নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও (বিটিইএ)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪ টায় আগারগাঁও পর্যটন ভবনের ব্যাঙ্কুয়েট হলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক জনাব এমজিআর নাসির মজুমদার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের কিউরেটর জনাব এনআই খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক জনাব সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য জনাব মো. রাফেউজ্জামান, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রিয়াব)-এর সভাপতি জনাব খবির উদ্দিন আহমেদ, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর সভাপতি জনাব শিবলুল আজম কোরেশি এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলাস ক্লাব লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট তৌহিদা সুলতানা রুনু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান জনাব শহিদুল ইসলাম সাগর। উক্ত অনুষ্ঠানে বিটিইএ-এর নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি, বিটিইএ-এর ন্যাশনাল ওম্যান স্ট্যান্ডিং কমিটি ও বিটিইএ-এর ঢাকা ওম্যান স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিশিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ী  সমাজ সেবক,  বিএম ট্রাভেলস্ এন্ড  ট্যুরিজম  এর কর্নধার মোঃ রবিউল ইসলাম রবি কে ২০২২২৪ অর্থ বছরের জন্যবাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্সএসোসিয়েশন বিটিইএ এর পরিচালক প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ।

নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ পাঠ করান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। আগামী দুইবছর এই কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

প্রধান অতিথি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শনকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে হবে এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

 

বিএম ট্রাভেলস্ এন্ড  ট্যুরিজম  এর কর্নধার মোঃ রবিউল ইসলাম রবি কে ২০২২- ২৪ অর্থ বছরের জন্য, বিটিইএ এর পরিচালক প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ।

গতকাল ৩১ জুলাই-২০২২ রোববার বিকেল চারটায় আগারগাঁও পর্যটন ভবনের ব্যাঙ্কুয়েট হলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও (বিটিইএ)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক জনাব এমজিআর নাসির মজুমদার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের কিউরেটর জনাব এনআই খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক জনাব সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য জনাব মো. রাফেউজ্জামান, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রিয়াব)-এর সভাপতি জনাব খবির উদ্দিন আহমেদ, ট্যুর অপেিরটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর সভাপতি জনাব শিবলুল আজম কোরেশি এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলাস ক্লাব লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট তৌহিদা সুলতানা রুনু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান জনাব শহিদুল ইসলাম সাগর।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিটিইএ-এর নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি, বিটিইএ-এর ন্যাশনাল ওম্যান স্ট্যান্ডিং কমিটি ও বিটিইএ-এর ঢাকা ওম্যান স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ পাঠ করান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। আগামী দুইবছর এই কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রধান অতিথি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি বলেন “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শনকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে হবে এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। ”

বার্তা প্রেরক শেখ শিউলী আক্তার পরিচালক মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ) ।

 বিটিইএ-এর উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও (বিটিইএ)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত ।

মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়েও বাংলা ভাষার চর্চা গৌণ : ওলামা লীগ স্টাফ করেসপন্ডেন্ট স্কুল-কলেজের পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়েও বাংলা ভাষার চর্চা গৌণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতারা৷ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মেকাররমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ভাষাশহীদ ও ভাষাযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ দোয়ার পূর্বে বক্তারা এসব কথা বলেন। যোহর নামাজের পর ভাষাশহিদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। ওলামা লীগের নেতারা বলেন, মাতৃভাষা আল্লাহ সোবহানাহু তা’য়ালার একটি নিয়ামত। ভাষা। ইসলামেও ভাষা শিক্ষা, ভাষার ব্যবহার ও মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চা করার বেশ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মূল লক্ষ্য সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রবর্তন, তা আজও পূরণ হয়নি। সরকারি কাজকর্মে বাংলা চালু থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য, উচ্চশিক্ষা, গবেষণাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ইংরেজির প্রাধান্য লক্ষণীয়। ইংরেজি ভিনদেশী ভাষা। বাংলায় আইন প্রণীত হলেও উচ্চ আদালতে এখনো বাংলা চালু হয়নি। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের একাংশ মাতৃভাষা বাংলার পরিবর্তে ইংরেজি রপ্ত করতেই বেশি আগ্রহী। শিশুদের শিক্ষাক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যমের প্রসার ঘটে চলেছে, সাধারণ বিদ্যালয়েও বাংলা অবহেলিত। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়েও বাংলা ভাষার চর্চা গৌণ। ওলামা লীগের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, ভাষাশহীদ ও ভাষাযোদ্ধারা আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মাতৃভাষার দাবিতে বাঙালি তরুণদের সেদিনের আত্মদান শুধু ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, ক্রমেই একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন ও অঙ্গীকার দানা বেঁধেছিল। সে স্বপ্নই স্বাধীনতাসংগ্রাম, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধসহ ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আমাদের পথ দেখিয়েছে। ভাষা আন্দোলন আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত। দিবসটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও বটে। মাতৃভাষা বাংলার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর পরিমণ্ডলে। বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও বিকাশের বিষয়টি তাদের রাজনৈতিক অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন জুয়েল বলেন, মাতৃভাষাযোদ্ধাদের একসাগর রক্তের মধ্য দিয়ে অর্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনে পাকিস্তানী স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশের গুলিতে সেই দিন শহীদ হন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত ও শফিকসহ অনেকে। পরিতাপের বিষয় হলো আজ বিদেশী ভাষার আগ্রাসনে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা হচ্ছে না। তাই সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর জন্য মহান ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে হবে। আর তা করতে পারলেই সর্বক্ষেত্রে বাংলাভাষার ব্যবহার সুনিশ্চিত করা যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদের ইমাম মুফতী হাফেজ মাওলানা মুহিব উল্লাহ হিল বাকী। মুনাজাতে ভাষাশহীদ ও ভাষাযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনাসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগষ্ট যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও জাতীয় চার নেতারও রুহের মাগফিরা কামনা করা হয়। এছাড়াও মুনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি করা হয়। দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন, সাবেক সচিব সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য জননেতা বেলাল নূরী বাংলাদেশ কার্যকরী সভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহ, সিনিয়র সহ-, হাফেজ মাওলানা ইদ্রিচ আলম আল কাদেরী, মুফতী আব্দুল আলিম বিজয়নগরী, হাফেজ মাওলানা শামসুল আলম জাহাঙ্গীর নূরানী হুজুর, হাফেজ মাওলানা সাঈফুল ইসলাম, মাওলানা মোঃ আব্দুল মুবিন আখন্দ, হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহনান, নাফি উদ্দিন উদয়, শাফি উদ্দিন বিনয় প্রমুুখ।

মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়েও বাংলা ভাষার চর্চা গৌণ

ঈদুল আজহার আগে অনেকটাই শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ।
আগামী ১৫ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। একই সঙ্গে খুলবে দোকানপাট-শপিংমল, সেক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।
এসব শর্ত দিয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করে সোমবার সন্ধ্যা বা মঙ্গলবার সকাল নাগাদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। শিথিল করে নতুন বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিথিল সময়ে সরকারি অফিস ভার্চুয়ালি চলবে বলেও জানা গেছে। ঈদুল আজহা উদযাপনে সুবিধার জন্য সরকার বিধিনিষেধ শিথিলের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এরপর ২৩ জুলাই সকাল থেকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ দেয়ার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে বলে জানা গেছে।

১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন

মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ছুটিতে আসা এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে সময় মত গমনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত রাখার জন্য আটাব এর সংবাদ সম্মেলন, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি ভবন (সাগর-রুনি হল), সেগুনবাগিচা, ঢাকা । ১৩ এপ্রিল ২০২১ইং ।

 

আটাব- এর পক্ষ থেকে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ।

আপনারা অবগত আছেন যে, আটাব দেশের প্রায় ৩৫০০ সরকার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির একটি অলাভজনক সংগঠন। আটাব ৪২ বছর ধরে তার সদস্যদের কল্যানে নিবেদিত। বিদেশগামী যাত্রীদের এয়ার টিকেট ও অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা সহ দেশী-বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে আটাব নিবিড় ভাবে কাজ করছে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা হিসেবে গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর কাজ হচ্ছে সকল Airlines-এর মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমনেচ্ছুক যাত্রী এবং প্রবাসী কর্মীদের Airlines সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ, এয়ার টিকেট ইস্যু করা, ভ্রমন ভিসা আবেদন সহ সংশ্লিষ্ট কাজে সহায়তা করা। তাছাড়া হজ্জ্ব লাইসেন্স প্রাপ্ত ট্রাভেল এজেন্সিগুলো হজ্জ্ব ও ওমরাহ সম্পাদনে যাবতীয় সহযোগিতা করে থাকে। Aviation সংশ্লিষ্ট সমস্ত কাজেই ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সংশ্লিষ্টতা থাকে বিধায় এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সে সমস্যা সমাধানে জনকল্যানে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে। কারণ ট্রাভেল এজেন্সি ও এয়ারলাইন্সগুলো এক সাথে কাজ করে থাকে।

জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী ও নতুন ভিসা প্রাপ্তদের যাতায়াত সচল রাখার নিমিত্ত লকডাউনের মাঝে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ চলাচল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনাদের মাধ্যেমে সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

দেশব্যপী করোনা ভাইরাসের বর্তমান অস্বাভাবিক প্রাদুর্ভাবের করনে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল, ২০২১ তারিখ পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। করোনামহামারী নিয়ন্ত্রনে সরকারের পদক্ষেপের সাথে সহযোগিতা করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আামাদের সকলেরই দায়িত্ব। লডাউনের সময়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পথে সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। মূল্যবান বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী অনেক প্রবাসি ছুটি নিয়ে বা জরুরী প্রয়োজনে বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন এবং তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ উর্ত্তীণ হতে চলেছে । তারা এয়ারলাইন্সের টিকেট সংগ্রহ করে কর্মস্থলে গমণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন । তাছাড়াও অনেক নতুন কর্মী ভিসা প্রাপ্ত হয়ে কর্মস্থলে গমণের অপেক্ষায় রয়েছেন । নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যোগদান না করতে পারলে নিয়োগ কর্তা তাদের অনেকেরই ভিসা বাতিল করবেন ।

প্রবাসীদের ছুটি শেষে নিজ কাজে সুষ্ঠ ভাবে ফিরে যাওয়া বা নতুন ভিসা নিয়ে কর্মে যোগদান করতে তাদের যাতায়াত চলমান রাখা অতীব প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি । অন্যথায় তাদের চাকুরী হারানোর শঙ্কা রয়েছে । একজন প্রবাসীর আয়ের উপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল । সঠিক সময়ে নিজ কর্মস্থলে গমন করতে না পারার কারনে তাদের কর্মচ্যুতি হলে তাদের পরিবার পথে বসার উপক্রম হবে ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেছেন এবং করে চলেছেন । প্রবাসী বাংলাদেশী তথা প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার বহুমুখী কল্যানমূলক কর্মসূচী নিয়েছেন । তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরও বেশি বেশি কর্মী প্রেরণের জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত কর্মীদের সময় মত কর্মস্থলে পৌঁছানোর বিষয়টিও বর্তমান সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবেন বলে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি । লকডাউনের সময় যাদের ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল বা যাদের ভিসা মেয়াদোত্তীর্নের পথে তারা সময়মত কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পারলে ব্যক্তি, পরিবার এবং রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থ হবে ।

এছাড়া প্রবাসী কর্মীগণ যে সকল দেশে গমন করবেন বিশেষত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ অনেক দেশ অদ্যাবধি বাংলাদেশী যাত্রী প্রবেশে কোন প্রকার বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি । তাই প্রবাসী কর্মী যাত্রীদের নিজ গন্তব্যে গমনের জন্য লকডাউনের মাঝে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ সচল রাখতে আপনাদের মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।

ধন্যবাদান্তে মনছুর আহামেদ কালাম, সভাপতি আটাব ।

মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ছুটিতে আসা এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে সময় মত গমনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত রাখার জন্য আটাব এর সংবাদ সম্মেলন।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল চালু রাখা হোক — আটাব এর সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ ।
২০২০ সালে করোনা যখন ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপে চরম অবস্থা বিরাজ করছিলো তখন বাংলাদেশে ইউরোপ থেকে ফ্লাইট যথারীতি চালু রেখেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষ ( বেবিচক) । আবার নতুন করোনা যখন ইংল্যান্ডে দেখা দিলো তখনও বিমানের লন্ডন ফ্লাইট ও অন্যান্য ফ্লাইটে লন্ডনের যাত্রী দেশে আশা যাওয়া করেছে বেবিচকের অনুমতি নিয়েই।
যার ফলে দেশে করোনার বিস্তার ঘটেছে ব্যাপকভাবে। করোনা নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজনীয় সময়ে বেবিচক কি যথাযথ ভুমিকা রাখতে পেরেছে?
লকডাউনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ খাত হচ্ছে এভিয়েশন ও টুরিজম খাত। বর্তমানে ধুকে ধুকে চলা এইখাত বেচে থাকার কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ । এরই মধ্যে ১৪ই এপ্রিল থেকে আবার ১ সপ্তাহের জন্য ফ্লাইট বন্ধের ঘোষনা দেয়া হয়েছে।  এই নিষেধাজ্ঞা ২/৩ সপ্তাহ বা তার বেশী সময় ও চলতে পারে।
বর্তমান সময়ে সকল যাত্রীর যাওয়া আশা বা ভ্রমনের ক্ষেত্রে করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের মাধ্যমে বেবিচক কি প্রত্যাশা করছে সেটা বোধগম্য নয়। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ দেশের সাথেই ফ্লাইট বন্ধ আছে। শুধুমাত্র মধ্য প্রাচ্যের সৌদি আরব, দুবাইসহ কয়েকটি রাষ্ট্রে শ্রমিকদের যাতায়াত চলমান আছে। বাংলাদেশের শ্রমিক গ্রহনে ঐ সকল দেশের কোন নিষেধাজ্ঞা নাই। এ সকল দেশে শ্রমিক যাত্রীরা যদি যেতে না পারে তাহলে অনেক শ্রমিকের ভিসা বাতিল হয়ে যাবে, অনেক পরিবার পথে বসবে।
ভিসা সংগ্রহকারী ম্যানপাওয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি ও টিকেট প্রদানকারী ট্রাভেল এজেন্ট, এয়ারলাইন্স, সর্বপরি দেশ, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লকডাউনে বিদেশগামী যাত্রীরা কি খুব বেশী সমস্যা করবে নাকি বিদেশগামী এই সব শ্রমিক ভাইয়েরা যেতে না পারলে সমস্যা বা ক্ষতি বেশী হবে ?  আমি মনে করি এই বিষয়টি লকডাউনে আওতার বাহিরে রাখা দরকার। তাই বেবিচক, সিভিল এভিয়েশন মিনিস্ট্রি, সর্বপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনঃ বিবেচনার আহবান জানাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল চালু রাখা হোক — আটাব এর সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ ।

করোনা কালীন লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গুলো চালু রেখে বিদেশগামী ও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য এয়ারপোর্টে যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাপনা জরুরী : আটাব ও হাব এর সাবেক মহাসচিব আলহাজ্ব জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দিপু ।

পত্রিকা ও টিভি রিপোর্ট অনুসারে, লকডাউনে বিমানবন্দরে যাতায়াতে দিক বিবেচনায় নিয়ে ১৪ এপ্রিল হতে কঠোর লকডাউনে আওতায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সমুহ বাতিল করার পরিকল্পনা করেছেন সরকার । উক্ত পরিকল্পনা বাস্থবায়ন কতটুকু সমীচিন হবে ,তা একটু বিবেচনা করা প্রয়োজন ! পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে বাংলাদেশ হতে বিদেশগামী ও দেশমূখী যাত্রীদের জন্য এক বিরাট সংকট সৃস্টি হবে ।

প্রথমত : মধ্যপ্রাচ্য, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে নতুন চাকুরীপ্রাপ্ত ও ছুটিতে আসা চাকুরীরত অনেকে যথাসময়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে পারবেন না, ফলে নতুনদের যাত্রা অনিশ্চিত ও পুরনোদের চাকুরী হারাবার সমুহ সম্ভাবনা সৃস্টি হবে । এমনকি অনেকের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যেতে পারে।

লকডাউনে আপাতত ৭ দিনের ফ্লাইট বাতিল হলেও লকডাউন পরবর্তীতে ফ্লাইট চালু হওয়ার পর যাত্রীদের যে চাপ সৃস্টি হবে সেক্ষেত্রে যাত্রীর ভ্রমনের দিন ও ক্ষণ নির্ধারনে এক মারাত্মক অনিশ্চিত পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। পাশাপাশি এয়ারলাইন্স ও ট্র্যাভেল এজেন্টরাও বিশাল চাপের মূখোমূখী হবেন ।

যারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে খ্যাত ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রেখে চলেছেন, লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফাইট বাতিল করা কখনো তাদের ব্যক্তিজীবন ও দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না ।
এই সব যাত্রীর বাইরে আরো বিরাট অংশের পশ্চিমাবিশ্বগামী যাত্রী আছেন যেমন ছাত্র, গ্রিনকার্ড বা ওয়ার্ক পারমিটধারী ইত্যাদি, যাদের ক্ষেত্রে যথাসময়ে তাদের গন্তব্যে পৌছার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে ।

উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল শুরু হওয়া লকডাউন শুধু বাংলাদেশের আভ্যন্তরিন সিদ্ধান্ত, যার সাথে অন্যান্য দেশের কোন সম্পর্ক নাই। আমাদের দেশের মানুষদের কর্মক্ষেত্রের সেই সকল দেশ আমাদের দেশের সমস্যাকে যে বিশেষ গুরুত্ব দিবে তার কি কোন ন্যূনতম নিশ্চয়তা আছে !

বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন প্রয়োজন । তারপরও আমাদের প্রবাসীদের অবদান, তাঁদের ব্যক্তি ও দেশের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ বাতিল না করে লকডাউনে বিদেশগামী ও বিদেশফেরত যাত্রীদেরকে এয়ারপোর্টে গমনাগমনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাপনা সরকার ইচ্ছা করলেই করতে পারেন, যা অতি প্রয়োজনীয় ।তাই সরকার ও সিভিল এভিয়েশনকে বিষয়টি বিবেচনা করে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অনুরোধ রইল।

করোনা কালীন লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গুলো চালু রেখে বিদেশগামী ও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য এয়ারপোর্টে যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাপনা জরুরী

বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর জারিকৃত ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো দক্ষিণ কোরিয়া : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলস্বরুপ দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকদের উপর আরোপিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস আজ এক কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই বিষয়ে অবহিত করে। এর ফলে ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ হতে পুনরায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশী নাগরিকগণ ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারবেন। ইতোপূর্বে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বাংলাদেশ সহ কতিপয় দেশের নাগরিকদের সেদেশে প্রবেশের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে করে কোরিয়া গমনেচ্ছু বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী ও কর্মীর শিক্ষা ও কর্মজীবন হুমকির মুখে পড়ে। এমতাবস্থায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস শুরু থেকেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ শুরু করে। মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব ডঃ এ. কে. আব্দুল মোমেন ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর টেলিফোন আলাপকালে বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর আরোপিত এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্যে বিশেষ অনুরোধ জানান। পররাষ্ট্র সচিব জনাব মাসুদ বিন মোমেন একাধিকবার ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব লি জেন কিউন-এর সাথে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের তাগিদ দেন। পাশাপাশি, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব আবিদা ইসলাম সেদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সর্বোপরি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত অনুবিভাগ এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা চলমান সময়ে একদিকে কোরিয়া গমনেচ্ছু বিপুল সংখ্যক উদ্বিগ্ন বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী ও কর্মীদের সাথে এবং অন্যদিকে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে প্রভাবকের ভুমিকা পালন করে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই আজ দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রবেশের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুখবরটি এল। তথাপি, ভবিষ্যতে এই ধরণের ভ্রমন নিষেধাজ্ঞার পুনরাবৃত্তি এড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া সহ অন্য যেকোন দেশে ভ্রমনেচ্ছু বাংলাদেশী নাগরিকগণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীল আচরণ একান্তভাবে কাম্য। এই উদ্দেশ্যে অবশ্য পালনীয় স্বাস্থ্য ও ভ্রমনবিধি সমূহ যথাযথ ভাবে মেনে ভ্রমন করার জন্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকলকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর জারিকৃত ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো দক্ষিণ কোরিয়া

যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ জন যাত্রী নিয়ে ডেলটা এয়ারের বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবুর্গে ডেলটা এয়ারের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে। বোয়িং ৭১৭ মডেলের বিমানটিতে ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর-ফক্স নিউজের। ভারী তুষারপাতের কারণে এমনটি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সঠিক কারণ জানাযায়নি। এপি জানিয়েছে, ডেল্টা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭১৭ মডেলের বিমানটি আটলান্টার উদ্দেশে যাত্রা করার সময় পিছলিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত বিমান থেকে যাত্রীদের বের করে আনেন। এতে সেখানে কিছুক্ষণের জন্য বিমান উঠা নামা বন্ধ থাকে। রানওয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের অন্য একটি বিমানে তুলে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের মুখপাত্র জানিয়েছে, বিমানটি উদ্ধারে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে ক্ররা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ জন যাত্রী নিয়ে ডেলটা এয়ারের বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage