল হয়ে যাবে, অনেক পরিবার পথে বসবে।
ভিসা সংগ্রহকারী ম্যানপাওয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি ও টিকেট প্রদানকারী ট্রাভেল এজেন্ট, এয়ারলাইন্স, সর্বপরি দেশ, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লকডাউনে বিদেশগামী যাত্রীরা কি খুব বেশী সমস্যা করবে নাকি বিদেশগামী এই সব শ্রমিক ভাইয়েরা যেতে না পারলে সমস্যা বা ক্ষতি বেশী হবে ? আমি মনে করি এই বিষয়টি লকডাউনে আওতার বাহিরে রাখা দরকার। তাই বেবিচক, সিভিল এভিয়েশন মিনিস্ট্রি, সর্বপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনঃ বিবেচনার আহবান জানাচ্ছি।