সারাদেশে শুরু হওয়া গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম দিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে টিকা নেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। এ তালিকায় ছিলেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করে নিজেও টিকা নেন। পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ওই কেন্দ্রে প্রথমদিনে ৫২ জনকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এর পরিমান বাড়বে। টিকা গ্রহণের আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করেছে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে জনগন তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অপপ্রচারকারীদের মিথ্যাচার ভুল প্রমাণিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী আরো জানান, ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সমালোচনা নয়, প্রথমে মন্ত্রী ও ভিআইপিদের নেয়ার মাধ্যমে আস্থা বাড়বে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম দিনের বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব টিকা নেন। তিনি বলেন, দেশের সব জেলার সাথে আমরা যুক্ত হয়েছি। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আছেন। তাদের সাথে আমরা ভ্যাকসিন নেব। এটা নিয়ে যেন কোনো রকমের রিউমার না হয়। এই ভ্যাকসিন খুবই নিরাপদ, যতগুলা ভ্যাকসিন আছে তাদের মধ্যে এটা সবচেয়ে নিরাপদ। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।