নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও (বিটিইএ)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪ টায় আগারগাঁও পর্যটন ভবনের ব্যাঙ্কুয়েট হলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক জনাব এমজিআর নাসির মজুমদার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের কিউরেটর জনাব এনআই খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক জনাব সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য জনাব মো. রাফেউজ্জামান, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রিয়াব)-এর সভাপতি জনাব খবির উদ্দিন আহমেদ, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর সভাপতি জনাব শিবলুল আজম কোরেশি এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলাস ক্লাব লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট তৌহিদা সুলতানা রুনু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান জনাব শহিদুল ইসলাম সাগর। উক্ত অনুষ্ঠানে বিটিইএ-এর নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি, বিটিইএ-এর ন্যাশনাল ওম্যান স্ট্যান্ডিং কমিটি ও বিটিইএ-এর ঢাকা ওম্যান স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিশিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ী  সমাজ সেবক,  বিএম ট্রাভেলস্ এন্ড  ট্যুরিজম  এর কর্নধার মোঃ রবিউল ইসলাম রবি কে ২০২২২৪ অর্থ বছরের জন্যবাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্সএসোসিয়েশন বিটিইএ এর পরিচালক প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ।

নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ পাঠ করান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। আগামী দুইবছর এই কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

প্রধান অতিথি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শনকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে হবে এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

 

বিএম ট্রাভেলস্ এন্ড  ট্যুরিজম  এর কর্নধার মোঃ রবিউল ইসলাম রবি কে ২০২২- ২৪ অর্থ বছরের জন্য, বিটিইএ এর পরিচালক প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ।

গতকাল ৩১ জুলাই-২০২২ রোববার বিকেল চারটায় আগারগাঁও পর্যটন ভবনের ব্যাঙ্কুয়েট হলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও (বিটিইএ)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক জনাব এমজিআর নাসির মজুমদার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের কিউরেটর জনাব এনআই খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক জনাব সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য জনাব মো. রাফেউজ্জামান, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রিয়াব)-এর সভাপতি জনাব খবির উদ্দিন আহমেদ, ট্যুর অপেিরটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর সভাপতি জনাব শিবলুল আজম কোরেশি এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলাস ক্লাব লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট তৌহিদা সুলতানা রুনু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান জনাব শহিদুল ইসলাম সাগর।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিটিইএ-এর নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি, বিটিইএ-এর ন্যাশনাল ওম্যান স্ট্যান্ডিং কমিটি ও বিটিইএ-এর ঢাকা ওম্যান স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ পাঠ করান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। আগামী দুইবছর এই কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রধান অতিথি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি বলেন “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শনকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে হবে এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। ”

বার্তা প্রেরক শেখ শিউলী আক্তার পরিচালক মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ) ।

 বিটিইএ-এর উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও (বিটিইএ)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত ।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার গাইবান্ধা -৫ আসনের মাননীয় সাংসদ এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার রাত ২ টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। আমরা গুণীমানুষের পার্থিব বিয়োগে গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ রাব্বুল কারীমের মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি  বিএম ২৪ টিভির পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া এম.পি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

  দ্রোপদী মুর্মু ভারতের ১৫তম নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ।
ভারতীয় উপমহাদেশের আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র । ভারতের নবাগত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (সাঁওতাল সম্প্রদায়ের)
দ্রৌপদী মুর্মুর জন্ম ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার একটি গ্রামে। খুবই গরিব পরিবার থেকে তিনি লড়াই করে উঠে এসেছেন। তিনি বিজেপি নেত্রী ছিলেন। পরে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হন। ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যপাল পদে ছিলেন। তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী রাজ্যপাল ছিলেন। তিনিই ওড়িশার প্রথম আদিবাসী নারী যিনি রাজ্যপাল হয়েছেন। তিনিই প্রথম আদিবাসী নারী যিনি রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হলেন।
আর তিনিই ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী রাষ্ট্রপতি হলেন।

দ্রোপদী মুর্মু ভারতের ১৫তম নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি , ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী রাষ্ট্রপতি ।

“ইসলামের ইতিহাসে গাদীরে খুম্মের গুরুত্ব”—-মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী আরবী ১৮ জিলহজ্ব ১০ম হিজরী বৃহস্পতিবার ৬৩২ ঈসায়ী ইসলামি ইতিহাসের একটি স্মরণীয় ঐতিহাসিক দিন। জিলহজ্বের এ দিনটি “গাদীর খুম” দিবস নামে পরিচিত। দশম হিজরীর এ দিনে রাসুলে কারীম রাউফুর রাহীম সাঃ যে ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন সেই আলোকে মুসলিম উম্মাহ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দিনটি উদযাপন করে থাকে। আল্লাহর রাসুল সাঃ এটা জানতেন যে প্রত্যাদেশ বাণী বা আল্লাহ প্রদত্ত মানবের জীবন বিধান পূর্ণতা লাভ করার পর তিনি বেশি দিন ইহজগতে থাকবেন না। তাই নবম হিজরীর পর থেকেই মূলত তিনি এ ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছিলেন। ঐ সময় ইসলামের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধা- দ্বন্দ ও সংশয় সৃষ্টির জন্যে কাফের মুশরেকদের পক্ষ থেকেও জোর তৎপরতা শুরু হয়েছিল। তারা প্রচার করতো ইসলামের নবীর কোন পুত্র সন্তান নেই , কাজেই তার মৃত্যু হলে ইসলাম ধর্মের অস্তিত্বও আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে পড়েবে। এমন এক অবস্থায় মুসলমানদের মনে কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছিল।
সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এটা দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করতেন ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত মানব জীবন বিধান । এটা চিরস্থায়ী এবং পূর্ণাঙ্গ। পবিত্র কোরআন হচ্ছে মানব জাতির জন্যে সর্বশেষ ঐশি শ্বাশত গ্রন্থ এবং হযরত মুহাম্মদ সাঃ হচ্ছেন সর্বশেষ নবী এবং রাসুল। কাজেই দ্বীন ইসলাম চিরকাল টিকে থাকবে । ইসলামের বিধান শ্বাশত, অমর ও অক্ষয়। যতদিন এ জগত থাকবে ইসলামের দেদীপ্যমান দ্বীপ্তি আলো বিকিরণ করে যাবে। এ আলো নিভিয়ে দেয়ার ক্ষমতা কোন শক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। জাজ্বল্যমান এই বিশ্বাসকে ধারণ করার পরও মুসলমানদের মনে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। আল্লাহর রাসুলের ইহলোক ত্যাগের সম্ভাবনায় একদিকে তাদের মনে ছিল বিরহজনিত অন্তর্দাহ।
অন্যদিকে ইহুদী, খৃষ্টান ও পৌত্তলিকদের অব্যাহত চক্রান্তের কথা ভেবে তারা ইসলামের ভবিষ্যতের ব্যাপারেও নানা দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন । সবার কাছে এই প্রশ্নটিই বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল, প্রিয় নবীজী যখন এ জগতে থাকবেন না, তখন পবিত্র কোরআনকে ব্যাখ্যা করবেন, মুসলমানরাই বা জীবন জিজ্ঞাসার জবাব জানার জন্যে কার দ্বারস্থ হবেন?
ইতোমধ্যে হজ্বের সময় ঘনিয়ে এল। রাসুলে কারীম সাঃ মুসলমানদেরকে সঙ্গে নিয়ে পবিত্র হজ্ব পালন করলেন। এটাই ছিল আল্লাহর রাসুলের শেষ হজ্ব । বিদায় হজ্ব নামে যা আজও পরিচিত। হজ্বের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে নবীজী এবার লক্ষ মুসলমানদের কাফেলাকে সঙ্গে নিয়ে মাতৃভূমি মক্কাকে বিদায় জানালেন, চলছেন প্রিয় মদিনার পথে। আল্লাহর রাসূলকে খুবই চিন্তিত মনে হচ্ছিল, এটা বিশিষ্ট সকল সাহাবিই লক্ষ্য করলেন। সবার মনেই এক অজানা আশঙ্কা। এমন সময় কাফেলা গাদীরে খুম নামক এক স্থানে এসে পৌঁছায় ।
ছোট্ট জলাশয় বা ডোবাকে আরবীতে গাদীর বলা হয়। গাদীরে খুম নামক স্থানটি মক্কা ও মদীনার মাঝামাঝি হেজাজের রাগিবের নিকটবর্তী জুহফার মসজিদের পার্শ্ববর্তীতে অবস্থিত । মরু আরবের মুসাফির বা বাণিজ্য কাফেলাগুলো সাধারণত এই ছোট্ট জলাশয়ের পাশে সাময়িক বিশ্রামের জন্যে অবস্থান করতো । আল্লাহর রাসুল যখন এই স্থানে এসে পৌঁছলেন তখন হযরত জিব্রাইল (আ) সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নিয়ে হাজির হলেন । বলা হলো- “হে রাসুল ! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তুমি সবার কাছে পৌঁছে দাও , যদি তা না কর তাহলে তো তুমি তার বার্তা প্রচার করলে না । ”
রাসুলে রাব্বুল আ’লামীন সাঃ আল্লাহর নির্দেশ পাওয়ার পর তিনি সবাইকে গাদীরে খুম নামক স্থানে সমবেত হতে বললেন। যারা কিছুটা এগিয়ে ছিলেন তারা পিছনে ফিরলেন। আর যারা পিছনে ছিলেন তারা এগিয়ে এলেন। রৌদ্রস্নাত উত্তপ্ত মরু হাওয়ায় সবাই ক্লান্ত অবসন্ন । তারপরও সকলেই প্রবল মনোযোগ সহকারে অপেক্ষা করতে লাগলেন আল্লাহর রাসুল কি বলবেন তা শুনার জন্য। আল্লাহর রাসুল উটের জিনকে মঞ্চের মত করে তাতে আরোহণ করলেন। এরপর সমবেত সকলকে লক্ষ করে বললেন, ”হে মুসলিমগণ! অচিরেই আমার জীবনের অবসান ঘটবে, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে এ জগত থেকে চলে যেতে হবে আমাকে। আমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল ।
আমি কি আমার উপর অর্পিত রিসালাতের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পেরেছি? সকলেই সমস্বরে বলে উঠল, হে আল্লাহ নবী ও রাসূল ! আপনি আপনার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন এবং এ পথে আপনি অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন। এরপর আল্লাহর রাসুল সাঃ চারদিকে তাকিয়ে হযরত আলীর দুই হাত উত্তোলন করে বললেন, মহান আল্লাহ হচ্ছে আমার অলী এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী। আমি হচ্ছি মুমিন বিশ্বাসীদের অলী ও অভিভাবক, আর আমি যার নেতা ও অভিভাবক, আলীও তার নেতা ও অভিভাবক। হে আল্লাহ! যে আলীকে বন্ধু মনে করে তুমি তাকে দয়া ও অনুগ্রহ করো, আর যে আলীর সাথে শত্রুতা করে, তুমি তার প্রতি একই মনোভাব পোষণ করো । রাসু্লে সাঃ এর এই ভাষণের পরপরই হযরত জিব্রাইল (আ.) আবার অহী বা প্রত্যাদেশ বাণী নিয়ে এলেন। বলা হলো “আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন বা জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম ।
( সুরা মায়েদার ৩ নম্বর আয়াত ) গাদীরে খুমের ঐতিহাসিক ঘোষণায় আল্লাহর রাসুল কার্যত হযরত আলীকে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবেই নিযুক্ত করেছিলেন । তাই আমরা লক্ষ্য করি তাবুক অভিযানের সময় নবী করিম সাঃ এর নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। কিন্তু নবীজী হযরত আলীকে মদিনায় থেকে যেতে বললেন। হযরত আলী রাঃ এর কারণ জানতে চাইলে আল্লাহর রাসূল উত্তরে বলেছিলেন, ”তুমি কি চাও না মুসার স্থলে হারুন যেমন ছিল, তেমনি আমার স্থলেও হোক তোমার স্থান। যদিও আমার পরে আর কোন নবী বা রাসুল আসবে না। রাসুলে খোদা সাঃ এর অসংখ্য উক্তি বা বক্তব্যের আলোকে মুসলিমদের একটা বড় অংশ বিশ্বাস করেন, মহানবী সাঃ এর পর মুসলিমদের নেতৃত্ব বা পবিত্র কোরআনের যথার্থ ব্যাখ্যার দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছিল হযরত আলী রাঃ এর উপর। তিনি মুসলিমদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন, আর এই দায়িত্ব চূড়ান্তভাবে অর্পিত হয়েছিল গাদিরে খুমের ঐতিহাসিক স্থানে।
ইসলাম নবী করিম সাঃ এর সাহাবাদের স্থান ও মর্যাদা অত্যন্ত উঁচুতে। সত্য ও ন্যায়ের ঝাণ্ডাবাহী সাহাবায়ে কেরামের ত্যাগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইসলাম আদর্শ জীবন বিধান হিসেবে পৃথিবীজুড়ে বিকশিত ও প্রসারিত হয়েছিল। নূরনবীর সাহাবীগণ উত্তম চরিত্র, উন্নত ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ত্যাগের যে আদর্শ স্থাপন করে গেছেন, তার দ্বিতীয় উদাহরণ মানব ইতিহাসে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। তাই সত্যকামী নবীজীর প্রত্যেক সাহাবীই ইসলামের ইতিহাসের এক একটি নক্ষত্র। অগণিত নক্ষত্রের একজন হয়েও সন্ধ্যা তারা যেমন সূর্যের বর্ণচ্ছটায় উজ্জল, হযরত আলী রাঃ তেমনি বিশ্বনবীর নৈকট্য মহিমায় ইমামতের দ্বীপ্তিতে উজ্জ্বল। দিবসের দ্বীপ্ত রবি অস্তমিত হওয়ার পর ঘনায়মান অন্ধকারের মধ্যে প্রশান্তির বাণী নিয়ে যেমনিভাবে গগণ কোণে সন্ধ্যা তারার উদয় হয়। বিশ্বনবীর অন্তর্ধানের পর আলোকবর্তিকা হিসেবে দিগভ্রান্ত ইসলামের গগণ কোণে দেখা দিলেন হযরত আলী রাঃ।
হযরত আলী রাঃ সম্পর্কে নবী করিম সাঃ বলেছেন, আলী প্রেম মানুষের পাপ এমনভাবে ধ্বংস করে যেমনি আগুন জ্বালানী কাঠ ধ্বংস করে দেয়। একবার হযরত আলীকে দেখে আল্লাহর রাসুল বলেছিলেন, তিনটি এমন বৈশিষ্ট্য তোমার রয়েছে যেটা আমারও নেই, এই তিনটি বৈশিষ্ট হচ্ছে, তুমি এমন একজনকে শ্বশুর হিসেবে পেয়েছে, যা আমি পাইনি, এমন একজনকে তুমি স্ত্রী হিসেবে পেয়েছে, যে কিনা আমার কন্যা, আর তৃতীয়টি হচ্ছে তুমি হাসান- হোসাইনের মত সন্তানের পিতা যেটা আমার নেই ।
গাদীরে খুম্মের বিষয়টি বিশ্বমুসলিম উম্মাহর জন্য নিঃসন্দেহে পাথেয়। সাইয়্যিদিনা আলী ইবনে আবু তালিব রাঃ গাদীরে খুম্মে রাসূলে কারীম সাঃ কর্তৃক তিনার স্থলাভিষিক্ত এটি ঐতিহাসিকভাবেই স্বীকৃত। উল্লেখ্য ইমাম আলী রাঃ এর সাথে মু’য়াবিয়ার উটের যুদ্ধ পরবর্তীতে ইমাম হুসাইন রাঃ কে সহপরিবারে মু’য়াবিয়ার পুত্র এজিদ কর্তৃক হত্যা যা ইতিহাসের পর্যালোচনায় পূর্ববর্তী গোত্রীয় নেতৃত্বের ক্ষমতার প্রতিশোধের নির্মম হত্যাযজ্ঞ । যেসকল মুসলিম ভাই ও বোনেরা সাইয়্যিদিনা ইমাম আলী রাঃ কে পাকে পাঞ্জনের অংশ হিসেবে আহলে বাইতের সদস্য মনে করেন এবং এও বলে বেড়ান যে তিনি যুবকদের মধ্যে প্রথম মুসলিম।
তাহলে বিষয়টি একটু ভেবে দেখুন স্ববিরোধী হয়ে গেলো কিনা ? এছাড়াও যারা আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা দেখান এবং পাশাপাশি মু’য়াবিয়া ও এজিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন এটাও ঈমান বিধ্বংসের রীতির শামিল নয় কি? বস্তুত রাসূলে কারীম সাঃ এর পার্থিব লোকান্তরের পরবর্তী সময় খলিফা নির্বাচন থেকে শুরু করে কারবালার হত্যাযজ্ঞ পর্যন্ত সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আহলে বাইতের প্রতি অশ্রদ্ধা পূর্বগোত্রীয় প্রভাবের জাগরণ মুসলিম মধ্যে ফেৎনা সৃষ্টির ক্ষেত্র। তাই ইসলামের ইতিহাসের ঐতিহাসিক “গাদীরে খুম্মের গুরুত্ব” আরোপে ইসলামিক জীবন বিধান বাস্তবায়নে আহলে বাইতের প্রেমই মুসলিম উম্মার ঈমানী ঐক্যের একমাত্র পথ ও মত হওয়াটাই সমীচীন।
লেখকঃ
প্রধান সমন্বয়ক,
বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম।

“ইসলামের ইতিহাসে গাদীরে খুম্মের গুরুত্ব” — মুফতী মাসুম বিল্লাহ ।

আমরা গভীরভাবে শোকাহত
—————————————–
না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সংগ্রামী সভাপতি জননেতা “নির্মল রঞ্জন গুহ” ।
পার্থিব বিয়োগে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বিদেহী আত্মার স্বর্গীয় শান্তি কামনা সহ শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের জানাচ্ছি  বিএম ২৪ টিভির পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা ।

না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সংগ্রামী সভাপতি জননেতা “নির্মল রঞ্জন গুহ”।

সীতাকুণ্ডে অগ্নিতাণ্ডবে নিহত-আহতের উদ্দেশ্যে ওলামা লীগের দোয়া মাহফিল ৬ জুন ২০২২ সোমবার বাদ এ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বীর চট্রলার সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নকাণ্ডে নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েলের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা বদিলউল আলম বদি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য তসলিম উদ্দিন রানা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য বেলাল নূরী, ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন সাকিব, উপ-কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান সরদার,হকার্স লীগের কেন্দ্রীয় আহবায়ক জাকির হোসনে হানিফ,ওলামা লীগের কার্যকরি সভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহ, সহ-সভাপতি হাফেজ কারী মুফতী আব্দুল আলিম বিজয়নগরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইদ্রিচ আলম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন আলমগীর, শেখ রাসেল স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি সোহাগ চৌধুরী, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়াজী প্রমূখ।

দোয়ায় আল্লাহ সোবহানাহু তা’য়ালার দরবারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক কামনা করা হয়। এছাড়াও মুনাজাতে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনাসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ দীর্ঘায়ু কামনা মধ্যে দিয়ে জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ হাফেজ কারী মুফতী মিজানুর রহমান দোয়ার সমাপ্তি টানেন।

সীতাকুণ্ডে অগ্নিতাণ্ডবে নিহত-আহতের উদ্দেশ্যে ওলামা লীগের দোয়া মাহফিল

                         
বিএম ২৪ টিভির পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত -সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ কর্তৃক মনোনীত সাদা প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে।
সর্বমোট ১৪ টি আসনের মধ্যে ১১ টি তে আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন ২০২২
৭টি সাধারন আসনে ৫ টি এবং ৭ টি গ্রুপ আসনের মধ্যে ৬ টিতে তথা- ১৪টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সহিত সাদা প্যানেল অর্থাৎ আওয়ামীপন্থী বিজ্ঞ সদস্যগণকে আগামী ৩ বছরের জন্য সদস্য পদে নির্বাচিত করেছেন সারা বাংলাদেশের সাধারণ আইনজীবীরা।
সাধারন আসন
১. সৈয়দ রেজাউর রহমান
২.মোখলেসুর রহমান বাদল
৩. সাঈদ আহমেদের রাজা
৪. রবিউল আলম বুদূ
৫. কামরুল ইসলাম ( এমপি )
গ্রুপ আসন
৫. আব্দুল বাতেন (ঢাকা)
৬. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন খান ( টাঙ্গাইল/ফরিদপুর/ময়মনসিংহ )
৭. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু  ( কুমিল্লা/সিলেট )
৮. আনিস উদ্দিন আহমেদ সহীদ ( বরিশাল/খুলনা/পটুয়াখালী )
৯. মোঃ একরামুল হক ( রাজশাহী/যশোর/কুষ্টিয়া )
১০. মোঃ আব্দুর রহমান ( পাবনা/সিরাজগঞ্জ/রংপুর/দিনাজপুর )
আইনজীবীদের আস্থা আর ভালবাসার ঠিকানা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত -সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ কর্তৃক মনোনীত সাদা প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে

ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণ ও রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল –আওয়ামী ওলামা লীগ ।

৯ মে ২০২২ সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে হাইকোর্ট শরফ উদ্দিন চিশতী রাহঃ জামে মসজিদ এ বা’দ আসর বঙ্গবন্ধু ও খেখ ফজিলাতুন্নেছার জামাতা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া’র ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার স্মরণ ও রূহের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আনোয়োর হোসেন জুয়েলের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে ছিলেন, প্রধান অতিথি স্বাধীনতা পুরুস্কার প্রাপ্ত ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান আলোচক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি’র সদস্য জননেতা বেলাল নূরী, বিশেষ অতিথি ওলামা লীগের কার্যকরি সভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহ, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান নুর এ খোদা মন্জু, ওলামা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইদ্রিচ আলম আল-কাদেরী, হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম নূরী হুজুর প্রমূখ।

ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণ ও রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল –আওয়ামী ওলামা লীগ ।

সাম্প্রদায়িকাতা নয় বঙ্গবন্ধু’র দেখানো পথেই ওলামা লীগ ১৫ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার ১৩ রমাদান সেগুনবাগিচা মধুরিমা রেস্তোরায় “মাহে রমাদানের শিক্ষা ও সংযম হউক মানবিক জীবন গড়ার পাথেয়” এই শিরোনামে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। সংগঠনের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড, নিম চন্দ্র ভৌমিক, প্রধান আলোচক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সিজারাজুল হক আলো, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য বেলাল নূরী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধিরী তন্ময়, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, ওলামা লীগের কার্যকরি সভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহ, সিনিয়র সহ-সহ-সভাপতি মুফতী আল্লামা খলিলুর রহমান জিহাদী, মুখপাত্র ক্বারী মাওলানা আসাদুজ্জামান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইদ্রিছ আলম আলকাদেরী, মুফতী তৈয়বুর রহমান, বায়তুল ফজল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম মাওলা, মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ মিরাজ,মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, সকল ধর্ম বর্ণের বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতা।

আর অসম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই সে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমি যতটুকু জানি সাম্প্রদায়িকাতা নয় বঙ্গবন্ধু’র দেখানো পথেই ওলামা লীগ। আমি বিশ্বাস করি সম্প্রীতির পথে আমরা অটুটভাবে হাটলেই বিশ্ব মানবতার মা বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ করতে বেশী সময় লাগবেনা।

দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। দ্রুত উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে বাংলাদেশ। এছাড়াও আমরা সকল ধর্মের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। অতীতের ন্যায় আগামীতেও ওলামা লীগ আরো সাংগঠনিক শক্তি সঞ্চয় করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাবে। ইফতার মাহফিলে আমাদের অংশগ্রহণেই তা প্রমাণ করে। প্রফেসর জিরাজুল হক আলো বলেন, ওলামী লীগের কার্যক্রম শুধু রাজপথে আর ইফতার মাহফিলা সীমাবদ্ধ রাখলে চলবেনা।

প্রতিটি মাদরাসায় ওলামা লীগের কমিটি গঠন করতে হবে। মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদেরকে জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ইসলামের কোন সাংঘর্ষিকতা নেই সে বিষয়টি বুঝাতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ ইসলাম তথা ধর্মবিরোধী নয় ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। অর্থাৎ ধর্ম যারযার বাংলাদেশ সবার। যারা ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়কে বাঁধাগ্রস্ত করতে চায় তাদেরকে রুখে দিতে হবে। ওলামা লীগকে এগিয়ে যেতে হবে অনেক দূর।

তাই ওলামা লীগকেই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে আমরা বঙ্গবন্ধু’র অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। তৃর্ণমূলে ওলামা লীগের চাহিদা রয়েছে। আমি প্রত্যাশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টি বিবেচনা করে ওলামা লীগ তথা ওলামা লীগের মূল্যায়ন করবেন ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও ইফতার মাহফিলে অন্যান্য অতিথিগণ বক্তব্য রাখেন।

ইফতার পূর্ব দোয়ায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ জাতির পিতা এবং জাতির পরিবার, জাতীয় চার নেতা, গ্রেনেড হামলায় নিহত নারী নেত্রী আইভি রহমান সহ সকল নিহতদের রূহের শান্তি কামনা করা হয়। তাছাড়াও দোয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুস্বাস্থ্যসহ নিরাপদ দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করে।

সাম্প্রদায়িকাতা নয় বঙ্গবন্ধু’র দেখানো পথেই ওলামা লীগ

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage