পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ফ্রী মেলায় স্থান পেলো ৫০ জন উদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোরের আকাশে উদীয়মান সূর্যের সোনালী আলোর মত সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে এ প্রথম দেশের কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্যোক্তাদের কল্যাণে ফ্রীতে দিনব্যাপী স্টল বসানো এবং তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তারও দিনভর ব্যবসা সুযোগ করে দিলো মেলা বসার মাধ্যমে দেশের স্বনামধন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন।

উদ্যোক্তাদের আশার বাতিঘর হয়ে শত শত উদ্যোক্তাকে আলোর পথ দেখাতে দিনরাত নিরলস ভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে সংগঠনের সাত সদস্যের টিম।

পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫০টি স্টল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নভেম্বর-২০২৪ ফ্রী স্টল উদ্যোক্তা মেলা।

পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন আয়োজনে উদ্যোক্তাদের ফ্রী মেলাতে স্টল বসার ব্যবস্থা করে দিয়ে দিনভর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এতে সারা দিনে ৫০ টি স্টলে কে কোন স্টল থেকে মেলার মাধ্যমে আগত ক্রেতার নিকট বিক্রি করতে পেরেছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের সাত সদস্য টিম।

শনিবার ৩০ নভেম্বর সকালে জমকালো আয়োজনে মিরপুর ১২ পল্লবী ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ৯টা থেকে সারাদিন অনুষ্ঠিতব্য মেলাটি মুলত উদ্যোক্তাদের সৃজনশীলতা তুলে ধরার একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ ক‌রছে।

স্টলগুলোর বেচাকেনার উপর ভিত্তি করে যে প্রতিযোগিতাটি,সেটা মূলত উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের প্রতিভার স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন।

মেলায় অংশগ্রহণকারী ৫০ টি স্টল এক একটি স্টল প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তাদের তৈরি পণ্যের চাহিদা গুনগত মানের মাধ্যমে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে সারাদিন ব্যবসা করেছে।

প্রত্যেক স্টল টিম তাদের নিজ নিজ স্টলের পণ্য সাজিয়ে ক্রেতাদের নিকট উপস্থাপন এবং পণ্য বেচা-কেনার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করেছেন মেলায় অংশগ্রহণকারী ৫০টি প্রতিযোগী স্টলকে সংগঠনটি।

এই মেলাটি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে যা তাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে আরো উৎসাহিত করবে।শনিবার সকাল ১১ টায় ফিতা ও কেক কেটে মেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক পিপিএম,এটিএন বাংলার উপদেষ্টা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব,সাধারন সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, সংগঠনের নির্বাহী কমিটি ও মেঘনা উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন টিম।এ সময় মেলায় আগত ৫০ টি স্টল ঘুরে দেখেন তারা।

পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আত্মনির্ভরশীল ভাবে গড়ে তুলতে নানা দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ দেন।পাশাপাশি গতানুগতিক প্রথা পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন।ফাউন্ডেশনটি সর্বোপরি উদ্যোক্তাদের কল্যাণে কাজ করে।সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে’ডিজিটাল নলেজ শেয়ারিং প্রকল্প নামে সারা দেশে কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়েছে শত শত উদ্যোক্তাদের।
এ ছাড়াও নানা মুখি উন্নয়নমূলক কাজ করেন,নির্যাতিত,নিপীড়িত উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে সংগঠনটি।

পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে সারাদিন মেলা শেষে সন্ধ্যা ৭ টায় বিজয়ীদের বেস্ট সেলারদের ১ম থেকে ১০ম স্হান পর্যন্ত পুরস্কৃত করা হয়, পাশাপাশি প্রত্যেক স্টল টিম উদ্যাক্তাদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় পুরস্কার সার্টিফিকেট।

উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন কবি শ্যামলী খান, লন্ডন প্রবাসী সাবরিন হক, রন্ধন বিশেষজ্ঞ হাসিনা আনছার ,সংগঠনের নির্বাহী কমিটি ও মেঘনা উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন টিম।

পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ফ্রী মেলায় স্থান পেলো ৫০ জন উদ্যোক্তা

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাহার নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি হাসিনা আনছার এবং আরটিক ফুডস এর স্বত্বাধিকারী আরফিন জামান এর যৌথ্ উদ্যোগে ফুড টেস্টিং এন্ড রেসিপি কনটেস্ট ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয় । শনিবার দুপুর ৩ টায় কেরানীগঞ্জের ভাগনা ঢাকা টাওয়ারে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতাটি মূলত নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের প্রতিভার স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজনটি করা হয়েছে।

এ প্রতিযোগিতায় নারীদের সৃজনশীলতা ও রন্ধন প্রিয়তা তুলে ধরার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ ক‌রেছে।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ২৫ জন প্রতিযোগী তাদের সেরা রেসিপি জমা দিয়েছেন। বিচারকদের প্যানেল তাদের সৃজনশীলতা রেসিপির বিশেষত্ব এবং উপস্থাপনার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করেছেন।

বিজয়ীদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় পুরস্কার সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি বই যা নাহার নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং আরটিক ফুডসের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন শাবানা আশরাফ, ১ম রানার আপ আফরিন নাহিদ ও দ্বিতীয় রানার আপ ২য় তিশা আফরিন। এই প্রতিযোগিতা নারীদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে যা তাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে আরো উৎসাহিত করবে।

অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্স এর সিইও গোলাম শাহরিয়ার কবীর, পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব ও পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম রবি ।অনুষ্ঠানের আয়োজনে ও বিচারক হিসেবে উপস্হিত ছিলেন আরটিক ফুডস এর স্বত্বাধিকারী আরফিন জামান ।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব ও সম্মানীত বিচারক মন্ডলীদের সাথে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন বিশিষ্ট রন্ধন বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব নাহার নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি হাসিনা আনছার ।এ সময় নারীদের আত্মনির্ভরশীল ভাবে গড়ে তুলতে নানা দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ দেন হাসিনা আনছার।পাশাপাশি গতানুগতিক প্রথা পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে নাহার নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।

নাহার নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনটি সর্বোপরি উদ্যোক্তাদের কল্যাণে কাজ করে।সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে সারা দেশে কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়েছে শত শত উদ্যোক্তাদের।
এ ছাড়াও সংগঠনটি নির্যাতিত,নিপীড়ন নারীদের নানা মুখি উন্নয়নমূলক কাজ সম্পৃক্ত করতে কাজ করে।স্বাধীন ভাবে নিজের মত প্রকাশের মাধ্যমে,নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজের করে সাজানোর জন্য প্রতিটি উদ্যোক্তাকে পরামর্শ প্রদান করে হাসিনা আনছার।

নাহার নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি হাসিনা আনছার এবং আরটিক ফুডস এর স্বত্বাধিকারী আরফিন জামান পক্ষ থেকে পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্স, ক্যাপ্টেন আইটি এজেন্সি,মিথী স কিচেন ও আরদি হাউসকে পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠিত হলো সৃষ্টিশীল নতুনত্ব রন্ধন রেসিপি নিয়ে উদ্যোক্তাদের ফুড টেস্টিং এন্ড রেসিপি কনটেস্ট

সাত নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাত পাঁচের ধারনা পরিবর্তন করে সময় কে প্রাধান্য দিয়ে যুগোপযোগী আধুনিক বিশ্বের মতাদর্শকে ধারন করে জাগ্রত হউক, সৎ ইচ্ছা শক্তি”এই শ্লোগানকে বুকে ধারন করে মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব কে চেয়ারম্যান ও সেলিম মাহমুদ কে মহাসচিব করে পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন নামে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেছিল।

ইতিমধ্যে এ সংগঠন টি বাংলাদেশসহ দেশের বাহিরেও তাদের সৎ-ইচ্ছে এবং কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এক অনন্য সৃষ্টি করেছে।প্রথম থেকেই সংগঠনের সাত নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন।তাদের প্রত্যেকের দক্ষতা,বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তার কারনে অল্প দিনেই দেশ বিদেশে সারা ফেলেছে।

পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন টি ইতিমধ্যে একাধিক দরিদ্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে,বিভিন্ন এতিম বাচ্চাদের শিক্ষা উপকরণ প্রদান করেছে,বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করেছে,ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল নলেজ শেয়ারিং এন্ড ওয়ার্কশপ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া ও সার্টিফিকেট প্রদান পূর্বক দক্ষ করে তুলেছে শতাধিক উদ্যোক্তাকে।

বন্যার সময় বানভাসিদের কল্যাণে সংগঠনটি তাদের সর্বক্ষমতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চটি দিয়ে বানভাসিদের পাশে ছিলেন।

সংগঠনটির একেকজন সদস্য অনন্য বৈশিষ্টের অধিকারী। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব একজন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। সদস্য সচিব সেলিম মাহমুদ ও একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,কোষাধ্যক্ষ ইকরামুল হক ভুঁইয়া ব্যবসায়ী,কার্যনির্বাহী সদস্য সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবি ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক , মোঃ খায়রুল ইসলাম হৃদয় হোসেন সংগঠক ও মিজানুর রহমান চাকুরীজীবি সমাজ সেবক , উম্মে সালমা ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী।তারা সাতজন সাত নক্ষত্র প্রত্যেকে সু-শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত।

সংগঠনটির চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান অপূর্ব জানান,গেলো শনিবার ১৯ অক্টোবর ঢাকার বাংলা মটর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ কে প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নজরুল সংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা এবং টুরিস্ট পুলিশ ঢাকা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক পিপিএম,”এটিএন বাংলার উপদেষ্টা সম্পচার তাশিক আহমেদ কে বিশেষ অতিথি করে এ বছর পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন দেশের স্বনামধন্য নির্বাচিত ৬ জন উদ্যোক্তাকে ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আলোকিত উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০২৪ ও সার্টিফিকেট প্রদান করেছে।

তিনি আরো বলেন,আমরা নাম ফোঁটানোর জন্য ভূঁইফোড় সংগঠন ও ফাউন্ডেশনের মতো না।আমরা সর্বোপরি গতানুগতিক প্রথা ভেঙে সাত সদস্য বিশিষ্ট এ সংগঠন টি তৈরি করেছি।আমাদের এ স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের প্রদান লক্ষ্যই ছিলো গতানুগতিক প্রথা ভেঙে নামে বে-নামে ভূঁইফোড় সংগঠন /ফাউন্ডেশনের এডমিশনদের নিকট বন্দী থাকা সকল উদ্যোক্তাদেরকে মুক্ত আলোর পদ দেখাবো।সে অনুযায়ী আমরা কাজও করে যাচ্ছি।

আপনাদের এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টি কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করবে ?
সাংবাদিকদের এরকম প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির মহাসচিব সেলিম মাহমুদ জানায়,বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এরকম সকল অপরাধের বিরোধী কাজ করবে। বিশেষ করে নারী ও শিশু মানসিক বিকাশ তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।তাছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে দক্ষ উদ্যমী তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি প্রশিক্ষণ এবং তাদের প্লাটফর্ম তৈরি করা,শিশু শ্রম বন্ধ,প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত,প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা,কৃষি সহায়ক বীচ, সার কিট নাশক প্রদান,মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিম খানা নির্মাণ সহ পথচারীদের পাশে সব সময় সব পরিস্থিতিতে পাশে থাকবে বলে জানায় পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন পরিবার।

সাত নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন

এক ঝাঁক উদ্যোক্তা পেল পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন আলোকিত উদ্যোক্তা সম্মাননা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোকিত উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করা দেশের নির্ভরযোগ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন ।

এই সংগঠনের এর পক্ষ থেকে আলোকিত উদ্যোক্তা সম্মাননা-২০২৪ পেলো দেশের সুনামধন্য আলোকিত উদ্যোক্তারা।

শনিবার ১৯ অক্টোবর বিকেল ৪ ঘটিকায় রাজধানীর বাংলামটর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে “দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় উদ্যোক্তাদের আলোকিত উদ্যোক্তা সম্মাননা ও সনদ প্রদান করেছে উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন “পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন”।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের চেয়ারম্যানের মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ।প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্হিত ছিলেন নজরুল সংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার উপদেষ্টা সম্প্রচার তাশিক আহমেদ,এসএ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল ,টুরিস্ট পুলিশ,ঢাকা রিজিয়নের, পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক পিপিএম , সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ইকরামুল হক ভূঁইয়া ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ হাসিনা আনছার ।
আরও উপস্হিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, মোঃ মিজানুর রহমান, উম্মে সালমা,মোঃ হৃদয় হোসেন ও এক ঝাঁক নারী উদ্যোক্তাগণ ।

গতানুগতিক প্রথা পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন।আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ফাউন্ডেশনটি তাদের সু-সংগঠিত নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারাদেশে জনপ্রিয়তা কুঁড়াচ্ছে।

এই ফাউন্ডেশনটি সর্বোপরি উদ্যোক্তাদের কল্যাণে কাজ করে ।সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে’ডিজিটাল নলেজ শেয়ারিং ওয়ার্কশপ’ প্রকল্প নামে সারা দেশে কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়েছে শত শত উদ্যোক্তাদের।এ ছাড়াও নানা মুখি উন্নয়নমূলক কাজ করেন নির্যাতিত,নিপীড়ন,নারীদের নিয়ে কাজ করে।পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন থেকে আলোকিত উদ্যোক্তা সম্মাননা পেলেন যে সাত উদ্যোক্তা

মোঃ রবিউল ইসলাম রবি ( সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ) , মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ( সাংবাদিক ), অঞ্জন আইচ (টিভি ও চলচ্চিত্র পরিচালক) ‘মেহেরুন নেসা ( রন্ধন বিশেষজ্ঞ),কুমকুম ফকির ( নারী উদ্যোক্তা),রুমানা রহমান (রন্ধন শিল্প উদ্যোক্তা) ও হাসিনা আনছার (রন্ধন শিল্প উদ্যোক্তা)।

চেয়ারম্যান মনিরুজ্জান অপূর্ব উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আমাদের এ ফাউন্ডেশন এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দেশের শিক্ষিত উদ্যমী তরুণ ও মেধাবী উদ্যোক্তাদের আত্মনির্ভরশীল ভাবে গড়ে তুলতে সব সময় বদ্ধপরিকর।

আমরা এ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছছি যা এখনও কার্যক্রম চলমান।

ঢাকা সহ ৬৪জেলা এবং উপজেলা গুলোতে পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট প্রদান কার্যক্রম হাতে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।আমরা শুধু প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তাদের ছেড়ে দেই না,সব সময় তাদের খবরা-খবর রাখি।তাদের বিপদে-আপদে সংগঠনের মাধ্যমে পাশে থাকি।

বর্তমানে দেশে বিভিন্ন নামে বে-নামে ভূইফর সংগঠন গুলো সাধারণ উদ্যোক্তাদের জিম্মী করে রেখেছে।
আমরা ঐ সব উদ্যাক্তাদের কাজ করার জন্য স্বাদরে আমন্ত্রণ জানাই ।

এ ছাড়া সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ বলেন আরো প্রকল্প হাতে নিচ্ছে আমাদের সংগঠনটি। উদ্যোক্তাদের ট্রেনিং এর মাধ্যমে দক্ষ করার পাশাপাশি ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ভবিষ্যতে তাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে পাশে থাকবেন।
যে সকল নিপীড়িত উদ্যোক্তারা ভূইফোড় সংগঠনের হাতে জিম্মি আছে, তাদের পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আইন প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে একজন স্বাধীন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এক ঝাঁক উদ্যোক্তা পেল পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন আলোকিত উদ্যোক্তা সম্মাননা।

শিল্পী সমিতির নির্বাচন সভাপতি মিশা ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

 মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২০২৬ মেয়াদী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর (২৬৫)।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)। মাত্র ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

মিশা-ডিপজল ছাড়াও সহ-সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫০), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৮৬), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত(২১৬), দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।

বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক সবাই একসঙ্গে কাজ করব।সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি। ফলাফল ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে জয়ের উল্লাস, আনন্দে মেতেছেন সবাই। উল্লেখ, গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ৪৭৫ জন শিল্পী। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন।২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে একটি জোটে ছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে দুই অভিনেতা মিশা ও ডিপজল।আরেক প্যানেল থেকে লড়েন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও নায়িকা নিপুণ আক্তার। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু এবং সদস্য হিসেবে ছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান ।

শিল্পী সমিতির নির্বাচন সভাপতি মিশা ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

ট্যুরিজম ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিডাব)-এর২০২৩-২০২৫ সালের পরিচালনা পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর !

 

ট্যুরিজম ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিডাব)- এর২০২৩-২০২৫ সালের নতুন পরিচালনা পর্ষদের কাছে ১৯-১২-২০২৩ ইং বেলা ১২ ঘটিকায় ঢাকা ক্লাব এ টিডাব উপদেষ্ঠা জামিউল আহমেদ এর নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। সভায় ২০২১-২০২৩ সালের বিদায়ি চেয়ারম্যন সৈয়দ হাবিব আলী, ডিরেক্টর অপারেশন কাজী নজরুল ইসলাম সুমন, টিডাব উপদেষ্ঠা জামিউল আহমেদ সহ ২০২১-২০২৩ সালের পরিচালনা পর্ষদের এবং ২০২৩-২০২৫ সালের পরিচালনা পর্ষদের প্রায় সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

 

‘‘টিডাব’’ ২০২৩-২০২৫ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আসলাম খান, ডিরেক্টর অপারেশন লায়ন মুক্তার হোসেন চৌধুরী, ডিরেক্টর ফিন্যান্স মোঃ নুরুজ্জামান (সুমন)সহ সকল পরিচালককে ফুল দিয়ে বরন করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল আমিন (মিন্টু),ভাইস চেয়ারম্যান মোঃইউসুফ আলী,ভাইস চেয়ারম্যান,আলহাজ¦ শরীয়তউল্লাহ (শহীদ),ভাইস চেয়ারম্যান,আবুল কালাম আজাদ,ভাইস চেয়ারম্যান, এফ. এম রফিকুল ইসলাম,ভাইস চেয়ারম্যান,মোহাম্মদ খতিবুর রহমান, ডিরেক্টর মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন, মোঃ জহিরুল ইসলাম (ডালটন জহির), ডিরেক্টর পলিসি এন্ড পারসুয়েশন গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক
ডিরেক্টর মেম্বারশিপ ডেভেলপমেন্ট মোঃরবিউল ইসলাম (রবি),ডিরেক্টর রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট মোঃ জুনেদ আলম, ডিরেক্টর লিগ্যাল অ্যাফেয়ার শাব্বির উদ্দিন আহমেদ, ডিরেক্টর বিসনেস ডেভেলপমেন্ট কাজী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সুজন,ডিরেক্টর মেম্বার ওয়েলফেয়ার মোঃ মাহমুদুল হাছান সরকার, ডিরেক্টর এ্যাকাউন্ট এন্ড ফিন্যান্স মোঃ সাজ্জাদ হোসেনভূঁইয়া,ডিরেক্টরপ্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন মোঃ নাহিদুল ইসলাম,ডিরেক্টর ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি মাহমুদুন নবী, ডিরেক্টর কালচারাল অ্যাফেয়ারস মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন সরকার,ডিরেক্টর ইভেন্টস এন্ড এক্সিবিশন মমিনুল ইসলাম আসিফ,ডিরেক্টর ইন্টারন্যাশনাল রিলেশানস মোহাম্মদ আতাউর রহমান (অনিক), ডিরেক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাফেয়ার্স মোঃআমিনুল ইসলাম (রতন)।

ট্যুরিজম ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিডাব)-এর২০২৩-২০২৫ সালের পরিচালনা পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর !

ট্যুরিজম ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিডাব)- এর পরিচালনা পর্ষদ গঠন ২০২৩-২০২৫

চেয়ারম্যান আসলাম খান, ডিরেক্টর অপারেশন লায়ন মুক্তার হোসেন চৌধুরী ট্যুরিজম ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিডাব)- এর ২০২৩-২০২৫ সালের নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত। ২০২৩-২০২৫ সালের ‘‘টিডাব’’ চেয়ারম্যান আসলাম খান, ডিরেক্টর অপারেশন লায়ন মুক্তার হোসেন চৌধুরী, ডিরেক্টর ফিন্যান্স মোঃ নুরুজ্জামান (সুমন) নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৫ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, রুফটপ রেস্টুরেন্ট, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ এ ‘‘টিডাব’’ এর বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩-২০২৫ইং এর ‘‘টিডাব’’ এর ২৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয় । ‘‘টিডাব” নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান জামিউল আহমেদ, পরিচালনা পরিষদ উপস্থাপন করেন। পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল আমিন (মিন্টু), ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান, আলহাজ¦ শরীয়ত উল্লাহ (শহীদ), ভাইস চেয়ারম্যান, আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান, এফ. এম রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ খতিবুর রহমান, ডিরেক্টর মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন, মোঃ জহিরুল ইসলাম ডালটন জহির, ডিরেক্টর পলিসি এন্ড পারসুয়েশন গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক,
ডিরেক্টর মেম্বারশিপ ডেভেলপমেন্ট মোঃ রবিউল ইসলাম (রবি), ডিরেক্টর রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট মোঃ জুনেদ আলম, ডিরেক্টর লিগ্যাল অ্যাফেয়ার শাব্বির উদ্দিন আহমেদ, ডিরেক্টর বিসনেস ডেভেলপমেন্ট কাজী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সুজন, ডিরেক্টর মেম্বার ওয়েলফেয়ার মোঃ মাহমুদুল হাছান সরকার, ডিরেক্টর এ্যাকাউন্ট এন্ড ফিন্যান্স মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া, ডিরেক্টর প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন মোঃ নাহিদুল ইসলাম, ডিরেক্টর ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি মাহমুদুন নবী, ডিরেক্টর কালচারাল অ্যাফেয়ারস মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন সরকার, ডিরেক্টর ইভেন্টস এন্ড এক্সিবিশন মমিনুল ইসলাম আসিফ, ডিরেক্টর ইন্টারন্যাশনাল রিলেশানস মোহাম্মদ আতাউর রহমান (অনিক), ডিরেক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাফেয়ার্স মোঃ আমিনুল ইসলাম (রতন)।
Tourism Developers Association of Bangladesh (TDAB) NEW BOD: 2023-2025
Aslam Khan (Chairman), Muktar Hossain Chowdhury (Director Operation) Aslam Khan has been Elected as the Chairman of Tourism Developers Association of Bangladesh, while, Muktar Hossain Chowdhury was appointed as the Director Operation & Md. Nooruzzaman Director Finance & Mohammad Zahirul Islam (Dalton Zahir) Elected as a Director Media & Communication For 2023-2025, And 23-member board of directors of the TDAB has been elected also. Said a press release.
Other board of directors are Mohammed Ruhul Amin (Mintu) Senior Vice Chairman. Md Yousuf Ali, Vice Chairman. Alhaj Shariat Ullah Shahid, Vice Chairman. Abul Kalam Azad, Vice Chairman. F. M. Rafiqul Islam Vice Chairman. Mohammed Khotibur Rahman Vice Chairman. Golam Mahmud Bhuiyan Manik Director Policy & Persuasion.
Md. Robiul islam Robi Director Membership Development. Md Juned Alam Director research & Development. Shabbir Uddin Ahmed Director Legal Affair. Kazi Muhammad Zahirul Islam Sujan Director Business Development. Md Mahmudul Hasan Sarker Director member Welfare. Md. Sajjad Hossain Bhuiyan Director Accounts & Finance. Md Nahidul Islam Director Printing & Publication, Mahmudun Nobi Director Information & Communication Technology, Mohammad Tofazzal Hossain Sarkar Director Cultural Affairs, Mominul Islam Asif Director Events & Exhibition. Muhammad Ataur Rahman Director International Relations, Md. Aminul Islam (Ratan) Director Industry Affairs.
Tourism Developers Association of Bangladesh (TDAB), was formed in the year of 1997. (TDAB), was established for development of Tourism in Bangladesh, Our organization working with government for development of the tourism sector in Bangladesh. Our organization as an Industry Association Suggest Govt. For Act, rules regulations guidelines and many more. Last 26 Years supporting to the Industry for the developing tourism industry.

ট্যুরিজম ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিডাব)- এর পরিচালনা পর্ষদ গঠন ২০২৩-২০২৫

দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার ১ যুগ পূর্তি উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা, গুনিজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ।

০৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং রবিবার সন্ধ্যা ৬.০০ টায় দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার উদ্যোগে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, আইডিইবি ভবন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে, দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার ১ যুগ পূর্তি উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়া আইডল অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্বর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ এ্যাড. শামসুল হক টুকু, এমপি। অনুষ্ঠনটি উদ্বোধন করবেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের মামনীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, এমপি। বিশেষ অতিথি- বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, একেএম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) ডিএমপি, আসিফ সামস্ রঞ্জন মেয়র, পাবনা বেড়া পৌরসভা, মোঃ শামসুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আইডিইবি কেন্দ্রিয় কমিটি।

যাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে- আজীবন সম্মাননা অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক (শিক্ষাবিদ), আজীবন সম্মাননা কাজী হায়াত (চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিচালক ও অভিনেতা), আজীবন সম্মাননা রফিকুল আলম (সংগীত শিল্পী) আজীবন সম্মাননা কোহিনূর আক্তার সুচন্দা (চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিচালক ও অভিনেত্রী, ছবি- হাজার বছর ধরে), আজীবন সম্মাননা কনা রেজা, (পরিচালক- চ্যানেল আই, সিইও- পান সুপারী)।

 

ড. মাহফুজুর রহমান, চেয়ারম্যান, এটিএন বাংলা কনসেপ্ট (ছবি- আমার মা), ওমর সানি ও মৌসুমী- সফল দম্পত্তি, অরুনা বিশ^াস- সফল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী,  রিনা খান- সফল খল অভিনেত্রী, হাসান মতিউর রহমান- গীতিকার সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ সুরকার- শওকত আলী ইমন, দিনাত জাহান মুন্নি, শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী, রবি চৌধুরী- শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী, শবনম পারভীন- অভিনেত্রী, রাজু আলীম- সাংবাদিক সভাপতি বাচসাস, রিমন মাহফুজ- সাংবাদিক সাধারণ সম্পাদক- বাচসাস, দেবাশীষ বিশ^াস (চলচিত্র পরিচালক) শ^শুর বাড়ি জিন্দাবাদ-২, নিপুন (নায়িকা)- সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রে সফল সংগঠক, সাইমন সাদিক (নায়ক) ছবি- লাল শাড়ী – ২০২৩, শাহানূর- চিত্রনায়িকা, সুব্রত চিত্রনায়ক, শাকিল খান + শারমিন হোসেন- সুখী দম্পত্তি, আব্দুস সাত্তার সামির- সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক, মোহসেনা শাওন, সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার-এনটিভি, আমার মা সিনেমার যারা পাচ্ছেন (পরিচালক- শাহরিয়ার নাজিম জয়, প্রযোজক- মাহবুবা শাহরিন, নায়ক- ডি এ তায়েব, নায়িকা-ইয়ামিন হক ববি, শিশু শিল্পী- দেওয়ান জাদি তুসমি তায়েব, মোঃ জাফর হোসেন- প্রশাসন ও জনসাধারণের সেবায়- উপ পুলিশ কমিশনার লালবাগ বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা, শিরীন শিলা-চিত্রনায়িকা, নোলক বাবু- সংগীত শিল্পী, এফ এ সুমন- সংগীত পরিচালক, বারিশ হক- ব্র্যান্ড প্রমোটর, দিঘী- উদিয়মান অভিনেত্রী, সোহেল রহমান- শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক ক্ল্যাসিক্যাল, আয়েশা আক্তার- চিকিৎসা সেবায়, ডাঃ মোঃ তৌফিকুর রহমান ফারুক- চিকিৎসা সেবায়, সিমরিন লুবাবা- শিশু শিল্পী।

দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার ১ যুগ পূর্তি উপলক্ষে গুনিজন সংবর্ধনা

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাবলা গ্রামের ‘খোকন চিশতির ‘ লালন ঘরানার পুলকিত আশ্রমে ‘দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে  এর প্রতিবাদ গানের আর্তনাথ নামে শাহবাগে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। খোকন চিশতির আশ্রমে কাউকে না জানিয়ে হটাৎ করে অতর্কিত হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহ আশ্রমের জিনিসপত্র ভা;চুর কারীদের, দ্রুত চিহ্নিত করে, উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকা বাসী।এটি খুবি খারাপ কাজ করেছে। এর জন্যই আজ ঢাকায় শাহবাগে সাধু,ফকির,বাউল শিল্পী সব এক সাথে হয়ে পুরু শাহবাগ কাঁপিয়ে দিয়েছেন।গানে গানে তারা আর্তনাথ জানিয়েছেন, বিচার চেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

তারা জানিয়েছেন আর না ভাংগুক যন্ত্র আর না কাদুক কোন বাউল শিল্পী। গান গেয়ে নেচে বাদ্য বাজিয়ে শত শত লোক তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।সবাই আশা ব্যক্ত করে অতি তারাতাড়ি আসামীরা সবাই ধরা পরে যাবে।এবং সবার বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।

লালন ঘরানার পুলকিত আশ্রমে ‘দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে  এর প্রতিবাদ গানের আর্তনাথ নামে শাহবাগে প্রতিবাদ সভা বাদ্যযন্ত্র সহ আশ্রমের জিনিসপত্র ভা;চুর

 

গত ৩ এপ্রিল গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের চুম্বক অংশটি দেশের সব পত্রিকায় খুবই গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত দূরদর্শী ও সময়োপযোগী এ বক্তব্যে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য জনশক্তিকে দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এজন্য কূটনীতিকে এখন রাজনৈতিক বলয় থেকে বিস্তৃত করে অর্থনৈতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরাও বহুদিন আগে থেকেই নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে সেখানে জনশক্তি রপ্তানি করে বেসরকারি পর্যায়ে তাদের ভূমিকা রেখে চলেছেন। এসব নতুন দেশের অনেকগুলোই ইউরোপ মহাদেশের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ।

একজন পর্যটন ব্যবসায়ী হয়েও একই সঙ্গে বাংলাদেশের একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন বাজারের সন্ধানে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশ দিনের এক দীর্ঘ ব্যবসায়িক সফরে রোমানিয়া, সার্বিয়া, অস্ট্রিয়া, ইতালি ও পোল্যান্ড ভ্রমণ করেছি এবং এসব দেশের বিভিন্ন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত অনেকগুলো বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছি। এসব বৈঠকে চাকরিদাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনায় যা উঠে এসেছে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হচ্ছে সেসব দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা, যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবৃত হয়েছে।

বিভিন্ন বাস্তবিক কারণেই ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা। বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারি নির্মাণশিল্পের শ্রমিক, বিভিন্ন রকমের কারখানা ও ওয়্যারহাউসের শ্রমিক, রেস্টুরেন্টের শেফ ও ওয়েটার, ভারি যানবাহনের ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পেশায় দক্ষ কর্মীদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে দক্ষ ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা। এদের চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি বেতনও তুলনামূলকভাবে অনেক। পক্ষান্তরে অদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা যেমন কম, তাদের বেতনও অনেক কম।

তাই আমাদের বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমিকদের বর্তমান চাকরি বাজারের উপযুক্ত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি বিভিন্ন পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিকদের বিদেশে প্রেরণ করতে চাই, তাহলে ইউরোপের দেশগুলো হতে পারে আমাদের জন্য চমৎকার এক শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় ইউরোপের এসব দেশে বেতনের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি এবং সুযোগ-সুবিধাও অনেক। তাছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশ হওয়ার কারণে এসব দেশের জীবনযাপনের মানও অনেক উন্নত এবং বেশিরভাগ দেশেই পাঁচ বছর নিয়মমাফিক অবস্থান করলে শর্তসাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়।

একটি বাস্তবিক ব্যাপার হলো যে, আমাদের দেশের শ্রমিকদের মধ্যে যাদের ওইসব দেশে স্থায়ী বসবাসের ইচ্ছে রয়েছে, স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন তাদের জন্য বয়ে আনতে পারে তাদের নিজেদের জীবনমান পরিবর্তনের এক সুবর্ণ সুযোগ। আর এসব দেশে অবস্থান করে চাকরির মাধ্যমে অর্থোপার্জন করে তা দেশে পাঠানোর মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখতে পারে; তেমনি তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্থনীতিতে আনতে পারে এক সোনালি বিপ্লব, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
তবে ইউরোপে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিপুল এই সম্ভাবনার হাত ধরে একই সঙ্গে চলে এসেছে একটি মারাত্মক বাস্তবিক আশঙ্কাও; যা এই সম্ভাবনাকে হয়তো বা আঁতুড়ঘরেই হত্যা করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ইউরোপের দেশগুলোতে শ্রমিকদের অভিবাসনের পছন্দের তালিকায় বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ রোমানিয়া; যে দেশটি প্রায় তিন দশক আগে কমিউনিজম শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বর্তমানে শেঙ্গেন দেশগুলোর জোটে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই দেশটিতে অভিবাসনের প্রত্যাশায় এত বেশি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যে, রোমানিয়া সরকার এসব আবেদন নিষ্পত্তি করে ভিসা প্রদানের জন্য গত বছর তিন মাসের মেয়াদে একটি কনস্যুলার টিম বাংলাদেশে প্রেরণ করেছিলেন এবং বর্তমান বছরের মার্চ মাস থেকে আবারো তারা ঢাকায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এটি আমাদের জনশক্তি রপ্তানির জন্য একটি দারুণ ইতিবাচক ব্যাপার।

কিন্তু আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যে আশঙ্কার উদ্রেক করেছে তা অত্যন্ত বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক এবং তা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের ভেবে দেখার দাবি রাখে বৈকি!
রোমানিয়াসহ উল্লেখিত দেশগুলোর প্রায় সবটিতেই অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একজন শ্রমিককে তাদের দেশে এনে কাজে যোগদান করাতে একজন চাকরিদাতাকে কমবেশি প্রায় ৬ মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর জন্য তাদের অর্থকড়িও খরচ করতে হয়। কিন্তু এত অপেক্ষার পর চাকরিদাতারা যেসব শ্রমিককে তাদের দেশে নিয়ে আসেন, তারা কিছুদিন চাকরি করার পর; এমনকি কখনো কখনো সেসব দেশে পদার্পণের পরপরই আরো উন্নত জীবন পাওয়ার আকাক্সক্ষায় তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে যান ফ্রান্স, ইতালি কিংবা ইউরোপের অন্যান্য উন্নত দেশে সেখানে অবস্থান করা তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে; যা একজন চাকরিদাতার জন্য এক চরম ক্ষতিকর ব্যাপার। এই ক্ষতি শুধু যে চাকরিদাতার জন্য ক্ষতি তা নয়; এই ক্ষতি পালিয়ে যাওয়া এসব বাংলাদেশি শ্রমিকেরও।

কারণ অবৈধভাবে ভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশের কারণে তারা সেসব দেশেও হয়ে পড়েন অবৈধ অভিবাসী এবং তাদের ভবিষ্যৎকে করে তোলেন ঝুঁকিপূর্ণ। যখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন, তখন আর সেখানে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। তারা সেসব দেশে যাপন করেন অবর্ণনীয় এক দুঃস্বপ্ন ও দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, যা তাদের পরিবারের কাছে তারা লজ্জায় প্রকাশ করেন না; আর আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ তাই তা জানতেও পারেন না।

অপরদিকে এসব পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকের কারণে ওইসব দেশের চাকরিদাতাও বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরি প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এর ফলে যেসব শ্রমিক ওইসব দেশে অভিবাসনের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন, তাদের জন্য সেই সুযোগ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; বিনা দোষে কপাল পুড়ছে তাদের। অথচ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরা কিন্তু তাদের চাকরির শর্ত ভঙ্গ করছেন না এবং সুনামের সঙ্গেই তারা ওইসব দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকরা যদি এমন অপরিণামদর্শী না হতেন; তাদের চাকরিদাতাকে বিপদে না ফেলে সেখানেই চাকরি করতেন তবে সেসব দেশে আমরা লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতাম।

আরেকটি ব্যাপারে সদাশয় সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের মতো ইতি টানতে চাই। গত ৬ মার্চ তুষার ঢাকা এক হিমশীতল বিকালে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশোতে পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধিসহ আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের উষ্ণ আতিথেয়তায় দূতাবাসের অফিসে এক ঘণ্টা স্থায়ী এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের দুজনের ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তিনি বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরির সুযোগ খোঁজার জন্য আমাকে ধন্যবাদ প্রদান করেন তবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি অংশ ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দক্ষ শ্রমিকদের চাকরির চাহিদার ব্যাপারে তিনিও একমত প্রকাশ করেন এবং আমি তাকে জানাই যে, বৈঠকে উপস্থিত পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আমার কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ওয়েল্ডার এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের (সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার) কর্মসংস্থানের জন্য আমাকে একটি চাহিদাপত্র প্রদান করেছেন এবং আমি এই কোম্পানির সব কাগজপত্র এবং উক্ত ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মস্থল, কর্মপরিবেশ এবং থাকার জায়গা ইত্যাদি দূতাবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা, পরিদর্শন ও সত্যায়িত করাতে চাইলে তিনি তার জনবলের অপ্রতুলতার কথা প্রকাশ করলেও তিনি ব্যাপারটি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।

এখানে বলা উচিত যে, পোল্যান্ডে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের বসবাস এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, এখানে বাংলাদেশিদের মালিকানায় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি! আমার মনে হয়েছে সুন্দর এই দেশটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি উদ্যোক্তার দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে পোল্যান্ড এবং জার্মানি হতে পারে আমাদের একটি প্রধান শ্রমবাজার কেননা জার্মানিও ইতোমধ্যে তাদের প্রায় ৬০ হাজার দক্ষ জনশক্তির চাহিদার ঘোষণা দিয়েছে।

সদাশয় সরকার পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসে জনবল বৃদ্ধি ও লেবার কাউন্সিলর নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারটি বিবেচনায় নিলে সেখানে আমাদের জনশক্তি রপ্তানির কাজটি সহজ হতে পারে। আর বাংলাদেশে যেহেতু পোল্যান্ডের কোনো দূতাবাস নেই, তাই আমাদের নাগরিকদের ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে যেতে হয় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এবং সেখানে প্রায় এক মাস অবস্থান করতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতো পোল্যান্ডের ভিসা আবেদনপত্রও যদি ‘ভিএফএসে’র (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার) মাধ্যমে ঢাকায় জমা নেয়ার ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আমাদের নাগরিকদের ভিসা আবেদনের খরচ কমে যেত অনেক এবং তাদের মূল্যবান সময় বেঁচে যেত। আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি পোলিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি সহজীকরণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন।

ড. মো. মামুন আশরাফী : লেখক : কবি, রাষ্ট্রচিন্তক ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ।

বাংলাদেশের নতুন শ্রমবাজার : ইউরোপ

https://www.facebook.com/bm24tvofficialpage