নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল যুদ্ধে যাওয়ার মূল নির্দেশ ও অনুপ্রেরণা বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন,বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছে তখন আমরা নিশ্চিত হয়ে গেছি ঘরে আর থাকার সময় নেই, যুদ্ধে যেতে হবে। বুধবার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস ছিল। সেটা বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেই পাকিস্তানি বন্ধী দসা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি করতে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ দেন তখনি আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক এসে গেছে। তখন আমরা ঘরে না থেকে মুক্তিযুদ্ধে চলে গেছি। কিন্তু আমাদের কাছে অস্ত্র ছিল না। তখন আমরা খোঁজ নিয়েছি কার ঘরে লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে,তার কাছে অনুরোধ করে বুঝিয়ে শোনিয়ে অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি।
তিনি বলেন,ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী থেকে একজন এসে যখন বঙ্গবন্ধুকে বললো আপনাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশের বাঙালিরা আমাকে মারবে, এটা বলে তাদের কথায় পাত্তা দেননি তিনি। ঢাকা- ৬ আসনের এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে এমন ভালোবাসতে যে তিনি একজন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তিনি বাসায় ওই ধরনের কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখেনি। জাসদের কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ যেদিন জাসদ হয়েছে তারপরের দিন যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করছি আমরা। এ জাসদ মুক্তিযুদ্ধ করছে। তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে করে এসে অস্ত্র ভাগ করে আলাদা হয়ে গেলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে জাসদ ট্যাঙ্কের উপর বসে উল্লাস করছে দুঃখের বিষয়।
আমেরিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনদেশ, এদেশের ভালো মন্দ দেশের জনগণ ঠিক করবে। এদেশ আমাদের দেশের ভালো মন্দ আমরা ঠিক করবো, কীভাবে নির্বাচন হবে, আমরা ঠিক করবো। কিন্তু এখনো তারা (বিদেশি) ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সারাদিন দিন দৌড়াদৌড়ি করে কী করবে। এই তারাই স্বাধীনতার সময় সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এই আমেরিকা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন,বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে প্রতিশোধ নিতে মূল অভিষ্ঠ লক্ষে পৌছাতে পারিনি। আমরা কিছু ছাত্রলীগ নেতারা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় গেলেও তারা কোনো নির্দেশনা দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার কন্যাদের বাংলাদেশে আসতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল কিন্তু সাহসী পিতার সাহসী কন্যা শেখ হাসিনা সকল বাঁধা অপেক্ষা করে মাতৃভূমিতে ফিরে হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। বাবার (বঙ্গবন্ধু) মতোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন বলেই জীবন বাঁচি রেখে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কাজ করে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য ২১ বছর লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মানুষের পালর্স বুঝে কাজ করতেন। শেখ হাসিনা তারই আর্দশের ধারণ করে মানুষের পার্লস বুঝে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো.সামসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গভনিংবডি’র চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ শরীদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি ডা.মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী,জানাতুল বাকী,সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্রি. জে. অব. অধ্যাপক ডা.ইফফতা আরা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন,ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের গভনিংবডি’র সদস্য ও মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুসহ অনেকেই।
আজ ২৪ মে রোজ বুধবার ঢাকা-৫ নির্বচনী আসনের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার পার্কে দেশব্যাপী দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তান্ডবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসনে দক্ষিণ যুবলীগের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হকের সার্বিক পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবু হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম আরিফুর রহমান।আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসনের ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থানার আওতাধীন সকল ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।এছাড়াও প্রত্যেক ওয়ার্ড যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র হলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে প্রতিহত করবে। তিনি আরো বলেন পরশ-নিখিলের নির্দেশে রানা-রেজার নেতৃত্বে যুবলীগ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত। শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোষহীন তাই তিনি বলেন শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর কথা বলে বিএনপি-জামাতের দোষররা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে যে নীল নকশা তৈরী করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে তা যুবলীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই।
যুবলীগের কর্মীরা তাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও পরশ-নিখিলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। সমাবেশে বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের দেয়া বক্তব্য ও দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তান্ডবের তীব্র প্রতিবাদ জানান। সমাবেশ শেষে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড় হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন করে বিক্ষোভ মিছিল সম্পন্ন হয়।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের জহির কে সভাপতি ও সনেট কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের (২০২২-২০২৪) নতুন কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কোনাখোলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে আহবায়ক কমিটির এক জরুরী সভায় পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জহুরুল হক জহির কে সভাপতি ও সামছুল ইসলাম সনেট কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষনা করা হয়। কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি রানা আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহাগ খান, দপ্তর সম্পাদক এনামুল হাসান, নির্বাহী সদস্য মজিবুর রহমান সাইদ হোসেন, বশির আহম্মেদ, সজিব হোসেন, শিপন উদ্দিন।
গত ৩ এপ্রিল গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের চুম্বক অংশটি দেশের সব পত্রিকায় খুবই গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত দূরদর্শী ও সময়োপযোগী এ বক্তব্যে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য জনশক্তিকে দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এজন্য কূটনীতিকে এখন রাজনৈতিক বলয় থেকে বিস্তৃত করে অর্থনৈতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরাও বহুদিন আগে থেকেই নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে সেখানে জনশক্তি রপ্তানি করে বেসরকারি পর্যায়ে তাদের ভূমিকা রেখে চলেছেন। এসব নতুন দেশের অনেকগুলোই ইউরোপ মহাদেশের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ।
একজন পর্যটন ব্যবসায়ী হয়েও একই সঙ্গে বাংলাদেশের একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন বাজারের সন্ধানে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশ দিনের এক দীর্ঘ ব্যবসায়িক সফরে রোমানিয়া, সার্বিয়া, অস্ট্রিয়া, ইতালি ও পোল্যান্ড ভ্রমণ করেছি এবং এসব দেশের বিভিন্ন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত অনেকগুলো বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছি। এসব বৈঠকে চাকরিদাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনায় যা উঠে এসেছে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হচ্ছে সেসব দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা, যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবৃত হয়েছে।
বিভিন্ন বাস্তবিক কারণেই ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা। বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারি নির্মাণশিল্পের শ্রমিক, বিভিন্ন রকমের কারখানা ও ওয়্যারহাউসের শ্রমিক, রেস্টুরেন্টের শেফ ও ওয়েটার, ভারি যানবাহনের ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পেশায় দক্ষ কর্মীদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে দক্ষ ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা। এদের চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি বেতনও তুলনামূলকভাবে অনেক। পক্ষান্তরে অদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা যেমন কম, তাদের বেতনও অনেক কম।
তাই আমাদের বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমিকদের বর্তমান চাকরি বাজারের উপযুক্ত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি বিভিন্ন পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিকদের বিদেশে প্রেরণ করতে চাই, তাহলে ইউরোপের দেশগুলো হতে পারে আমাদের জন্য চমৎকার এক শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় ইউরোপের এসব দেশে বেতনের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি এবং সুযোগ-সুবিধাও অনেক। তাছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশ হওয়ার কারণে এসব দেশের জীবনযাপনের মানও অনেক উন্নত এবং বেশিরভাগ দেশেই পাঁচ বছর নিয়মমাফিক অবস্থান করলে শর্তসাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়।
একটি বাস্তবিক ব্যাপার হলো যে, আমাদের দেশের শ্রমিকদের মধ্যে যাদের ওইসব দেশে স্থায়ী বসবাসের ইচ্ছে রয়েছে, স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন তাদের জন্য বয়ে আনতে পারে তাদের নিজেদের জীবনমান পরিবর্তনের এক সুবর্ণ সুযোগ। আর এসব দেশে অবস্থান করে চাকরির মাধ্যমে অর্থোপার্জন করে তা দেশে পাঠানোর মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখতে পারে; তেমনি তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্থনীতিতে আনতে পারে এক সোনালি বিপ্লব, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
তবে ইউরোপে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিপুল এই সম্ভাবনার হাত ধরে একই সঙ্গে চলে এসেছে একটি মারাত্মক বাস্তবিক আশঙ্কাও; যা এই সম্ভাবনাকে হয়তো বা আঁতুড়ঘরেই হত্যা করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ইউরোপের দেশগুলোতে শ্রমিকদের অভিবাসনের পছন্দের তালিকায় বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ রোমানিয়া; যে দেশটি প্রায় তিন দশক আগে কমিউনিজম শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বর্তমানে শেঙ্গেন দেশগুলোর জোটে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই দেশটিতে অভিবাসনের প্রত্যাশায় এত বেশি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যে, রোমানিয়া সরকার এসব আবেদন নিষ্পত্তি করে ভিসা প্রদানের জন্য গত বছর তিন মাসের মেয়াদে একটি কনস্যুলার টিম বাংলাদেশে প্রেরণ করেছিলেন এবং বর্তমান বছরের মার্চ মাস থেকে আবারো তারা ঢাকায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এটি আমাদের জনশক্তি রপ্তানির জন্য একটি দারুণ ইতিবাচক ব্যাপার।
কিন্তু আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যে আশঙ্কার উদ্রেক করেছে তা অত্যন্ত বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক এবং তা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের ভেবে দেখার দাবি রাখে বৈকি!
রোমানিয়াসহ উল্লেখিত দেশগুলোর প্রায় সবটিতেই অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একজন শ্রমিককে তাদের দেশে এনে কাজে যোগদান করাতে একজন চাকরিদাতাকে কমবেশি প্রায় ৬ মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর জন্য তাদের অর্থকড়িও খরচ করতে হয়। কিন্তু এত অপেক্ষার পর চাকরিদাতারা যেসব শ্রমিককে তাদের দেশে নিয়ে আসেন, তারা কিছুদিন চাকরি করার পর; এমনকি কখনো কখনো সেসব দেশে পদার্পণের পরপরই আরো উন্নত জীবন পাওয়ার আকাক্সক্ষায় তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে যান ফ্রান্স, ইতালি কিংবা ইউরোপের অন্যান্য উন্নত দেশে সেখানে অবস্থান করা তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে; যা একজন চাকরিদাতার জন্য এক চরম ক্ষতিকর ব্যাপার। এই ক্ষতি শুধু যে চাকরিদাতার জন্য ক্ষতি তা নয়; এই ক্ষতি পালিয়ে যাওয়া এসব বাংলাদেশি শ্রমিকেরও।
কারণ অবৈধভাবে ভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশের কারণে তারা সেসব দেশেও হয়ে পড়েন অবৈধ অভিবাসী এবং তাদের ভবিষ্যৎকে করে তোলেন ঝুঁকিপূর্ণ। যখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন, তখন আর সেখানে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। তারা সেসব দেশে যাপন করেন অবর্ণনীয় এক দুঃস্বপ্ন ও দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, যা তাদের পরিবারের কাছে তারা লজ্জায় প্রকাশ করেন না; আর আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ তাই তা জানতেও পারেন না।
অপরদিকে এসব পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকের কারণে ওইসব দেশের চাকরিদাতাও বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরি প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এর ফলে যেসব শ্রমিক ওইসব দেশে অভিবাসনের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন, তাদের জন্য সেই সুযোগ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; বিনা দোষে কপাল পুড়ছে তাদের। অথচ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরা কিন্তু তাদের চাকরির শর্ত ভঙ্গ করছেন না এবং সুনামের সঙ্গেই তারা ওইসব দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকরা যদি এমন অপরিণামদর্শী না হতেন; তাদের চাকরিদাতাকে বিপদে না ফেলে সেখানেই চাকরি করতেন তবে সেসব দেশে আমরা লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতাম।
আরেকটি ব্যাপারে সদাশয় সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের মতো ইতি টানতে চাই। গত ৬ মার্চ তুষার ঢাকা এক হিমশীতল বিকালে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশোতে পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধিসহ আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের উষ্ণ আতিথেয়তায় দূতাবাসের অফিসে এক ঘণ্টা স্থায়ী এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের দুজনের ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তিনি বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরির সুযোগ খোঁজার জন্য আমাকে ধন্যবাদ প্রদান করেন তবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি অংশ ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দক্ষ শ্রমিকদের চাকরির চাহিদার ব্যাপারে তিনিও একমত প্রকাশ করেন এবং আমি তাকে জানাই যে, বৈঠকে উপস্থিত পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আমার কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ওয়েল্ডার এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের (সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার) কর্মসংস্থানের জন্য আমাকে একটি চাহিদাপত্র প্রদান করেছেন এবং আমি এই কোম্পানির সব কাগজপত্র এবং উক্ত ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মস্থল, কর্মপরিবেশ এবং থাকার জায়গা ইত্যাদি দূতাবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা, পরিদর্শন ও সত্যায়িত করাতে চাইলে তিনি তার জনবলের অপ্রতুলতার কথা প্রকাশ করলেও তিনি ব্যাপারটি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।
এখানে বলা উচিত যে, পোল্যান্ডে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের বসবাস এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, এখানে বাংলাদেশিদের মালিকানায় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি! আমার মনে হয়েছে সুন্দর এই দেশটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি উদ্যোক্তার দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে পোল্যান্ড এবং জার্মানি হতে পারে আমাদের একটি প্রধান শ্রমবাজার কেননা জার্মানিও ইতোমধ্যে তাদের প্রায় ৬০ হাজার দক্ষ জনশক্তির চাহিদার ঘোষণা দিয়েছে।
সদাশয় সরকার পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসে জনবল বৃদ্ধি ও লেবার কাউন্সিলর নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারটি বিবেচনায় নিলে সেখানে আমাদের জনশক্তি রপ্তানির কাজটি সহজ হতে পারে। আর বাংলাদেশে যেহেতু পোল্যান্ডের কোনো দূতাবাস নেই, তাই আমাদের নাগরিকদের ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে যেতে হয় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এবং সেখানে প্রায় এক মাস অবস্থান করতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতো পোল্যান্ডের ভিসা আবেদনপত্রও যদি ‘ভিএফএসে’র (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার) মাধ্যমে ঢাকায় জমা নেয়ার ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আমাদের নাগরিকদের ভিসা আবেদনের খরচ কমে যেত অনেক এবং তাদের মূল্যবান সময় বেঁচে যেত। আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি পোলিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি সহজীকরণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন।
ড. মো. মামুন আশরাফী : লেখক : কবি, রাষ্ট্রচিন্তক ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো বছরব্যাপী দেশের ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ-এর আবদুল্লাহ ফারুক কনফারেন্স হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দো-ইউরোপিয়ান চেম্বার অব স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ-এর প্রেসিডেন্ট ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রিসডা বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুজ্জামান মুন্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তাষ কুমার দেব, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জহির উদ্দিন আরিফ এবং এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব মানিকগঞ্জ এর পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. সোয়েব-উর-রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের পরিচালক (অপারেশন) কিশোর রায়হান। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর এ্যাম্বাসেডরবৃন্দ, বিটিইএ-এর পরিচালক ও উপদেষ্টাবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিটিইএ-এর পরিচালক (অপারেশন) কিশোর রায়হান। উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২২ প্রশ্ন ব্যাংক’ নামে একটি তথ্যবহুল বই প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিটিইএ। বইটি পড়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তরুণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পর্যটন সম্পর্কে নতুন নতুন জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এই বইয়ের মাধ্যমে তারা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো তুলে ধরতে পারবে।
প্রশ্ন ব্যাংক বইটিতে বঙ্গবন্ধুর উপর ১০০ প্রশ্ন, দেশীয় পর্যটন ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে ৩০০ প্রশ্ন এবং আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ১০০ প্রশ্ন স্থান পেয়েছে। এই বইটি পড়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা পর্যটন শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং ২৩ সালের বছরব্যাপী কর্মকাণ্ডের কারণে ২৪ সালে নতুন করে ডোমেস্টিক পর্যটনে ১ কোটির বেশি পর্যটক বাড়বে যা অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে বিটিইএ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩ প্রশ্ন ব্যাংক’ শীর্ষক বইটির প্রশংসা করে বলেন, প্রায় ৮৬ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুনভাবে তুলে ধরতে সহায়তা করবে বলে আমার ধারণা। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর আয়োজন করায় বিটিইএ-কে ধন্যবাদ জানান এবং অলিম্পিয়াডের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড’ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্তীদেরকে পর্যটন সম্পর্কে অবহিত করতে সহায়তা করবে এবং এর সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে দেশপ্রেমের নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও সূচনা হবে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এই চার শ্রেণীতে প্রায় ৮৬ লাখের বেশি শিক্ষার্তী রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারে ৫জন করে সদস্য থাকলে মোট দেড় কোটির বেশি মানুষ সরাসরি বঙ্গবন্ধু ও পর্যটন শিল্প সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সমাজসেবক সহ আরও প্রায় দেড় কোটি মানুষ মিলে মোট তিন কোটিরও অধিক মানুষ বঙ্গবন্ধু ও পর্যটন শিল্প সম্পর্কে নতুন করে ধারণা পাবে। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর সফল বাস্তবায়নে সরকার, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সমাজসেবক সহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
জমকালো আয়োজনে ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত
স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখা তারকাদের নিয়ে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অনুষ্ঠান। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ময়ূরপঙ্খী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ও ময়ূরপঙ্খী ইন্টারন্যাশনাল এর ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত হয়।
মাননীয় সংসদ সদস্য এড. খোদেজা নাসরিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা তুলে দেন । গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারাল ম্যানেজার মো কামরুল ইসলাম, বাচসাস এর সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নুহা অ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম, বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীর, ডিএসসিসির ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, নাট্য প্রযোজক ও শিল্পপতি আতাউর রহমান আতা, ম্যাকয়ের ফাউন্ডার মেজবাউল আলম সাজু, উদ্যোক্তা আয়াত শিরিন।
অনুষ্ঠানের মূল কো-অর্ডিনেটর ও সঞ্চালনায় ছিলেন ময়ূরপঙ্খীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রুহিত সুমন। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রুহিত সুমন বলেন, মিডিয়া ও সামাজিক অঙ্গনের গুণীদের নিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’-এ সহযোগিতাকারী সকল স্পন্সর, পার্টনার ও সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ময়ূরপঙ্খীর সামনের ইভেন্টগুলোতেও সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই সম্মানিত সকল অতিথি, শিল্পী, কলা-কুশলী, সাংবাদিক, গণমাধ্যম-কর্মী ও দর্শকদের যাদের উপস্থিতি আমাদের এই অনুষ্ঠানকে আলোকিত করেছে। অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ইমন, চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা, অভিনেতা সজল, অভিনেত্রী রুনা খান, সংগীত শিল্পী ইকবাল-বিন আনোয়ার ডন, কোনাল, পুজা, আশিকুজ্জামান বনি, কথা, সুপার মডেল পিয়া জান্নাতুল, বারিশ হক, ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল,
ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ব্যবসায় অবদানের জন্য বিএম ট্রাভেলস্ এন্ড ট্যুরিজম এর স্বত্বাধিকারী মোঃ রবিউল ইসলাম রবি, রন্ধন শিল্পী আফরোজা নাজরীন সুমি, উপস্থাপক শ্রাবণ্য তৌহিদা, সমাজকর্মী ইঞ্জিঃ মোঃ সাকীল খান, বিজ্ঞাপন নির্মাতা বাপি সাহা, শিক্ষায় ইসমত ফারজানা, প্রফেসর শাহরিয়ার পারভেজ, পারভিন আক্তার, কর্পোরেটে মোঃ মোজাম্মেল হক, আব্দুল হক হামীম, উদ্যোক্তা তানজিলা ইসলাম মিতা, ডাঃ রাইসুল হাসান, মোঃ তৌকির আহমেদ, খন্দকার আকিব, রোমানা আফরোজা রিমঝিম, কামরান তালুকদার, ফটোগ্রাফিতে মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড্রীম স্কয়ার রিসোর্ট । চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, নৃত্য, ফ্যাশন, রূপসজ্জা, বিজ্ঞাপন, খেলাধুলা, রাজনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, উদ্যোক্তা, চিকিৎসা, সমাজসেবা, শিক্ষা, রন্ধনসহ বিভিন্ন সেক্টরের তারকা বন্ধুদের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল যুদ্ধে যাওয়ার মূল নির্দেশ ও অনুপ্রেরণা বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন,বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছে তখন আমরা নিশ্চিত হয়ে গেছি ঘরে আর থাকার সময় নেই, যুদ্ধে যেতে হবে। বুধবার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস ছিল। সেটা বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেই পাকিস্তানি বন্ধী দসা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি করতে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ দেন তখনি আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক এসে গেছে। তখন আমরা ঘরে না থেকে মুক্তিযুদ্ধে চলে গেছি। কিন্তু আমাদের কাছে অস্ত্র ছিল না। তখন আমরা খোঁজ নিয়েছি কার ঘরে লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে,তার কাছে অনুরোধ করে বুঝিয়ে শোনিয়ে অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি।
তিনি বলেন,ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী থেকে একজন এসে যখন বঙ্গবন্ধুকে বললো আপনাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশের বাঙালিরা আমাকে মারবে, এটা বলে তাদের কথায় পাত্তা দেননি তিনি। ঢাকা- ৬ আসনের এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে এমন ভালোবাসতে যে তিনি একজন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তিনি বাসায় ওই ধরনের কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখেনি। জাসদের কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ যেদিন জাসদ হয়েছে তারপরের দিন যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করছি আমরা। এ জাসদ মুক্তিযুদ্ধ করছে। তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে করে এসে অস্ত্র ভাগ করে আলাদা হয়ে গেলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে জাসদ ট্যাঙ্কের উপর বসে উল্লাস করছে দুঃখের বিষয়।
আমেরিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনদেশ, এদেশের ভালো মন্দ দেশের জনগণ ঠিক করবে। এদেশ আমাদের দেশের ভালো মন্দ আমরা ঠিক করবো, কীভাবে নির্বাচন হবে, আমরা ঠিক করবো। কিন্তু এখনো তারা (বিদেশি) ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সারাদিন দিন দৌড়াদৌড়ি করে কী করবে। এই তারাই স্বাধীনতার সময় সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এই আমেরিকা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন,বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে প্রতিশোধ নিতে মূল অভিষ্ঠ লক্ষে পৌছাতে পারিনি। আমরা কিছু ছাত্রলীগ নেতারা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় গেলেও তারা কোনো নির্দেশনা দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার কন্যাদের বাংলাদেশে আসতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল কিন্তু সাহসী পিতার সাহসী কন্যা শেখ হাসিনা সকল বাঁধা অপেক্ষা করে মাতৃভূমিতে ফিরে হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। বাবার (বঙ্গবন্ধু) মতোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন বলেই জীবন বাঁচি রেখে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কাজ করে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য ২১ বছর লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মানুষের পালর্স বুঝে কাজ করতেন। শেখ হাসিনা তারই আর্দশের ধারণ করে মানুষের পার্লস বুঝে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো.সামসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গভনিংবডি’র চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ শরীদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি ডা.মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী,জানাতুল বাকী,সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্রি. জে. অব. অধ্যাপক ডা.ইফফতা আরা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন,ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের গভনিংবডি’র সদস্য ও মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুসহ অনেকেই।
আজ ২৪ মে রোজ বুধবার ঢাকা-৫ নির্বচনী আসনের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার পার্কে দেশব্যাপী দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তান্ডবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসনে দক্ষিণ যুবলীগের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হকের সার্বিক পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবু হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম আরিফুর রহমান।আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসনের ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থানার আওতাধীন সকল ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।এছাড়াও প্রত্যেক ওয়ার্ড যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র হলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে প্রতিহত করবে। তিনি আরো বলেন পরশ-নিখিলের নির্দেশে রানা-রেজার নেতৃত্বে যুবলীগ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত। শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোষহীন তাই তিনি বলেন শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর কথা বলে বিএনপি-জামাতের দোষররা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে যে নীল নকশা তৈরী করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে তা যুবলীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই।
যুবলীগের কর্মীরা তাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও পরশ-নিখিলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। সমাবেশে বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের দেয়া বক্তব্য ও দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তান্ডবের তীব্র প্রতিবাদ জানান। সমাবেশ শেষে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড় হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন করে বিক্ষোভ মিছিল সম্পন্ন হয়।
মুফতী মাসুম বিল্লাহ : ওলামা লীগের সভাপতি প্রার্থী
আগামী ২৯ এপ্রিল ২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি প্রার্থী কয়েকজন। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মী থেকে উঠে আসা সংখ্যা একেবারেই নেই বললে চলে। ব্যাতিক্রম মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সাবেক ছাত্রনেতা। পারিবারিক ভাবেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে। বীর চট্রলার উপকূলীয় অঞ্চল প্রকৃতির লীলাভূমি সন্দ্বীপ উপজেলার আসকর আলী বাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মৌলভী বেলায়েত হোসেন এর পুত্র। মুফতী নাফিয়ী অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও যোগ্য সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে সে অটুট। অসম্প্রদায়িকবোধে সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের সাথে আছে সুসম্পর্ক।
এছাড়াও সর্বস্তরের আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখদের কাছেও রয়েছে তার গ্রহণ যোগ্যতা। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মূফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক কমিটি’র যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগেও ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে। জয় বাংলা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আওয়ামী লীগ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়াও নানাবিধ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে সকল সময় নিবেদিত থাকেন তিনি। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সন্দ্বীপ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এনজিও), উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি, ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতি, পিডিপি-পথকলি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় পরিষদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমাম সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় আহবায়ক।
আধ্যাত্মিকতায় সূফী ধারার বিশ্বাসী মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী ভারতের সেরহিন্দ শরিফের খলিফা, সিনিয়র সহ-সভাপতি, হযরত আলী (রঃ) তাছবীদুল কোরআন আদর্শ মাদ্রাসা, আজীবন সদস্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউনাইটেড ত্বরীকত মিশন বাংলাদেশ, মহা-পরিচালক, আঞ্জুমানে দাওয়াতুদ দ্বীন বাংলাদেশ, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আশিক্কীনে আউলিয়া পরিষদ, অন্যতম উপদেষ্টা ভাড়াটিয়া ঐক্য পরিষদ ও সভাপতি বাংলাদেশ সচেতন প্রগতিশীল আলেম সমাজ। রাজনৈতিক জীবনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপি-জামাতের অপশাসন ও দু:শাসনের বিরুদ্ধে সকল সময়ই রাজপথে সরবে অবস্থান করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের দেশ-প্রেমিক আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশ ও আওয়ামী বিরোধী অপপ্রচার রোধে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিক নায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মাওলানা ওলিউর রহমানের নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী ওলামা পার্টি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা (১৯৯৪-১৯৯৬) উল্লেখযোগ্য।
বিএনপি-জামাত ৪ দলীয় জোট সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বারবার শাররিক নির্যাতন ও একাধিকবার গ্রেফতার হন (২০০১-২০০৬)। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে বিএনপি-জামাত সরকার কর্তৃক গ্রেনেড হামলায় আহত (২০০৪)হন তিনি। মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী সভাপতি নির্বাচিত হলে অবহেলিত ওলামা লীগের নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হবে এবং সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে জাতির পিতার অসম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গকন্যার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে ওলামা লীগ। মেধা ও পরিকল্পনা দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা চলমান রাখতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অধিকাংশ ওলামা লীগের নেতাকর্মীরা মনে করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে দক্ষিন যুবলীগের অন্তর্গত ঢাকা ৫ আসনের তৃনমুলকে আরও শক্তিশালী, গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে ১৪টি ওয়ার্ডে ১৪৩টি কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা ৫ আসন যুবলীগের প্রধান সমন্বয়ক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিন যুবলীগের অন্তর্গত ঢাকা ৫ আসনের যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানার অন্তর্গত (৪৮,৪৯,৫০,৬০,৬১,৬২,৬৩,৬৪,৬৫,৬৬,৬৭,৬৮,৬৯,৭০) মোট ১৪টি ওয়ার্ডের ১৪৩টি কেন্দ্রভিত্তিক ইউনিট কমিটি করার লক্ষে এ সভায় হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরে সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: হেলাল উদ্দিন হেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদা,মহানগর দক্ষিনের অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন সাইমন, কার্যকরী সদস্য গোলাম মোস্তফা ও ডেমরা যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্ভুক্ত যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। সভায় উপস্থিত থাকা বক্তারা বলেন, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান লিখিল সংগঠনকে আর শক্তিশালী করতে ইউনিট কমিটি করতে নিদের্শনা দিয়েছেন।
সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যারা জনপ্রিয় দক্ষ ও দলের মধ্যে সক্রিয় এমন নেতাদের যাচাই-বাছাই করে কমিটিতে জায়গা দেওয়া হবে। এসময় ওয়ার্ড ও ইউনিট নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মানবিক হয়ে মানুষ পাশে থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান বক্তারা।
ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শপথ গ্রহণ, সংসদ অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর পরিচালনায় কণ্ঠভোটে নির্বাচিত হন শামসুল হক টুকু ।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান ।
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাবলা গ্রামের ‘খোকন চিশতির ‘ লালন ঘরানার পুলকিত আশ্রমে ‘দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে এর প্রতিবাদ গানের আর্তনাথ নামে শাহবাগে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। খোকন চিশতির আশ্রমে কাউকে না জানিয়ে হটাৎ করে অতর্কিত হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহ আশ্রমের জিনিসপত্র ভা;চুর কারীদের, দ্রুত চিহ্নিত করে, উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকা বাসী।এটি খুবি খারাপ কাজ করেছে। এর জন্যই আজ ঢাকায় শাহবাগে সাধু,ফকির,বাউল শিল্পী সব এক সাথে হয়ে পুরু শাহবাগ কাঁপিয়ে দিয়েছেন।গানে গানে তারা আর্তনাথ জানিয়েছেন, বিচার চেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
তারা জানিয়েছেন আর না ভাংগুক যন্ত্র আর না কাদুক কোন বাউল শিল্পী। গান গেয়ে নেচে বাদ্য বাজিয়ে শত শত লোক তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।সবাই আশা ব্যক্ত করে অতি তারাতাড়ি আসামীরা সবাই ধরা পরে যাবে।এবং সবার বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।
জমকালো আয়োজনে ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত
স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখা তারকাদের নিয়ে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অনুষ্ঠান। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ময়ূরপঙ্খী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ও ময়ূরপঙ্খী ইন্টারন্যাশনাল এর ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত হয়।
মাননীয় সংসদ সদস্য এড. খোদেজা নাসরিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা তুলে দেন । গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারাল ম্যানেজার মো কামরুল ইসলাম, বাচসাস এর সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নুহা অ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম, বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীর, ডিএসসিসির ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, নাট্য প্রযোজক ও শিল্পপতি আতাউর রহমান আতা, ম্যাকয়ের ফাউন্ডার মেজবাউল আলম সাজু, উদ্যোক্তা আয়াত শিরিন।
অনুষ্ঠানের মূল কো-অর্ডিনেটর ও সঞ্চালনায় ছিলেন ময়ূরপঙ্খীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রুহিত সুমন। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রুহিত সুমন বলেন, মিডিয়া ও সামাজিক অঙ্গনের গুণীদের নিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’-এ সহযোগিতাকারী সকল স্পন্সর, পার্টনার ও সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ময়ূরপঙ্খীর সামনের ইভেন্টগুলোতেও সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই সম্মানিত সকল অতিথি, শিল্পী, কলা-কুশলী, সাংবাদিক, গণমাধ্যম-কর্মী ও দর্শকদের যাদের উপস্থিতি আমাদের এই অনুষ্ঠানকে আলোকিত করেছে। অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ইমন, চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা, অভিনেতা সজল, অভিনেত্রী রুনা খান, সংগীত শিল্পী ইকবাল-বিন আনোয়ার ডন, কোনাল, পুজা, আশিকুজ্জামান বনি, কথা, সুপার মডেল পিয়া জান্নাতুল, বারিশ হক, ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল,
ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ব্যবসায় অবদানের জন্য বিএম ট্রাভেলস্ এন্ড ট্যুরিজম এর স্বত্বাধিকারী মোঃ রবিউল ইসলাম রবি, রন্ধন শিল্পী আফরোজা নাজরীন সুমি, উপস্থাপক শ্রাবণ্য তৌহিদা, সমাজকর্মী ইঞ্জিঃ মোঃ সাকীল খান, বিজ্ঞাপন নির্মাতা বাপি সাহা, শিক্ষায় ইসমত ফারজানা, প্রফেসর শাহরিয়ার পারভেজ, পারভিন আক্তার, কর্পোরেটে মোঃ মোজাম্মেল হক, আব্দুল হক হামীম, উদ্যোক্তা তানজিলা ইসলাম মিতা, ডাঃ রাইসুল হাসান, মোঃ তৌকির আহমেদ, খন্দকার আকিব, রোমানা আফরোজা রিমঝিম, কামরান তালুকদার, ফটোগ্রাফিতে মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড্রীম স্কয়ার রিসোর্ট । চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, নৃত্য, ফ্যাশন, রূপসজ্জা, বিজ্ঞাপন, খেলাধুলা, রাজনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, উদ্যোক্তা, চিকিৎসা, সমাজসেবা, শিক্ষা, রন্ধনসহ বিভিন্ন সেক্টরের তারকা বন্ধুদের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
৩৫ রন্ধনশিল্পী পেলেন ‘বিটিইএ বর্ষসেরা রন্ধনশিল্পী সম্মাননা-২০২২
রন্ধনশিল্পীরা নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে পারে ……র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি বলেছেন, রন্ধনশিল্পীরা নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে গড়ে তোলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে পারে। আর পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হলে দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধি অর্জন করবে। তিনি দেশীয় রন্ধনশিল্পকে আরো শক্তিশালী করতে শেফ ও রন্ধন উদ্যোক্তাদেরকে বর্তমান প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও যুগোপযোগি করে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর উদ্যোগে আজ ২২ অক্টোবর ২০২২, শনিবার সকাল ১০টায় শাহবাগস্থ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক শেফ ডে উপলক্ষ্যে ‘বিটিইএ বর্ষসেরা রন্ধনশিল্পী সম্মাননা-২০২২ এবং আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান জনাব শহিদুল ইসলাম সাগরের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক এম.জি.আর. নাসির মজমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলার্স ক্লাবের সভাপতি তৌহিদা সুলতানা রুনু, টোয়াবের পরিচালক জনাব বিল্লাল হোসেন সুমন, আইএসসি (ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট)-এর পরিচালক এস. এম. সাহাব উদ্দিন, বিশিষ্ট কালিনারি এক্সপার্ট ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার শাহিন আফরোজ এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিচসার্চ হাব এর সিইও প্রফেসর শাহরিয়ার পারভেজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান জায়েদী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের পরিচালক (অপারেশন) মাহবুব আলী খান (কিশোর)। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩৫ রন্ধনশিল্পীকে ‘বিটিইএ বর্ষসেরা রন্ধনশিল্পী সম্মাননা-২০২২ প্রদান করা হয়। সবশেষে ফারদিন এ্যান্ড ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক্যাল ব্যন্ড-এর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে স্থানীয়ভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করার পর নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শহর কর্তৃপক্ষ আজ মঙ্গলবার বলেছে, শহরের সবার করোনা পরীক্ষা করবে তারা। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছিল এই উহান থেকেই। এরপর বিশ্বের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে সেই সংক্রমণ। এখনো অনেক দেশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলেও চীন তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। যদিও সম্প্রতি আবারও সেখানে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন আজ জানিয়েছে, দেশটির মূল ভূখণ্ডে নতুন করে আরও ৯০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৯৮ জন।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, নতুন আক্রান্ত ৯০ জনের মধ্যে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন ৬১ জন। এর আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৫১। এ ছাড়া যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন জিয়ানসু প্রদেশের। এ ছাড়া ৫ জন নানজিং ও ৪০ জন ইয়াংঝু শহরের। তবে উহানে আজ কোনো সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। কিন্তু গতকাল সোমবার সেখানে সাতজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁরা স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। এই সাতজনই মূলত পরিযায়ী শ্রমিক। এরপর আজ উহান শহরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা লি তাও বলেন, এই শহরের সবার নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষা করা হবে।
গরুর কথা উঠলেই কার গরু কতটা বড়, কত বেশি ওজন, কত বেশি দুধ দেয়- এ সব থাকে আলোচনায়। কোরবানির ঈদের আগে পত্রিকায় দেখতে পাওয়া যায় বড় বড় গরুর খবর। সেই সব গরুর বাহারি নাম দেওয়া হয়।
তবে সাভারের একটি গরুর নাম আলোচনায় এসেছে ভিন্ন কারণে। সবচেয়ে দামি কিংবা ওজনের জন্য নয়, এই গরুর নাম ছড়িয়েছে সবচেয়ে ছোট হওয়ার কারণে। নাম দেওয়া হয়েছে রানি। সাভারের আশুলিয়ার একটি খামারে পালন করা হচ্ছে রানিকে।
গরুর মালিক সাভারের শিকড় এগ্রো লিমিটেডের ম্যানেজার আবু সুফিয়ান জানান, প্রতিষ্ঠানটি বছর দুয়েক আগে কোনো এক মাধ্যমে খবর পেয়ে নওগাঁর এক খামারির কাছ থেকে গরুটি কেনে। সেটিকে দিনে দুইবার খাবার দিতে হয়। সাধারণ গরুর তুলনায় এটির খাবার লাগে অনেকটা কম। ম্যানেজার আবু সুফিয়ান দাবি করেন, গরুটির দাম ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে এত বেশি দাম উঠার কারণ ব্যাখ্যা করেননি তিনি।
তিষ্ঠানটি জানায়, ইন্টারনেট ঘেঁটে তারা জানতে পেরেছেন- এটিই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট গরু। এটি এখন কোরবানির উপযুক্ত। গরুটিকে বিশ্ব রেকর্ডে জায়গা করে দিতে গত ২ জুলাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদনের পর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ একটি রিপ্লাইও দিয়েছে। গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। ওই প্রক্রিয়া শেষ করে তারা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই গরু বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর অফিসিয়াল তকমা পাবে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু (রানি)
গরুর কথা উঠলেই কার গরু কতটা বড়, কত বেশি ওজন, কত বেশি দুধ দেয়- এ সব থাকে আলোচনায়। কোরবানির ঈদের আগে পত্রিকায় দেখতে পাওয়া যায় বড় বড় গরুর খবর। সেই সব গরুর বাহারি নাম দেওয়া হয়।
তবে সাভারের একটি গরুর নাম আলোচনায় এসেছে ভিন্ন কারণে। সবচেয়ে দামি কিংবা ওজনের জন্য নয়, এই গরুর নাম ছড়িয়েছে সবচেয়ে ছোট হওয়ার কারণে। নাম দেওয়া হয়েছে রানি। সাভারের আশুলিয়ার একটি খামারে পালন করা হচ্ছে রানিকে।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ড ছিল ভারতের কেরেলা রাজ্যের ৪ বছর বয়সী লাল রঙের মানিকিয়াম নামের এক গরুর। তবে সেটাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে আশুলিয়ার চারিগ্রামের রানি। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার ২ বছর বয়সী ‘বক্সার ভূট্টি’ জাতের এই গরুটির ওজন মাত্র ২৬ কেজি।
বিস্তারিত BM24TV
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাবলা গ্রামের ‘খোকন চিশতির ‘ লালন ঘরানার পুলকিত আশ্রমে ‘দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে এর প্রতিবাদ গানের আর্তনাথ নামে শাহবাগে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। খোকন চিশতির আশ্রমে কাউকে না জানিয়ে হটাৎ করে অতর্কিত হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহ আশ্রমের জিনিসপত্র ভা;চুর কারীদের, দ্রুত চিহ্নিত করে, উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকা বাসী।এটি খুবি খারাপ কাজ করেছে। এর জন্যই আজ ঢাকায় শাহবাগে সাধু,ফকির,বাউল শিল্পী সব এক সাথে হয়ে পুরু শাহবাগ কাঁপিয়ে দিয়েছেন।গানে গানে তারা আর্তনাথ জানিয়েছেন, বিচার চেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
তারা জানিয়েছেন আর না ভাংগুক যন্ত্র আর না কাদুক কোন বাউল শিল্পী। গান গেয়ে নেচে বাদ্য বাজিয়ে শত শত লোক তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।সবাই আশা ব্যক্ত করে অতি তারাতাড়ি আসামীরা সবাই ধরা পরে যাবে।এবং সবার বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।
গত ৩ এপ্রিল গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের চুম্বক অংশটি দেশের সব পত্রিকায় খুবই গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত দূরদর্শী ও সময়োপযোগী এ বক্তব্যে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য জনশক্তিকে দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এজন্য কূটনীতিকে এখন রাজনৈতিক বলয় থেকে বিস্তৃত করে অর্থনৈতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরাও বহুদিন আগে থেকেই নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে সেখানে জনশক্তি রপ্তানি করে বেসরকারি পর্যায়ে তাদের ভূমিকা রেখে চলেছেন। এসব নতুন দেশের অনেকগুলোই ইউরোপ মহাদেশের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ।
একজন পর্যটন ব্যবসায়ী হয়েও একই সঙ্গে বাংলাদেশের একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন বাজারের সন্ধানে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশ দিনের এক দীর্ঘ ব্যবসায়িক সফরে রোমানিয়া, সার্বিয়া, অস্ট্রিয়া, ইতালি ও পোল্যান্ড ভ্রমণ করেছি এবং এসব দেশের বিভিন্ন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত অনেকগুলো বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছি। এসব বৈঠকে চাকরিদাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনায় যা উঠে এসেছে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হচ্ছে সেসব দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা, যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবৃত হয়েছে।
বিভিন্ন বাস্তবিক কারণেই ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা। বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারি নির্মাণশিল্পের শ্রমিক, বিভিন্ন রকমের কারখানা ও ওয়্যারহাউসের শ্রমিক, রেস্টুরেন্টের শেফ ও ওয়েটার, ভারি যানবাহনের ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পেশায় দক্ষ কর্মীদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে দক্ষ ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা। এদের চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি বেতনও তুলনামূলকভাবে অনেক। পক্ষান্তরে অদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা যেমন কম, তাদের বেতনও অনেক কম।
তাই আমাদের বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমিকদের বর্তমান চাকরি বাজারের উপযুক্ত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি বিভিন্ন পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিকদের বিদেশে প্রেরণ করতে চাই, তাহলে ইউরোপের দেশগুলো হতে পারে আমাদের জন্য চমৎকার এক শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় ইউরোপের এসব দেশে বেতনের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি এবং সুযোগ-সুবিধাও অনেক। তাছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশ হওয়ার কারণে এসব দেশের জীবনযাপনের মানও অনেক উন্নত এবং বেশিরভাগ দেশেই পাঁচ বছর নিয়মমাফিক অবস্থান করলে শর্তসাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়।
একটি বাস্তবিক ব্যাপার হলো যে, আমাদের দেশের শ্রমিকদের মধ্যে যাদের ওইসব দেশে স্থায়ী বসবাসের ইচ্ছে রয়েছে, স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন তাদের জন্য বয়ে আনতে পারে তাদের নিজেদের জীবনমান পরিবর্তনের এক সুবর্ণ সুযোগ। আর এসব দেশে অবস্থান করে চাকরির মাধ্যমে অর্থোপার্জন করে তা দেশে পাঠানোর মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখতে পারে; তেমনি তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্থনীতিতে আনতে পারে এক সোনালি বিপ্লব, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
তবে ইউরোপে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিপুল এই সম্ভাবনার হাত ধরে একই সঙ্গে চলে এসেছে একটি মারাত্মক বাস্তবিক আশঙ্কাও; যা এই সম্ভাবনাকে হয়তো বা আঁতুড়ঘরেই হত্যা করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ইউরোপের দেশগুলোতে শ্রমিকদের অভিবাসনের পছন্দের তালিকায় বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ রোমানিয়া; যে দেশটি প্রায় তিন দশক আগে কমিউনিজম শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বর্তমানে শেঙ্গেন দেশগুলোর জোটে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই দেশটিতে অভিবাসনের প্রত্যাশায় এত বেশি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যে, রোমানিয়া সরকার এসব আবেদন নিষ্পত্তি করে ভিসা প্রদানের জন্য গত বছর তিন মাসের মেয়াদে একটি কনস্যুলার টিম বাংলাদেশে প্রেরণ করেছিলেন এবং বর্তমান বছরের মার্চ মাস থেকে আবারো তারা ঢাকায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এটি আমাদের জনশক্তি রপ্তানির জন্য একটি দারুণ ইতিবাচক ব্যাপার।
কিন্তু আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যে আশঙ্কার উদ্রেক করেছে তা অত্যন্ত বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক এবং তা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের ভেবে দেখার দাবি রাখে বৈকি!
রোমানিয়াসহ উল্লেখিত দেশগুলোর প্রায় সবটিতেই অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একজন শ্রমিককে তাদের দেশে এনে কাজে যোগদান করাতে একজন চাকরিদাতাকে কমবেশি প্রায় ৬ মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর জন্য তাদের অর্থকড়িও খরচ করতে হয়। কিন্তু এত অপেক্ষার পর চাকরিদাতারা যেসব শ্রমিককে তাদের দেশে নিয়ে আসেন, তারা কিছুদিন চাকরি করার পর; এমনকি কখনো কখনো সেসব দেশে পদার্পণের পরপরই আরো উন্নত জীবন পাওয়ার আকাক্সক্ষায় তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে যান ফ্রান্স, ইতালি কিংবা ইউরোপের অন্যান্য উন্নত দেশে সেখানে অবস্থান করা তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে; যা একজন চাকরিদাতার জন্য এক চরম ক্ষতিকর ব্যাপার। এই ক্ষতি শুধু যে চাকরিদাতার জন্য ক্ষতি তা নয়; এই ক্ষতি পালিয়ে যাওয়া এসব বাংলাদেশি শ্রমিকেরও।
কারণ অবৈধভাবে ভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশের কারণে তারা সেসব দেশেও হয়ে পড়েন অবৈধ অভিবাসী এবং তাদের ভবিষ্যৎকে করে তোলেন ঝুঁকিপূর্ণ। যখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন, তখন আর সেখানে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। তারা সেসব দেশে যাপন করেন অবর্ণনীয় এক দুঃস্বপ্ন ও দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, যা তাদের পরিবারের কাছে তারা লজ্জায় প্রকাশ করেন না; আর আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ তাই তা জানতেও পারেন না।
অপরদিকে এসব পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকের কারণে ওইসব দেশের চাকরিদাতাও বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরি প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এর ফলে যেসব শ্রমিক ওইসব দেশে অভিবাসনের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন, তাদের জন্য সেই সুযোগ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; বিনা দোষে কপাল পুড়ছে তাদের। অথচ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরা কিন্তু তাদের চাকরির শর্ত ভঙ্গ করছেন না এবং সুনামের সঙ্গেই তারা ওইসব দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকরা যদি এমন অপরিণামদর্শী না হতেন; তাদের চাকরিদাতাকে বিপদে না ফেলে সেখানেই চাকরি করতেন তবে সেসব দেশে আমরা লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতাম।
আরেকটি ব্যাপারে সদাশয় সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের মতো ইতি টানতে চাই। গত ৬ মার্চ তুষার ঢাকা এক হিমশীতল বিকালে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশোতে পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধিসহ আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের উষ্ণ আতিথেয়তায় দূতাবাসের অফিসে এক ঘণ্টা স্থায়ী এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের দুজনের ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তিনি বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরির সুযোগ খোঁজার জন্য আমাকে ধন্যবাদ প্রদান করেন তবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি অংশ ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দক্ষ শ্রমিকদের চাকরির চাহিদার ব্যাপারে তিনিও একমত প্রকাশ করেন এবং আমি তাকে জানাই যে, বৈঠকে উপস্থিত পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আমার কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ওয়েল্ডার এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের (সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার) কর্মসংস্থানের জন্য আমাকে একটি চাহিদাপত্র প্রদান করেছেন এবং আমি এই কোম্পানির সব কাগজপত্র এবং উক্ত ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মস্থল, কর্মপরিবেশ এবং থাকার জায়গা ইত্যাদি দূতাবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা, পরিদর্শন ও সত্যায়িত করাতে চাইলে তিনি তার জনবলের অপ্রতুলতার কথা প্রকাশ করলেও তিনি ব্যাপারটি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।
এখানে বলা উচিত যে, পোল্যান্ডে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের বসবাস এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, এখানে বাংলাদেশিদের মালিকানায় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি! আমার মনে হয়েছে সুন্দর এই দেশটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি উদ্যোক্তার দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে পোল্যান্ড এবং জার্মানি হতে পারে আমাদের একটি প্রধান শ্রমবাজার কেননা জার্মানিও ইতোমধ্যে তাদের প্রায় ৬০ হাজার দক্ষ জনশক্তির চাহিদার ঘোষণা দিয়েছে।
সদাশয় সরকার পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসে জনবল বৃদ্ধি ও লেবার কাউন্সিলর নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারটি বিবেচনায় নিলে সেখানে আমাদের জনশক্তি রপ্তানির কাজটি সহজ হতে পারে। আর বাংলাদেশে যেহেতু পোল্যান্ডের কোনো দূতাবাস নেই, তাই আমাদের নাগরিকদের ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে যেতে হয় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এবং সেখানে প্রায় এক মাস অবস্থান করতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতো পোল্যান্ডের ভিসা আবেদনপত্রও যদি ‘ভিএফএসে’র (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার) মাধ্যমে ঢাকায় জমা নেয়ার ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আমাদের নাগরিকদের ভিসা আবেদনের খরচ কমে যেত অনেক এবং তাদের মূল্যবান সময় বেঁচে যেত। আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি পোলিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি সহজীকরণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন।
ড. মো. মামুন আশরাফী : লেখক : কবি, রাষ্ট্রচিন্তক ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : পায়ে-পায়ে ছন্দ আর আনন্দে দিন কাটাতে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষের জন্য উদ্ধোধন হল গাজী বাবু ইউনিক কালেকশন। আজ রোববার বিকালে রাজধানীর সদরঘাটের গ্রেটওয়াল শপিং সেন্টারের ৪র্থ তলায় গাজী বাবু ইউনিক কালেকশনের ২য় শো-রুমটি উদ্ধোধন করা হয়।
উদ্ধোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সফল মন্ত্রী বর্তমান ঢাকা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডঃ কাজী ফিরোজ রশিদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দীন রানা ,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম, ৩৭ নং ওয়ার্ড,ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী ২৫নং ওয়ার্ড, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার ইকবাল সান্টু,বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাজী মো: কামাল হোসেন,পাটুয়াটুলি মসজিদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক দবির খান, ২২ মার্কেট এক্সেসরিজ সমিতির উপদেষ্টা ইউসুফ খান, ২২ মার্কেট এক্সেসরিজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, গ্রেট ওয়াল শপিং সেন্টার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ ব্যাবসায়ী বৃন্দ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের ও আওয়াতধিন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
জানতে চাইলে “গাজী বাবু ইউনিক কালেকশনের “স্বত্বাধিকারী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ঈদের উৎসবকে রঙিন ও আনন্দমুখর করে তুলতে প্রয়োজন নতুন পোশাকের। ইতোমধ্যে মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটার জন্য বিশেষ আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। সব বয়সী মানুষের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক বাজারে নিয়ে এসেছে “গাজী বাবু ইউনিক কালেকশন”। এছাড়া মানুষকে আরও বেশি সুন্দর ও স্মার্ট করে তুলতে জুতার কোনো বিকল্প নেই। আগের দিনে মানুষ জুতা ব্যবহার করতো শুধুমাত্র নিজের পা-কে ধূলোবালি থেকে নিরাপদ রাখার জন্য। কিন্তু সময়ের ক্রমনানুসারে এখন মানুষ পায়ের নিরাপত্তার পাশা পাশি নিজেকে অন্যের চেয়ে একধাপ বেশি স্মার্ট করে উপস্থাপন করতে জুতা ব্যবহার করে থাকে। নতুন এই শো-রুমে আপনার বিভিন্ন বয়সের মানুষের জুতা-স্যান্ডেল পাবে। আমাদের এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের জুতার কালেকশন রয়েছে।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো বছরব্যাপী দেশের ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ-এর আবদুল্লাহ ফারুক কনফারেন্স হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দো-ইউরোপিয়ান চেম্বার অব স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ-এর প্রেসিডেন্ট ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রিসডা বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুজ্জামান মুন্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তাষ কুমার দেব, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জহির উদ্দিন আরিফ এবং এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব মানিকগঞ্জ এর পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. সোয়েব-উর-রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের পরিচালক (অপারেশন) কিশোর রায়হান। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড-২০২৩’-এর এ্যাম্বাসেডরবৃন্দ, বিটিইএ-এর পরিচালক ও উপদেষ্টাবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিটিইএ-এর পরিচালক (অপারেশন) কিশোর রায়হান। উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২২ প্রশ্ন ব্যাংক’ নামে একটি তথ্যবহুল বই প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিটিইএ। বইটি পড়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তরুণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পর্যটন সম্পর্কে নতুন নতুন জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এই বইয়ের মাধ্যমে তারা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো তুলে ধরতে পারবে।
প্রশ্ন ব্যাংক বইটিতে বঙ্গবন্ধুর উপর ১০০ প্রশ্ন, দেশীয় পর্যটন ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে ৩০০ প্রশ্ন এবং আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ১০০ প্রশ্ন স্থান পেয়েছে। এই বইটি পড়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা পর্যটন শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং ২৩ সালের বছরব্যাপী কর্মকাণ্ডের কারণে ২৪ সালে নতুন করে ডোমেস্টিক পর্যটনে ১ কোটির বেশি পর্যটক বাড়বে যা অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে বিটিইএ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩ প্রশ্ন ব্যাংক’ শীর্ষক বইটির প্রশংসা করে বলেন, প্রায় ৮৬ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুনভাবে তুলে ধরতে সহায়তা করবে বলে আমার ধারণা। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর আয়োজন করায় বিটিইএ-কে ধন্যবাদ জানান এবং অলিম্পিয়াডের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড’ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্তীদেরকে পর্যটন সম্পর্কে অবহিত করতে সহায়তা করবে এবং এর সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে দেশপ্রেমের নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও সূচনা হবে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এই চার শ্রেণীতে প্রায় ৮৬ লাখের বেশি শিক্ষার্তী রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারে ৫জন করে সদস্য থাকলে মোট দেড় কোটির বেশি মানুষ সরাসরি বঙ্গবন্ধু ও পর্যটন শিল্প সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সমাজসেবক সহ আরও প্রায় দেড় কোটি মানুষ মিলে মোট তিন কোটিরও অধিক মানুষ বঙ্গবন্ধু ও পর্যটন শিল্প সম্পর্কে নতুন করে ধারণা পাবে। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুরিজম অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর সফল বাস্তবায়নে সরকার, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সমাজসেবক সহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
জমকালো আয়োজনে ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত
স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখা তারকাদের নিয়ে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ২য় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অনুষ্ঠান। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ময়ূরপঙ্খী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ও ময়ূরপঙ্খী ইন্টারন্যাশনাল এর ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত হয়।
মাননীয় সংসদ সদস্য এড. খোদেজা নাসরিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা তুলে দেন । গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারাল ম্যানেজার মো কামরুল ইসলাম, বাচসাস এর সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নুহা অ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম, বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীর, ডিএসসিসির ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, নাট্য প্রযোজক ও শিল্পপতি আতাউর রহমান আতা, ম্যাকয়ের ফাউন্ডার মেজবাউল আলম সাজু, উদ্যোক্তা আয়াত শিরিন।
অনুষ্ঠানের মূল কো-অর্ডিনেটর ও সঞ্চালনায় ছিলেন ময়ূরপঙ্খীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রুহিত সুমন। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রুহিত সুমন বলেন, মিডিয়া ও সামাজিক অঙ্গনের গুণীদের নিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’-এ সহযোগিতাকারী সকল স্পন্সর, পার্টনার ও সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ময়ূরপঙ্খীর সামনের ইভেন্টগুলোতেও সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই সম্মানিত সকল অতিথি, শিল্পী, কলা-কুশলী, সাংবাদিক, গণমাধ্যম-কর্মী ও দর্শকদের যাদের উপস্থিতি আমাদের এই অনুষ্ঠানকে আলোকিত করেছে। অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ইমন, চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা, অভিনেতা সজল, অভিনেত্রী রুনা খান, সংগীত শিল্পী ইকবাল-বিন আনোয়ার ডন, কোনাল, পুজা, আশিকুজ্জামান বনি, কথা, সুপার মডেল পিয়া জান্নাতুল, বারিশ হক, ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল,
ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ব্যবসায় অবদানের জন্য বিএম ট্রাভেলস্ এন্ড ট্যুরিজম এর স্বত্বাধিকারী মোঃ রবিউল ইসলাম রবি, রন্ধন শিল্পী আফরোজা নাজরীন সুমি, উপস্থাপক শ্রাবণ্য তৌহিদা, সমাজকর্মী ইঞ্জিঃ মোঃ সাকীল খান, বিজ্ঞাপন নির্মাতা বাপি সাহা, শিক্ষায় ইসমত ফারজানা, প্রফেসর শাহরিয়ার পারভেজ, পারভিন আক্তার, কর্পোরেটে মোঃ মোজাম্মেল হক, আব্দুল হক হামীম, উদ্যোক্তা তানজিলা ইসলাম মিতা, ডাঃ রাইসুল হাসান, মোঃ তৌকির আহমেদ, খন্দকার আকিব, রোমানা আফরোজা রিমঝিম, কামরান তালুকদার, ফটোগ্রাফিতে মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড্রীম স্কয়ার রিসোর্ট । চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, নৃত্য, ফ্যাশন, রূপসজ্জা, বিজ্ঞাপন, খেলাধুলা, রাজনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, উদ্যোক্তা, চিকিৎসা, সমাজসেবা, শিক্ষা, রন্ধনসহ বিভিন্ন সেক্টরের তারকা বন্ধুদের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খানকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন আল-ইয়ামিন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস স্বত্ত্বাধিকারি মোঃ শাহিন মিয়া।
ঢাকা পুরাতন পল্টনে নুরজাহান শরীফ প্লাজায় ৭ম তলায় আল-ইয়ামিন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস্ এর নতুন অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সদস্য সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। অনুষ্ঠানে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন সংসদ সদস্য।
এছাড়াও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন এসোসিয়েশন ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ ( আটাব ) এর প্রেসিডেন্ট এসএম মঞ্জুর মোর্শেদ (মাহবুব), মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আনিসুল ইসলাম জুয়েলসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান প্রতিষ্ঠানে স্বত্ত্বাধিকারি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ শাহিন মিয়া। উল্লেখ্য সরকার অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট আল-ইয়ামিন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস। এর মাধ্যমে সকল দেশের ভিসা প্রসেসিং, হজ্ব ও ওমরাহ প্যাকেজ, সকল দেশের ম্যান পাওয়ার কার্ড করা হয়।
এছাড়া সূলভ মূল্যে অভ্যান্তরীন ও আন্তর্জাতিক এয়ার টিকেটসহ বিদেশ গমনে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল যুদ্ধে যাওয়ার মূল নির্দেশ ও অনুপ্রেরণা বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন,বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছে তখন আমরা নিশ্চিত হয়ে গেছি ঘরে আর থাকার সময় নেই, যুদ্ধে যেতে হবে। বুধবার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস ছিল। সেটা বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেই পাকিস্তানি বন্ধী দসা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি করতে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ দেন তখনি আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক এসে গেছে। তখন আমরা ঘরে না থেকে মুক্তিযুদ্ধে চলে গেছি। কিন্তু আমাদের কাছে অস্ত্র ছিল না। তখন আমরা খোঁজ নিয়েছি কার ঘরে লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে,তার কাছে অনুরোধ করে বুঝিয়ে শোনিয়ে অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি।
তিনি বলেন,ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী থেকে একজন এসে যখন বঙ্গবন্ধুকে বললো আপনাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশের বাঙালিরা আমাকে মারবে, এটা বলে তাদের কথায় পাত্তা দেননি তিনি। ঢাকা- ৬ আসনের এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে এমন ভালোবাসতে যে তিনি একজন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তিনি বাসায় ওই ধরনের কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখেনি। জাসদের কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ যেদিন জাসদ হয়েছে তারপরের দিন যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করছি আমরা। এ জাসদ মুক্তিযুদ্ধ করছে। তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে করে এসে অস্ত্র ভাগ করে আলাদা হয়ে গেলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে জাসদ ট্যাঙ্কের উপর বসে উল্লাস করছে দুঃখের বিষয়।
আমেরিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনদেশ, এদেশের ভালো মন্দ দেশের জনগণ ঠিক করবে। এদেশ আমাদের দেশের ভালো মন্দ আমরা ঠিক করবো, কীভাবে নির্বাচন হবে, আমরা ঠিক করবো। কিন্তু এখনো তারা (বিদেশি) ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সারাদিন দিন দৌড়াদৌড়ি করে কী করবে। এই তারাই স্বাধীনতার সময় সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এই আমেরিকা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন,বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে প্রতিশোধ নিতে মূল অভিষ্ঠ লক্ষে পৌছাতে পারিনি। আমরা কিছু ছাত্রলীগ নেতারা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় গেলেও তারা কোনো নির্দেশনা দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার কন্যাদের বাংলাদেশে আসতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল কিন্তু সাহসী পিতার সাহসী কন্যা শেখ হাসিনা সকল বাঁধা অপেক্ষা করে মাতৃভূমিতে ফিরে হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। বাবার (বঙ্গবন্ধু) মতোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন বলেই জীবন বাঁচি রেখে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কাজ করে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য ২১ বছর লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মানুষের পালর্স বুঝে কাজ করতেন। শেখ হাসিনা তারই আর্দশের ধারণ করে মানুষের পার্লস বুঝে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো.সামসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গভনিংবডি’র চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ শরীদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি ডা.মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী,জানাতুল বাকী,সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্রি. জে. অব. অধ্যাপক ডা.ইফফতা আরা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন,ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের গভনিংবডি’র সদস্য ও মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুসহ অনেকেই।
আজ ২৪ মে রোজ বুধবার ঢাকা-৫ নির্বচনী আসনের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার পার্কে দেশব্যাপী দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তান্ডবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসনে দক্ষিণ যুবলীগের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হকের সার্বিক পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবু হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম আরিফুর রহমান।আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসনের ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থানার আওতাধীন সকল ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।এছাড়াও প্রত্যেক ওয়ার্ড যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র হলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে প্রতিহত করবে। তিনি আরো বলেন পরশ-নিখিলের নির্দেশে রানা-রেজার নেতৃত্বে যুবলীগ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত। শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোষহীন তাই তিনি বলেন শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর কথা বলে বিএনপি-জামাতের দোষররা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে যে নীল নকশা তৈরী করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে তা যুবলীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই।
যুবলীগের কর্মীরা তাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও পরশ-নিখিলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। সমাবেশে বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের দেয়া বক্তব্য ও দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তান্ডবের তীব্র প্রতিবাদ জানান। সমাবেশ শেষে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড় হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন করে বিক্ষোভ মিছিল সম্পন্ন হয়।
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাবলা গ্রামের ‘খোকন চিশতির ‘ লালন ঘরানার পুলকিত আশ্রমে ‘দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে এর প্রতিবাদ গানের আর্তনাথ নামে শাহবাগে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। খোকন চিশতির আশ্রমে কাউকে না জানিয়ে হটাৎ করে অতর্কিত হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহ আশ্রমের জিনিসপত্র ভা;চুর কারীদের, দ্রুত চিহ্নিত করে, উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকা বাসী।এটি খুবি খারাপ কাজ করেছে। এর জন্যই আজ ঢাকায় শাহবাগে সাধু,ফকির,বাউল শিল্পী সব এক সাথে হয়ে পুরু শাহবাগ কাঁপিয়ে দিয়েছেন।গানে গানে তারা আর্তনাথ জানিয়েছেন, বিচার চেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
তারা জানিয়েছেন আর না ভাংগুক যন্ত্র আর না কাদুক কোন বাউল শিল্পী। গান গেয়ে নেচে বাদ্য বাজিয়ে শত শত লোক তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।সবাই আশা ব্যক্ত করে অতি তারাতাড়ি আসামীরা সবাই ধরা পরে যাবে।এবং সবার বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।
মুফতী মাসুম বিল্লাহ : ওলামা লীগের সভাপতি প্রার্থী
আগামী ২৯ এপ্রিল ২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি প্রার্থী কয়েকজন। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মী থেকে উঠে আসা সংখ্যা একেবারেই নেই বললে চলে। ব্যাতিক্রম মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সাবেক ছাত্রনেতা। পারিবারিক ভাবেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে। বীর চট্রলার উপকূলীয় অঞ্চল প্রকৃতির লীলাভূমি সন্দ্বীপ উপজেলার আসকর আলী বাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মৌলভী বেলায়েত হোসেন এর পুত্র। মুফতী নাফিয়ী অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও যোগ্য সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে সে অটুট। অসম্প্রদায়িকবোধে সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের সাথে আছে সুসম্পর্ক।
এছাড়াও সর্বস্তরের আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখদের কাছেও রয়েছে তার গ্রহণ যোগ্যতা। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মূফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক কমিটি’র যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগেও ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে। জয় বাংলা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আওয়ামী লীগ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়াও নানাবিধ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে সকল সময় নিবেদিত থাকেন তিনি। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সন্দ্বীপ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এনজিও), উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি, ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতি, পিডিপি-পথকলি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় পরিষদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমাম সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় আহবায়ক।
আধ্যাত্মিকতায় সূফী ধারার বিশ্বাসী মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী ভারতের সেরহিন্দ শরিফের খলিফা, সিনিয়র সহ-সভাপতি, হযরত আলী (রঃ) তাছবীদুল কোরআন আদর্শ মাদ্রাসা, আজীবন সদস্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউনাইটেড ত্বরীকত মিশন বাংলাদেশ, মহা-পরিচালক, আঞ্জুমানে দাওয়াতুদ দ্বীন বাংলাদেশ, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আশিক্কীনে আউলিয়া পরিষদ, অন্যতম উপদেষ্টা ভাড়াটিয়া ঐক্য পরিষদ ও সভাপতি বাংলাদেশ সচেতন প্রগতিশীল আলেম সমাজ। রাজনৈতিক জীবনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপি-জামাতের অপশাসন ও দু:শাসনের বিরুদ্ধে সকল সময়ই রাজপথে সরবে অবস্থান করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের দেশ-প্রেমিক আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশ ও আওয়ামী বিরোধী অপপ্রচার রোধে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিক নায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মাওলানা ওলিউর রহমানের নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী ওলামা পার্টি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা (১৯৯৪-১৯৯৬) উল্লেখযোগ্য।
বিএনপি-জামাত ৪ দলীয় জোট সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বারবার শাররিক নির্যাতন ও একাধিকবার গ্রেফতার হন (২০০১-২০০৬)। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে বিএনপি-জামাত সরকার কর্তৃক গ্রেনেড হামলায় আহত (২০০৪)হন তিনি। মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী সভাপতি নির্বাচিত হলে অবহেলিত ওলামা লীগের নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হবে এবং সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে জাতির পিতার অসম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গকন্যার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে ওলামা লীগ। মেধা ও পরিকল্পনা দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা চলমান রাখতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অধিকাংশ ওলামা লীগের নেতাকর্মীরা মনে করে।
গত ৩ এপ্রিল গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের চুম্বক অংশটি দেশের সব পত্রিকায় খুবই গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত দূরদর্শী ও সময়োপযোগী এ বক্তব্যে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য জনশক্তিকে দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এজন্য কূটনীতিকে এখন রাজনৈতিক বলয় থেকে বিস্তৃত করে অর্থনৈতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরাও বহুদিন আগে থেকেই নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে সেখানে জনশক্তি রপ্তানি করে বেসরকারি পর্যায়ে তাদের ভূমিকা রেখে চলেছেন। এসব নতুন দেশের অনেকগুলোই ইউরোপ মহাদেশের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ।
একজন পর্যটন ব্যবসায়ী হয়েও একই সঙ্গে বাংলাদেশের একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন বাজারের সন্ধানে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশ দিনের এক দীর্ঘ ব্যবসায়িক সফরে রোমানিয়া, সার্বিয়া, অস্ট্রিয়া, ইতালি ও পোল্যান্ড ভ্রমণ করেছি এবং এসব দেশের বিভিন্ন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত অনেকগুলো বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছি। এসব বৈঠকে চাকরিদাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনায় যা উঠে এসেছে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হচ্ছে সেসব দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা, যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবৃত হয়েছে।
বিভিন্ন বাস্তবিক কারণেই ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা। বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারি নির্মাণশিল্পের শ্রমিক, বিভিন্ন রকমের কারখানা ও ওয়্যারহাউসের শ্রমিক, রেস্টুরেন্টের শেফ ও ওয়েটার, ভারি যানবাহনের ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পেশায় দক্ষ কর্মীদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে দক্ষ ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা। এদের চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি বেতনও তুলনামূলকভাবে অনেক। পক্ষান্তরে অদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা যেমন কম, তাদের বেতনও অনেক কম।
তাই আমাদের বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমিকদের বর্তমান চাকরি বাজারের উপযুক্ত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি বিভিন্ন পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিকদের বিদেশে প্রেরণ করতে চাই, তাহলে ইউরোপের দেশগুলো হতে পারে আমাদের জন্য চমৎকার এক শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় ইউরোপের এসব দেশে বেতনের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি এবং সুযোগ-সুবিধাও অনেক। তাছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশ হওয়ার কারণে এসব দেশের জীবনযাপনের মানও অনেক উন্নত এবং বেশিরভাগ দেশেই পাঁচ বছর নিয়মমাফিক অবস্থান করলে শর্তসাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়।
একটি বাস্তবিক ব্যাপার হলো যে, আমাদের দেশের শ্রমিকদের মধ্যে যাদের ওইসব দেশে স্থায়ী বসবাসের ইচ্ছে রয়েছে, স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন তাদের জন্য বয়ে আনতে পারে তাদের নিজেদের জীবনমান পরিবর্তনের এক সুবর্ণ সুযোগ। আর এসব দেশে অবস্থান করে চাকরির মাধ্যমে অর্থোপার্জন করে তা দেশে পাঠানোর মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখতে পারে; তেমনি তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্থনীতিতে আনতে পারে এক সোনালি বিপ্লব, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
তবে ইউরোপে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিপুল এই সম্ভাবনার হাত ধরে একই সঙ্গে চলে এসেছে একটি মারাত্মক বাস্তবিক আশঙ্কাও; যা এই সম্ভাবনাকে হয়তো বা আঁতুড়ঘরেই হত্যা করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ইউরোপের দেশগুলোতে শ্রমিকদের অভিবাসনের পছন্দের তালিকায় বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ রোমানিয়া; যে দেশটি প্রায় তিন দশক আগে কমিউনিজম শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বর্তমানে শেঙ্গেন দেশগুলোর জোটে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই দেশটিতে অভিবাসনের প্রত্যাশায় এত বেশি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যে, রোমানিয়া সরকার এসব আবেদন নিষ্পত্তি করে ভিসা প্রদানের জন্য গত বছর তিন মাসের মেয়াদে একটি কনস্যুলার টিম বাংলাদেশে প্রেরণ করেছিলেন এবং বর্তমান বছরের মার্চ মাস থেকে আবারো তারা ঢাকায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এটি আমাদের জনশক্তি রপ্তানির জন্য একটি দারুণ ইতিবাচক ব্যাপার।
কিন্তু আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যে আশঙ্কার উদ্রেক করেছে তা অত্যন্ত বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক এবং তা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের ভেবে দেখার দাবি রাখে বৈকি!
রোমানিয়াসহ উল্লেখিত দেশগুলোর প্রায় সবটিতেই অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একজন শ্রমিককে তাদের দেশে এনে কাজে যোগদান করাতে একজন চাকরিদাতাকে কমবেশি প্রায় ৬ মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর জন্য তাদের অর্থকড়িও খরচ করতে হয়। কিন্তু এত অপেক্ষার পর চাকরিদাতারা যেসব শ্রমিককে তাদের দেশে নিয়ে আসেন, তারা কিছুদিন চাকরি করার পর; এমনকি কখনো কখনো সেসব দেশে পদার্পণের পরপরই আরো উন্নত জীবন পাওয়ার আকাক্সক্ষায় তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে যান ফ্রান্স, ইতালি কিংবা ইউরোপের অন্যান্য উন্নত দেশে সেখানে অবস্থান করা তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে; যা একজন চাকরিদাতার জন্য এক চরম ক্ষতিকর ব্যাপার। এই ক্ষতি শুধু যে চাকরিদাতার জন্য ক্ষতি তা নয়; এই ক্ষতি পালিয়ে যাওয়া এসব বাংলাদেশি শ্রমিকেরও।
কারণ অবৈধভাবে ভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশের কারণে তারা সেসব দেশেও হয়ে পড়েন অবৈধ অভিবাসী এবং তাদের ভবিষ্যৎকে করে তোলেন ঝুঁকিপূর্ণ। যখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন, তখন আর সেখানে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। তারা সেসব দেশে যাপন করেন অবর্ণনীয় এক দুঃস্বপ্ন ও দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, যা তাদের পরিবারের কাছে তারা লজ্জায় প্রকাশ করেন না; আর আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ তাই তা জানতেও পারেন না।
অপরদিকে এসব পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকের কারণে ওইসব দেশের চাকরিদাতাও বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরি প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এর ফলে যেসব শ্রমিক ওইসব দেশে অভিবাসনের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন, তাদের জন্য সেই সুযোগ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; বিনা দোষে কপাল পুড়ছে তাদের। অথচ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরা কিন্তু তাদের চাকরির শর্ত ভঙ্গ করছেন না এবং সুনামের সঙ্গেই তারা ওইসব দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকরা যদি এমন অপরিণামদর্শী না হতেন; তাদের চাকরিদাতাকে বিপদে না ফেলে সেখানেই চাকরি করতেন তবে সেসব দেশে আমরা লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতাম।
আরেকটি ব্যাপারে সদাশয় সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের মতো ইতি টানতে চাই। গত ৬ মার্চ তুষার ঢাকা এক হিমশীতল বিকালে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশোতে পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধিসহ আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের উষ্ণ আতিথেয়তায় দূতাবাসের অফিসে এক ঘণ্টা স্থায়ী এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের দুজনের ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তিনি বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরির সুযোগ খোঁজার জন্য আমাকে ধন্যবাদ প্রদান করেন তবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি অংশ ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দক্ষ শ্রমিকদের চাকরির চাহিদার ব্যাপারে তিনিও একমত প্রকাশ করেন এবং আমি তাকে জানাই যে, বৈঠকে উপস্থিত পোলিশ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আমার কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ওয়েল্ডার এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের (সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার) কর্মসংস্থানের জন্য আমাকে একটি চাহিদাপত্র প্রদান করেছেন এবং আমি এই কোম্পানির সব কাগজপত্র এবং উক্ত ওয়েল্ডার ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মস্থল, কর্মপরিবেশ এবং থাকার জায়গা ইত্যাদি দূতাবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা, পরিদর্শন ও সত্যায়িত করাতে চাইলে তিনি তার জনবলের অপ্রতুলতার কথা প্রকাশ করলেও তিনি ব্যাপারটি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।
এখানে বলা উচিত যে, পোল্যান্ডে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের বসবাস এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, এখানে বাংলাদেশিদের মালিকানায় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি! আমার মনে হয়েছে সুন্দর এই দেশটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি উদ্যোক্তার দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে পোল্যান্ড এবং জার্মানি হতে পারে আমাদের একটি প্রধান শ্রমবাজার কেননা জার্মানিও ইতোমধ্যে তাদের প্রায় ৬০ হাজার দক্ষ জনশক্তির চাহিদার ঘোষণা দিয়েছে।
সদাশয় সরকার পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসে জনবল বৃদ্ধি ও লেবার কাউন্সিলর নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারটি বিবেচনায় নিলে সেখানে আমাদের জনশক্তি রপ্তানির কাজটি সহজ হতে পারে। আর বাংলাদেশে যেহেতু পোল্যান্ডের কোনো দূতাবাস নেই, তাই আমাদের নাগরিকদের ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে যেতে হয় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এবং সেখানে প্রায় এক মাস অবস্থান করতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতো পোল্যান্ডের ভিসা আবেদনপত্রও যদি ‘ভিএফএসে’র (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার) মাধ্যমে ঢাকায় জমা নেয়ার ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আমাদের নাগরিকদের ভিসা আবেদনের খরচ কমে যেত অনেক এবং তাদের মূল্যবান সময় বেঁচে যেত। আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি পোলিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি সহজীকরণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন।
ড. মো. মামুন আশরাফী : লেখক : কবি, রাষ্ট্রচিন্তক ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে দক্ষিন যুবলীগের অন্তর্গত ঢাকা ৫ আসনের তৃনমুলকে আরও শক্তিশালী, গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে ১৪টি ওয়ার্ডে ১৪৩টি কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা ৫ আসন যুবলীগের প্রধান সমন্বয়ক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিন যুবলীগের অন্তর্গত ঢাকা ৫ আসনের যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানার অন্তর্গত (৪৮,৪৯,৫০,৬০,৬১,৬২,৬৩,৬৪,৬৫,৬৬,৬৭,৬৮,৬৯,৭০) মোট ১৪টি ওয়ার্ডের ১৪৩টি কেন্দ্রভিত্তিক ইউনিট কমিটি করার লক্ষে এ সভায় হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরে সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: হেলাল উদ্দিন হেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদা,মহানগর দক্ষিনের অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন সাইমন, কার্যকরী সদস্য গোলাম মোস্তফা ও ডেমরা যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্ভুক্ত যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। সভায় উপস্থিত থাকা বক্তারা বলেন, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান লিখিল সংগঠনকে আর শক্তিশালী করতে ইউনিট কমিটি করতে নিদের্শনা দিয়েছেন।
সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যারা জনপ্রিয় দক্ষ ও দলের মধ্যে সক্রিয় এমন নেতাদের যাচাই-বাছাই করে কমিটিতে জায়গা দেওয়া হবে। এসময় ওয়ার্ড ও ইউনিট নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মানবিক হয়ে মানুষ পাশে থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান বক্তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক : পায়ে-পায়ে ছন্দ আর আনন্দে দিন কাটাতে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষের জন্য উদ্ধোধন হল গাজী বাবু ইউনিক কালেকশন। আজ রোববার বিকালে রাজধানীর সদরঘাটের গ্রেটওয়াল শপিং সেন্টারের ৪র্থ তলায় গাজী বাবু ইউনিক কালেকশনের ২য় শো-রুমটি উদ্ধোধন করা হয়।
উদ্ধোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সফল মন্ত্রী বর্তমান ঢাকা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডঃ কাজী ফিরোজ রশিদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দীন রানা ,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম, ৩৭ নং ওয়ার্ড,ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী ২৫নং ওয়ার্ড, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার ইকবাল সান্টু,বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাজী মো: কামাল হোসেন,পাটুয়াটুলি মসজিদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক দবির খান, ২২ মার্কেট এক্সেসরিজ সমিতির উপদেষ্টা ইউসুফ খান, ২২ মার্কেট এক্সেসরিজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, গ্রেট ওয়াল শপিং সেন্টার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ ব্যাবসায়ী বৃন্দ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের ও আওয়াতধিন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
জানতে চাইলে “গাজী বাবু ইউনিক কালেকশনের “স্বত্বাধিকারী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ঈদের উৎসবকে রঙিন ও আনন্দমুখর করে তুলতে প্রয়োজন নতুন পোশাকের। ইতোমধ্যে মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটার জন্য বিশেষ আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। সব বয়সী মানুষের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক বাজারে নিয়ে এসেছে “গাজী বাবু ইউনিক কালেকশন”। এছাড়া মানুষকে আরও বেশি সুন্দর ও স্মার্ট করে তুলতে জুতার কোনো বিকল্প নেই। আগের দিনে মানুষ জুতা ব্যবহার করতো শুধুমাত্র নিজের পা-কে ধূলোবালি থেকে নিরাপদ রাখার জন্য। কিন্তু সময়ের ক্রমনানুসারে এখন মানুষ পায়ের নিরাপত্তার পাশা পাশি নিজেকে অন্যের চেয়ে একধাপ বেশি স্মার্ট করে উপস্থাপন করতে জুতা ব্যবহার করে থাকে। নতুন এই শো-রুমে আপনার বিভিন্ন বয়সের মানুষের জুতা-স্যান্ডেল পাবে। আমাদের এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের জুতার কালেকশন রয়েছে।
বাংলাদেশে খেলতে এসে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো সফরকারী নিউজিল্যান্ডের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ কিউই ব্যাটসম্যানরা। সাকিব-মেহেদীদের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই ম্যাচের নাটাই টিম টাইগার্সের হাতের মুঠোয় ছিল। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত কিউইদের ইনিংস থামে মাত্র ৬০ রানে।
এদিকে, ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছে কিউইরা। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল টম লাথামরা। এদিন বাংলাদেশের বোলাররা আবারো নিউজিল্যান্ডকে সেই লজ্জায় ডোবাল।
পল্লবী থানায় করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থেকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার হন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সড়কে নামতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দোকান ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা শেষ হওয়ার এক দিন আগেই আজ সোমবার রাজধানীর সড়কে প্রচুর যানবাহন নেমেছে। বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহন সড়কে চলছে। যানবাহনের চাপে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত পুলিশ তল্লাশিকেন্দ্রগুলো অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে যানজট।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয় ২৩ জুলাই সকালে। চলবে কাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। বুধবার থেকে শর্ত সাপেক্ষে অফিস, গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে যানবাহনের চলাচল অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক মোটরসাইকেল, কাভার্ড ভ্যান, এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে নেমেছে। আর রিকশা তো আছে। যানবাহনের ব্যাপক চাপে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে।
রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চাঁদপুর
চাঁদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জনই নারী। এরা সবাই চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
করোনা পরীক্ষার মেশিনে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনার নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও ল্যাব প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, পিসিআর ল্যাবে ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে পড়লে মঙ্গলবার থেকে নমুনা পরীক্ষার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেলে পিসিআর মেশিনে করোনা পরীক্ষার জন্য ১২৩টি নমুনা দেওয়া হয়। এতে ১১৫টি পজেটিভ ও ৮টি নেগেটিভ ফল আসে। এ পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। এ ছাড়া পিসিআর টিউবে যেখানে ভাইরাসের উপস্থিতি একেবারেই থাকার কথা নয় সেখানেও ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ায় বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়। পরে আমরা সকল স্যাম্পল পুনঃপরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি।
বাংলাদেশে খেলতে এসে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো সফরকারী নিউজিল্যান্ডের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ কিউই ব্যাটসম্যানরা। সাকিব-মেহেদীদের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই ম্যাচের নাটাই টিম টাইগার্সের হাতের মুঠোয় ছিল। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত কিউইদের ইনিংস থামে মাত্র ৬০ রানে।
এদিকে, ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছে কিউইরা। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল টম লাথামরা। এদিন বাংলাদেশের বোলাররা আবারো নিউজিল্যান্ডকে সেই লজ্জায় ডোবাল।
পল্লবী থানায় করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থেকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার হন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সড়কে নামতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দোকান ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা শেষ হওয়ার এক দিন আগেই আজ সোমবার রাজধানীর সড়কে প্রচুর যানবাহন নেমেছে। বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহন সড়কে চলছে। যানবাহনের চাপে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত পুলিশ তল্লাশিকেন্দ্রগুলো অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে যানজট।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয় ২৩ জুলাই সকালে। চলবে কাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। বুধবার থেকে শর্ত সাপেক্ষে অফিস, গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে যানবাহনের চলাচল অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক মোটরসাইকেল, কাভার্ড ভ্যান, এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে নেমেছে। আর রিকশা তো আছে। যানবাহনের ব্যাপক চাপে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে।
রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চাঁদপুর
চাঁদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জনই নারী। এরা সবাই চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাংলাদেশে খেলতে এসে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো সফরকারী নিউজিল্যান্ডের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ কিউই ব্যাটসম্যানরা। সাকিব-মেহেদীদের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই ম্যাচের নাটাই টিম টাইগার্সের হাতের মুঠোয় ছিল। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত কিউইদের ইনিংস থামে মাত্র ৬০ রানে।
এদিকে, ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছে কিউইরা। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল টম লাথামরা। এদিন বাংলাদেশের বোলাররা আবারো নিউজিল্যান্ডকে সেই লজ্জায় ডোবাল।
পল্লবী থানায় করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থেকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার হন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সড়কে নামতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দোকান ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা শেষ হওয়ার এক দিন আগেই আজ সোমবার রাজধানীর সড়কে প্রচুর যানবাহন নেমেছে। বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহন সড়কে চলছে। যানবাহনের চাপে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত পুলিশ তল্লাশিকেন্দ্রগুলো অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে যানজট।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয় ২৩ জুলাই সকালে। চলবে কাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। বুধবার থেকে শর্ত সাপেক্ষে অফিস, গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে যানবাহনের চলাচল অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক মোটরসাইকেল, কাভার্ড ভ্যান, এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে নেমেছে। আর রিকশা তো আছে। যানবাহনের ব্যাপক চাপে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে।
রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চাঁদপুর
চাঁদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জনই নারী। এরা সবাই চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
করোনা পরীক্ষার মেশিনে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনার নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও ল্যাব প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, পিসিআর ল্যাবে ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে পড়লে মঙ্গলবার থেকে নমুনা পরীক্ষার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেলে পিসিআর মেশিনে করোনা পরীক্ষার জন্য ১২৩টি নমুনা দেওয়া হয়। এতে ১১৫টি পজেটিভ ও ৮টি নেগেটিভ ফল আসে। এ পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। এ ছাড়া পিসিআর টিউবে যেখানে ভাইরাসের উপস্থিতি একেবারেই থাকার কথা নয় সেখানেও ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ায় বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়। পরে আমরা সকল স্যাম্পল পুনঃপরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি।
বাংলাদেশে খেলতে এসে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো সফরকারী নিউজিল্যান্ডের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ কিউই ব্যাটসম্যানরা। সাকিব-মেহেদীদের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই ম্যাচের নাটাই টিম টাইগার্সের হাতের মুঠোয় ছিল। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত কিউইদের ইনিংস থামে মাত্র ৬০ রানে।
এদিকে, ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছে কিউইরা। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল টম লাথামরা। এদিন বাংলাদেশের বোলাররা আবারো নিউজিল্যান্ডকে সেই লজ্জায় ডোবাল।
পল্লবী থানায় করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থেকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার হন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সড়কে নামতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দোকান ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা শেষ হওয়ার এক দিন আগেই আজ সোমবার রাজধানীর সড়কে প্রচুর যানবাহন নেমেছে। বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহন সড়কে চলছে। যানবাহনের চাপে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত পুলিশ তল্লাশিকেন্দ্রগুলো অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে যানজট।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয় ২৩ জুলাই সকালে। চলবে কাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। বুধবার থেকে শর্ত সাপেক্ষে অফিস, গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে যানবাহনের চলাচল অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক মোটরসাইকেল, কাভার্ড ভ্যান, এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে নেমেছে। আর রিকশা তো আছে। যানবাহনের ব্যাপক চাপে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে।
বাংলাদেশে খেলতে এসে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো সফরকারী নিউজিল্যান্ডের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ কিউই ব্যাটসম্যানরা। সাকিব-মেহেদীদের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই ম্যাচের নাটাই টিম টাইগার্সের হাতের মুঠোয় ছিল। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত কিউইদের ইনিংস থামে মাত্র ৬০ রানে।
এদিকে, ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছে কিউইরা। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল টম লাথামরা। এদিন বাংলাদেশের বোলাররা আবারো নিউজিল্যান্ডকে সেই লজ্জায় ডোবাল।
পল্লবী থানায় করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থেকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার হন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সড়কে নামতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দোকান ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা শেষ হওয়ার এক দিন আগেই আজ সোমবার রাজধানীর সড়কে প্রচুর যানবাহন নেমেছে। বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহন সড়কে চলছে। যানবাহনের চাপে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত পুলিশ তল্লাশিকেন্দ্রগুলো অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে যানজট।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয় ২৩ জুলাই সকালে। চলবে কাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। বুধবার থেকে শর্ত সাপেক্ষে অফিস, গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে যানবাহনের চলাচল অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক মোটরসাইকেল, কাভার্ড ভ্যান, এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে নেমেছে। আর রিকশা তো আছে। যানবাহনের ব্যাপক চাপে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে।
বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার রাজশাহীতে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম রাজশাহী শাখা কর্তৃক শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন সড়কে মোটরবাইক র্যালী, পথসভা ও মহান শহীদের স্মরণে রাজশাহী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা করে। দিনব্যাপী এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী,দুর্গাপুর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মুহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ, রাজশাহী বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সমন্বয়ক আখতারউজ্জামান অভি,যুবলীগ নেতা হাবিব, মৎসজীবী লীগ নেতা শওনসহ ফোরামের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। পথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের পূর্বক্ষণে বুদ্ধিজীবী হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। পাক হায়ানারা বুঝতে পেরেছিল বাঙ্গালি জাতিকে আর ধমিয়ে রাখা যাবেনা। কারণ মুজিব বাহিনীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে হয়েছে ভারতের মৈত্রী বাহিনী বন্ধ করা হয়েছে ভারতের আকাশ পথ। তাই তারা বাঙ্গালির জাতির স্বাধীনতা ও বিজয় সুনিশ্চিত জেনেই এই গণহত্যা সংঘটিত করেছিল। নৃশংস গণহত্যার শিকার হন শিক্ষক,সাহিত্যিক, সংস্কৃতিব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকসহ গুণীজন। নেতারা আরো বলেন, পাকিস্তান আজও বুদ্ধিজীবী হত্যার দায় স্বীকার করে বাঙ্গালি জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। তাই বাংলাদেশকে ভাবতে হবে পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক রাখাটা কতটুকু যৌক্তিক? পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধে এখনো গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্ত। এমনকি তাদের পেতাত্মাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন নামে বেনামে সংগঠন সৃষ্টি করে বাঙ্গালিদের মধ্যে বিভাজন করার অপচেষ্টা করছে প্রতিনিয়ত। ধর্মের নামে করছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং জঙ্গী তৎপরতা। নেতারা পাকিদের এইসমস্ত অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংগঠনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো পাঁচ লক্ষাধিক মা-বোন ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের শান্তি কামনার মাধ্যমে পথসভাসহ কর্মসূচীর ইতি করে।
বাংলাদেশে খেলতে এসে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো সফরকারী নিউজিল্যান্ডের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ কিউই ব্যাটসম্যানরা। সাকিব-মেহেদীদের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই ম্যাচের নাটাই টিম টাইগার্সের হাতের মুঠোয় ছিল। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত কিউইদের ইনিংস থামে মাত্র ৬০ রানে।
এদিকে, ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছে কিউইরা। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল টম লাথামরা। এদিন বাংলাদেশের বোলাররা আবারো নিউজিল্যান্ডকে সেই লজ্জায় ডোবাল।
পল্লবী থানায় করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থেকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার হন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সড়কে নামতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দোকান ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।